সময় সব কিছুই ফিকে করে দেয়,
সেটা রং হোক বা মানুষের প্রতিচ্ছবি ।।-
সময়ের শীতল গভীর ষড়যন্ত্রে,
আমি এক বিদ্ধস্ত সৈনিক !!
এ মন তবুও হারতে রাজি নয়,
যদিও জানি মৃত্যুই আজ সময়ের বিনোদন ।।-
রক্ত এখন স্তব্ধ হয়েছে,
হৃদয় হয়েছে শান্ত ।।
এবার আমার বিদায়ের পালা!!
আজ থেকে তুমি মুক্ত ।।
উড়ছে পাখি, উড়ছে তুলো,
উড়ছি দেখ আমিও ।।
নীরবেতে উড়ছে দেখ,
তোমার থেকে আমার অস্তিত্ব ।।-
এই ঝরা পাতার মরসুমে,
ফাগুনে আগুন লাগায় মনে ।।
তবে আগুন জ্বালিয়ে দেয় কেন ভিতর বাহির ??
কেন রংয়ের মাঝেও বেরঙিন হয় হৃদয় ক্ষণে ক্ষণে ??
তবে কি পালা এবার সমাপ্তির !!-
যদি বিরহ জাগে হৃদয় জুড়ে,
যদি বিচ্ছেদ হয় ললাট লিখন !!
তবে আবারও নতুন নামে জ্বালিও প্রদীপ,
যে শিখায় মুছে যাবে সব আমার অস্তিত্ব ।।।
-
নীরবতার ভারে রাত্রি আজ ক্লান্ত,
ভালবাসা জ্বালাবে না হয় অন্য কারও গৃহে !!
চাঁদের মধুর স্বাদ নেবে অন্য এক মধুসূদন,
আমি শরীর জুড়ে সুরার প্রবল উচ্ছ্বাস !!
হবে সেদিন আমাদের দুজনেরই ফুলশয্যা ।।
তফাত এটুকুই তোমার ফুলের ওপর শয্যা,
আর আমার ওপর ফুলের শয্যা ।।
-
হৃদয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ নীরবতা,
কল্পনা গুলো বর্তমানে সব কাল্পনিক ।।
নয়নের স্রোতে ভাসছে আদর,
ঠোঁটের কোণে শুধু নিকোটিনের উচ্ছ্বাস ।।-
প্রতিশ্রুতির সাগরে, ভেসে চলে নিষ্ঠুর খেয়াতরী ।।
পারের আশায়, ভালবাসা দিকভ্রষ্ট প্রায় ।।
ডুবায়িত বিশ্বাস মরণাপন্য ।।
তবুও কল্পনা গুলো, নিরন্তর বাঁচিবার রসদ জাগায় ।।-
কালের প্রবাহেই শান্ত হয়েছে প্রেমের উন্মাদনা,
হৃদয়ের অবশিষ্ট ভগ্নাংশে জুড়ে তোমার প্রতিচ্ছবি ।।
যদি অবশিষ্ট কে তুমি টিকিয়ে ঐতিহ্যের নিদর্শন রাখো,
তবেই গল্প লেখার রসদ পাবে লেখক,
লেখা হবে এক অদ্ভুত ঐতিহ্যের প্রেমের ইতিহাস ।।-
এ এক অপলক অপরূপ সুখের সময় চলেছে জীবনের,
জানি না এ সুখ কতখানি চিরস্হায়ী হবে ।।
যদি দুঃখের জোয়ারও আসে,
এ সময় কে ভাসিয়ে দেবে মনের অতল তনয়া থেকে,
এ সাধ্য বুঝি তার হবে না ।।
সাধ্য হবে না,তাকে হৃদয়ের গভীর হতে বাহিরে আনে ।।
সে যে আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে,
মিশে আছে রক্তের প্রবাহমান গতির সাথে ।।-