// ভয়েড //
আঁধারের এই বিভৎসতা ভেদ করে ঘুম আসে না চোখে। ডাক্তার বলেছে, আমি নাকি ইনসমনিয়া রুগি। টেবিলের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ট্রাঙ্কুইলাইজার, জলপিডেম। রোজই থাকে, কেউ এসে কুড়িয়ে নেয় না, কেউ এসে আঁচল পেতে দেয় না।
বালিশের গায়ে হেলান দিয়ে বসে তারা গুনি, আমি যে নিদ্রাকে বড্ড ভয় পাই!
সবাই বলে স্লিপ প্যারালাইসিস;
ওরা জানে না আমার স্নায়ুতন্ত্রকে কেবল তুমিই বশ মানাতে পারো।
-
#raat_jag... read more
// ভয়েড //
এই যে আমি ভালো নেই, এই কথাগুলো লিখতে বসলে কেমন যেন শান্ত হয়ে যায় চারিপাশ। যত শব্দ আছে এই পৃথিবীর বুকে, তাদের একে একে গিলে খায় শূন্যতা। সমস্ত আড়ম্বর আর বেঁচে থাকার বাহানা স্পিরিটের মত উড়ে গিয়ে ভ্যাকুম তৈরি করে চার দেওযালের ভীতর।
জানালার ধারে মেঘের বালিশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়া চাঁদটাও গুটিয়ে নেয় তার জোৎস্নাকে। আমার পাশে তখন পরে থাকে কেবলই অস্তিত্বহীন একটা 'তুমি'।
-
- প্রেম টেম আর হবে না তোর দ্বারা
- জানি
- কি জানিস?
- আমি প্রেম করতে পারবো না কোনোদিন। আমি শুধু ভালোবাসতে পারি ...
- তা কেমন মানুষ পছন্দ তোর?
- এমন একজন যে আমার সাথে ঝগড়া করবে।
- তুই কি পাগল হলি নাকি ?
- না। আমি শুধু একজন কৃষনেন্দু চাই ...
-
ধূসর মলাটে ঢাকে অতীতের বিবৃতি,
পিয়ানোটা স্তব্ধ হঠাৎ ঝরা পাতাদের ডাকে।
কালজয়ী কলরবে নবচেতনার রাহিত্য,
শব্দেরা বিক্রি হয়, নিশুতি মাতাল রাতে।
আমরা কি তবে করবো ধর্ষণের রিহার্সাল?
নাকি প্রতিদিন পুড়ে মরবো ডিপ্রেসনে?
অঙ্ক্গুলো ভুলবো আবার নতুন করে রোজ!
দোষটা আসলে ছিল কার, তা কেবল ঈশ্বর জানে।
-
ইতিহাসের পর্দায় সোহাগী নকশা,
চরিত্রেরা পথ ভুলেছে বিরহের গুলমোহরে ,
স্মৃতিপথ ধরে সাজানো পসরা,
ছুঁতে চায় জীয়ন-কাঠি , অনুভূতির সিলমোহরে ।
-
// ভয়েড //
এইভাবে কেটে যায় আরো একটা শতাব্দী,
আবারো বিকেল নামে অ্যানটেনা ছুঁয়ে
শব্দের বয়েস বাড়ে,আর ছন্দেরা মিলিয়ে যায় কোন অপার্থিব নিস্তব্ধতায়।
শান্ত হয়ে আসে ধূসররঙা একটা জীবনসমুদ্র,যার বুকে কোন মুক্ত নেই,কোন মানিক নেই!
থাকার মধ্যে আছে কেবল হাজারখানেক মৃত ঝিনুক যারা পূরণ হবে না জেনেও স্বপ্ন বুনছে,বুনেই চলেছে ...
-
// ভয়েড //
ওরা সবাই জেনে গেছে ,'তুমি' মানেই শোক। ওরা বুঝে গেছে, 'তুমি' ফিরে আসা মানে একটা অ্যাস্থমা রুগির মৃত্যু বরণ। ওরা জানে, তোমার কাছে কোনো ওষুধের ফর্মুলা নেই, তুমি একটা আস্ত হেমলক গাছ, যার চোখের দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকলে সন্ন্যাসীও মরে যায় কামের আগুনে!
তবুও যতটুকু কালি বা কাগজ বেঁচে থাকে, তাতে একটা আস্ত উপন্যাস লেখা হয়ে যায়; শিরোনামে - ' ' ।
-
// ভয়েড //
কলমের কালিটাও বিদ্রোহ শুরু করে দেয় হঠাৎ করে। মৃত পৃথিবীর বুকে আমি ছাড়া আর একটামাত্র প্রাণ - আমার হিজিবিজি লেখার ডায়েরির পাতা থেকে একটা পোড়া গন্ধ ভেসে আসে নাকে।
শব্দেরা কথা রাখেনা;
তাকে বর্ণনা করবো বলে পাঁচ দশটা মেটাফোর হাতড়ে বেড়াই, কিন্তু খুঁজে পাই না। 'দুঃখ' আর 'তুমি'র অ্যালিটারেসনটা বারবার এসে ছন্দ কেটে দেয়!
আমার সমস্ত ছন্দহীন কবিতার কারণ 'তুমি' এবং একমাত্র 'তুমি'।
-
যার কবিতায় মেঘ করে আসে শব্দ,
যার কবিতা রাত্রির মত স্তব্ধ,
সেই লেখকের জন্মদিনে আজ
পথ সেজেছে রডোডেন্ড্রন সাজ।
-