এই শহরের অলিগলি চিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এত মুকুল
যখন ফুটে উঠবে আলো জল বাতাস না পেয়েই
সহনশীলতার সবকটি প্রজন্ম পেরিয়ে প্রকাশিত হওয়া
ফুল আর পাথরের পার্থক্য খুঁজে ফিরে অবসন্ন হয়ে পড়া কৃতদাস ঘড়িরা
অভিযোগ জানাতে ধীরপায়ে ভিড় করে বৈঠকখানায় |
বিকৃত পানপাতায় মুখ ঢাকতে অসমর্থ তুমি
আমার কাছে মহাকাশের খোঁজ করলে
আমি বড়োজোর কয়েকটি উপগ্রহই দিতে পারবো
ঘুন ধরে যাওয়া সিঁড়িকাঠে চড়ে চিলেকোঠা থেকে পেড়ে আনা
আমার মায়ের আলতা দিয়ে তোমার পাদুখানি রাঙিয়ে দিয়ে
মিলিয়ে যাবো ধ্রুবতারার কাছে
এত গুলো ঋণ মিটিয়ে দেবো শুধু ত্রিপত্র দিয়ে |
আমার বহু আকাঙ্খিত বিরহের প্রাপ্তিতে শরীরের সমস্ত নালিকা বান্ডিল দিয়ে প্রবাহিত শোক
যেন উচ্চরক্তচাপকে বিদায় জানিয়ে আজ নিষেকের জন্য উতলা
এত উষ্ণ আবেগ ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমাদের ঠিকানা
আমরা মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলেও,বিপদসংকেত পাঠাই না কাউকে
হেঁটে যাই ছায়াপথ অনুসরণ করে ঠিক আগের জন্মের মতোই
কোন প্রজন্মতেই আর অভিব্যক্তি হয়না আমাদের
ঈশ্বর হাল ছেড়ে দিয়ে আঁকাআঁকি শুরু করে কক্ষপথ জুড়ে
বিবর্তনবাদরা চাপা পড়ে যায় ইতিহাসের পাতায়
আর কক্ষনো আবির্ভাব হয়না এক মহাকাশ সমান প্রশান্তির |
এত এত স্বরলিপি যেন উদভ্রান্ত হয়ে পড়ে
পন্ডিতরা আর হিসেব মিলাতে পারেনা অংকের
রাজনীতিবিদেরা প্রথমবারের মত রাজনীতি করতে শুরু করে
কোন ঘর বাড়ি ভেঙে পড়েনা দুর্যোগে
তুমি আর আমি হেঁটে যেতে থাকি
সূরের মূর্ছনায় অসুস্থ হয়ে পড়ি দুজনে |- শরণদীপ
28 AUG 2022 AT 2:18