তবু পাখির দরজা অপেক্ষার বীজ বোনে
প্রত্যাশা ফিরে ফিরে ছায়ার গাছ হয়ে আসে
বহু পুরোনো গন্ধ ঘুমের কলার চেপে ধরে।

-

থেমে থাকা মৌনতার কোলঠাসা প্রহরে তুমি ছায়া
রাতের টুকটুকে হলুদ চুম্বন হয়ে উঠে কালো হরিদ্রা।
আতোর সন্ধ্যার সিঁদুর প্রেমের ক্ষত ব্যাথার বায়না
ঘাসনালী ছিঁড়ে কখনো কি সত্যি ফেরা যায় না!

-

কিছু ভালোবাসা আড়ালে বেড়ে চলে, বলা হয়ে উঠে না
ক্যালেন্ডারে মুহূর্ত গোনে, মিউকাস মুখে শব্দ ঝরে না।

-

তোমার ব্যস্ততায়, আমার মনে একাকিত্ব জাগায়।

-

"এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন"
উদাসী আনমনে শ্রাবনী সন্ধ্যায় চাই তোমারি আবাহন ।
কখনো মেঘ জমে অভিমানী চোখের কোণে
আলতো বৃষ্টি নামে নীলাভ সজল নয়নে।

আমার দুঃখরা অন্ধকারে বৃষ্টি মাখে,
রাতের একফালি চাঁদ সুখ খোঁজে।
গভীর নিশির স্তব্ধ ক্ষণে ;
জোনাকির বৃষ্টি ভেজা গল্প শোনে।

ব্যাকুল অভিমানী মন খুঁজে মরে সারাক্ষণ
দিবানিশি শ্রাবণের ঘন ঘন বর্ষণ।
চিত্ত নিরন্তন আকুল হেরি নয়নে,
কখনো যদি আসো ফিরে-
অপেক্ষা শেষে বৃষ্টি স্নাত ক্ষণে ;
পথ ভুলে অসহায়ের নীড়ে।

-

জ্বলজ্বলে তারায় লিখব গান সাঁঝের বেলায়,
গগন চিড়ে বাজবে গান উদাস সুরের ভেলায়।
মরণ হরণ বানীর ঝঙ্কার উঠবে গভীর রবে;
আড়মোড়া ভেঙে শঙ্কা কেটে গায়বে আবার সবে।

-

মাঝে মাঝে ওর জন্য ভীষণ মন কেমন করে;
ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে দাঁড়ায়, তার মনের দুয়ারে।
নয়নে নয়ন রাখিয়া বলি একবার;
হারাতে যাই না তোকে বারবার।

বুক ভেজা চোখের জলে
যাতনাময় দিনগুলো যায় চলে।
দুঃখের সাগরে ভেলায় ভাসি;
পাড়ে ফেরার নেই কোনো মাঝি।

তবু কখনো সাহস করে
যাই যদি তার সামনে-
হঠাৎ চোখের তলে অশ্রু গলে,
হৃদয় মাঝে আকাশ ভাঙে;
মৌনতা জাগে কথারা ভাষা খোঁজে,
অভিযোগের সুর অভিমানের পাহাড় গড়ে।

-

বর্ষার শত বৃষ্টির ফোঁটাও নেভাতে ব্যার্থ
প্রতি রাতে ধীরে ধীরে জ্বলতে থাকা মনের দাবানল।

চোখের আরশি নগরে সাজানো স্বপ্নের ঘর
রক্তিম অনলে দিবা নিশি জ্বলে ভস্ম হয় অনর্গল ।

-

মন গহীনে
কাজল ভেজা গল্প
কেইবা শোনে।

-

মেয়েদের জীবন কেন এতো ক্ষুদ্র পরিসরে সীমাবদ্ধ
আজীবন চার দেয়ালের গণ্ডির মধ্যেই আবদ্ধ??

-