চোখের ওপারে,
আকাশ তারও রঙের বিভূমা নীল দিশারি, মেঘ তরলের পোষাক গায়ে এলানো সেই নারী যার জ্যামিতিক স্তন পীতাভ রেখার চুল, কাষ্ঠল নাভি জুড়ে আলোজীর্ণতা যেন ছড়িয়ে গিয়েছে সুন্নত চামড়ার স্রোত, বিভাজ্য দুধ।
-
আমি অনন্ত খুঁজে চলি খসে পড়া তারাটিকে;
যে দ্যুতি-আচম্বিত ছিঁড়ে দিলো আমার চোখ, ঝরা শিউলির উঠোনটিকে মনে হলো রক্তশ্মশান—আর, কতো-না ভুলভ্রম যন্ত্রণার দৃষ্টিদাঁত কতো-না সকাল হাঁ-মুখ ধ্বংসের, আহ, প্রতিটি বর্ণাভ-মৃত্যু কামড়ে খাচ্ছে প্রথার বিনম্র আয়োজন!—ফিরে আসবেনা জেনেও এই চোখ আততায়ী...-
সবিনয় আলো দাও, ঠিক আলতো করে রাখো তোমার আলোর আঙুলটাকে; আমার তো গলা ডোবানো সন্তাপ ছিল— আমার বিশুদ্ধ চামড়ায় ফুটে ছিল ক্ষত শেকলের গোলাপ, তারও গভীর চোখের পাতালে করুণ স্পর্শের আলোটুকু চাইছি; দুঃখের কারাগার—অন্ধকার রক্তজন্ম, তবুও আমরা কেউই সনাক্ত করতে পারছি না আমাদের রক্ত!—আমাদের চিৎকারগুলো আবারও গিলে খেতে হবে...
-
ভুলে যাও সেই ত্যক্ত ঘরের জানালাবন্ধ দৃশ্যটিকে;
তোমার পায়ের নিচোলে নুড়ি-কোবালের জন্ম,
আঁকড়ে ধরো শিকড়ের উপমা, এই কয়-ফোঁটা রাত্রির মতো নিজেকে দাও দীর্ঘ সুবাসের বিষক্রিয়া!-
এই শরীরী আঁচড়গুলো—ছিঁড়ে ফেলি নিজেকে; প্রথাচেতনার আঠেরোটি চাবুক আমাকে আদরে জড়িয়ে রেখেছে (পাথরের স্তব্ধ হিসহিসে-সাপ আর চিরায়ত দাঁতের ঘুম)
-