সৃজন
সৃজন—
তা কেবল শব্দ নয়,
তা জন্ম নেয় অন্তরের গর্ভে,
যেখানে চিন্তা নয়, অনুভব শাসন করে।
সৃজন তাকে বলে—
যার প্রতিটি ভাবনায় ঝরে পড়ে নতুনত্ব,
যার সৃষ্টি পূর্বের প্রতিধ্বনি নয়,
বরং এক অনন্য, উন্নত, উজ্জ্বল রূপান্তর।
অনর্গল কথা বলা, তথ্যের পাহাড়,
হাজার পৃষ্ঠার মুখস্ত বিদ্যা— তা কি সৃজন?
তা কি অন্তরের আগুন জ্বালাতে পারে?
না!
সৃজন আসে যখন আত্মা জেগে ওঠে,
চোখে খেলে যায় আলো,
হৃদয় হয় প্রশ্নের ছায়ায় উদ্ভাসিত।
হাজার বই পড়ে যদি চিন্তা না বদলায় ,
অনুভব না জাগে , নতুন প্রশ্নের না জন্ম হয়,
তবে সে পাঠ শুধু উচ্চারণের খেলা।
সৃজন নয়!
সৃজন হতে হলে হতে হয়
নির্জনে জন্ম নেওয়া বিদ্রোহ,
চুপচাপ আলো ফোটানো এক স্বপ্ন,
যে প্রশ্ন তোলে,
যে রূপ দেয়,
যে জাগায়।
১৭/০৬/২০২৫-
সময়ের কষাঘাত
সময়!
তোমার প্রহরের পাথরে গড়া ঘড়ির কাঁটা,
আমি বুঝিনি তার তীক্ষ্ণ চাবুকের অর্থ।
না-ই বুঝেছি মান, না রেখেছি মর্যাদা—
অবহেলার স্রোতে করেছি অবিরত অবজ্ঞা।
তুমি ছিলে নীরব,
তবুও অদৃশ্য কণ্ঠে প্রতিটি নিঃশ্বাসে
উচ্চারিত করেছিলে স্মরণ—
"আমি চলে যাই, অপেক্ষা করি না।"
এখন—
দীর্ঘশ্বাসে ঘন ঘন নামে বিষাদের ধোঁয়া,
অদৃশ্য কষাঘাতে রক্তাক্ত হয় অন্তর,
জীবনের পৃষ্ঠে ছাপ ফেলে
নীরব যন্ত্রণার রেখা।
তোমার নির্মম ছোঁয়ায়
আমার অস্তিত্ব থমকে যায়,
এক এক করে নিভে যায় স্বপ্নের আলো।
হায় সময়!
আজ বুঝেছি তোমার মৌন প্রতিশোধ,
তুমি নীরব, কিন্তু ভীষণ কঠোর—
জেগে থাকে শুধু অনুশোচনার আগুনে
পোড়া আমার ভগ্ন অন্তর।
১৬/০৬/২০২৫
-
দুশ্চিন্তা
মানুষ হয়েছি—একটি নিশ্বাসের গল্প,
ভুলের ছায়া, লোভের রেখা,
অন্তহীন দ্বন্দ্বে দগ্ধ এই কল্প।
তবুও একদিন থমকে দাঁড়াতে হবে—
সমস্ত কর্মের ছায়া জড়ানো
এক জবাবদিহির প্রহর হবে।
খেঁজুর কাঁটার মতো যন্ত্রণার শতধার—
চিরে ফেলে হৃদয়,
কাঁদিয়ে তোলে আত্মার আর্তনাদ।
তবুও মুখে থাকবে নীরব হাসির রেখা,
কারণ সহনশীলতাই তো
চূড়ান্ত আত্মমর্যাদার দেখা।
অন্ধকূপে লুকোনো শত যুগের ঘুম—
জেগে উঠবে প্রলয়ের চুম্বনে—
ধ্বনিময় এক নিঃস্তব্ধ ধুম।
তবুও মন, প্রস্তুত থাক উত্তপ্ত দিনের আয়নায়,
যেখানে হাঁটতে হবে পুলসিরাত—
ভয়ের গহীনে, আলোর প্রত্যাশায়।
তবে এ হৃদয় কাঁপে কেন,
কিসের ভয় এ অন্তরে জমে?
যে করুণার ধ্রুব তারা—
সে তো আমার নিকটতম আশ্রয়ে জ্বলে।
১৫/০৬/২০২৫
-
দুশ্চিন্তা
মানুষ হয়েছি—একটি নিশ্বাসের গল্প,
ভুলের ছায়া, লোভের রেখা,
অন্তহীন দ্বন্দ্বে দগ্ধ এই কল্প।
তবুও একদিন থমকে দাঁড়াতে হবে—
সমস্ত কর্মের ছায়া জড়ানো
এক জবাবদিহির প্রহর হবে।
খেঁজুর কাঁটার মতো যন্ত্রণার শতধার—
চিরে ফেলে হৃদয়,
কাঁদিয়ে তোলে আত্মার আর্তনাদ।
তবুও মুখে থাকবে নীরব হাসির রেখা,
কারণ সহনশীলতাই তো
চূড়ান্ত আত্মমর্যাদার দেখা।
অন্ধকূপে লুকোনো শত যুগের ঘুম—
জেগে উঠবে প্রলয়ের চুম্বনে—
ধ্বনিময় এক নিঃস্তব্ধ ধুম।
তবুও মন, প্রস্তুত থাক উত্তপ্ত দিনের আয়নায়,
যেখানে হাঁটতে হবে পুলসিরাত—
ভয়ের গহীনে, আলোর প্রত্যাশায়।
তবে এ হৃদয় কাঁপে কেন,
কিসের ভয় এ অন্তরে জমে?
যে করুণার ধ্রুব তারা—
সে তো আমার নিকটতম আশ্রয়ে জ্বলে।
১৫/০৬/২০২৫
-
Gumnami Ne Raah Banayi
Naam sirf ek saya tha
Aaj gumnami saamne aayi
Naam bhi ab gumnaam tha.-
মুখোশ
রূপোর মুখোশে ঢাকা মুখ,
চলনে যেন সাধক,
ভাষায় আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া—
কিন্তু হৃদয়ে নিভে গেছে আলো।
আচরণে সত্য মুখ ফিরায়,
শব্দে ফুটে ওঠে ভণ্ড প্রতিচ্ছবি।
ধর্ম—এখন সাজানো প্রদর্শনী,
উৎসবে জ্বলে, দায়িত্বে নীরব।
ভোগের মালায় গাঁথা সততা,
দল-মতের শিকলে বাঁধা আত্মা।
প্রার্থনার মাঝেই ওঠে প্রাচীর—
অপরকে দেখে জ্বলে ওঠে রক্ত।
ধর্ম কি শুধু স্লোগান?
নাকি নিঃশব্দ ভালোবাসার প্রকাশ?
আজ ধর্ম মুখোশ পরে আসে,
হৃদয় ফাঁকা রেখে আলোর উৎস ভুলে—
উৎসবে কেবল হাসে।
২৯/০৫/২০২৫
-
काश! आंखों में बस जाए सुरमा-ए-हया,
फिर नजरों की राहें खुद ही संवर जाएं।
-
তোমার স্মরণের সুবাসে
ক্লান্ত মন নিয়ে ফিরি নিশীথে,
তৃষ্ণা জাগে নিরব চিৎকারে—
বিস্মৃতির আঁধারে ডুবে গেলে,
তোমার স্মরণেই আলো জ্বলে।
নিঃশব্দ ভালোবাসা, অশ্রুতে ধ্যান,
তোমাতে মিশে যায় নিঃশেষ প্রাণ।
তুমি কোনো নাম নও—তুমি সুগন্ধ,
তুমি হৃদয়ে সঞ্চিত অনন্ত স্পন্দন।
যতবার হারাই, ততবার পাই,
তোমার সুবাসে আমি বেঁচে থাকি।
23. 05. 2025-
हो ही जाएगा
रुख़ हवा का बदल ही जाएगा,
मुझ पर करम उनका हो ही जाएगा।
है रात अगर अंधेरी, घनी घटा में छाई,
चाँदनी से कभी रोशनी हो ही जाएगा।
है मंज़िल अगर दूर, इब्तिलाओं से घिरी,
सब्र से चलो तो क़रीब हो ही जाएगा।
दिल का ये दर्द क्यों सबको बताएँ,
वक़्त के साथ ये दवा हो ही जाएगा।
बेचैन दिल को अब क्या समझाएँ,
उनका ज़िक्र ही सुकून हो ही जाएगा।
थोड़ा सब्र तो कर “शान” ज़रा,
हर मुश्किल आसान हो ही जाएगा।
-