ছোটবেলায় তোমার প্রথম সঙ্গ উত্তেজনায় ভরা এক আনন্দ বইয়ে খাতায় সারা শরীর জুড়ে জানান দিত কান্নাকাটির সুরে তোমার উপস্থিতির কারণেই মানতো না কেউ আমি দোষী নই খেলা ছুটি সবই তোমার জন্যে বন্ধ হলো, যা ফিরে পেতে হন্যে সেই থেকে তো শত্রুতারই শুরু তোমার ভয়ে বুকটা দুরুদুরু তোমার শুধুই লেখা লেখির কথা বুঝলে না তো আমার মনোব্যথা শিশুমনে তোমার জন্য ভয় আঁকা দিয়ে শিক্ষা কেন নয় অ আ a b র সঙ্গে তুমি মিলে শৈশবে কি জ্বালিয়েই না ছিলে
ফেলে আসা স্মৃতি তবু পিছু নাহি ছাড়ে পিছুটান দিয়ে শুধু ডাকে বারে বারে যত ভুলে যেতে চাই মনে পড়ে তত অন্তরে কাঁটা হয়ে বিঁধে তা সতত কখনো হাসায় কভু চোখে আনে জল কখনো বা মেদুরতা শুধু সম্বল তার প্রতি হৃদয়ের টান অনুভবে বুঝি, চুপি চুপি সন্ধি হয়েছে বা কবে মগজ হতে সে তাই হৃদয়ের কোণে আমার কথা কি আর সহজে সে শোনে!
প্রতিদিনই হোক না নতুন অন্তরে আবাহনী ধুন বিধাতার আশীষ নিয়ে শ্রীচরণে অর্ঘ্য সাজিয়ে বলি, প্রভু তোমার করুণা দাও তুমি সবারে প্রেরণা তোমার এই দয়ার দানে আস্থা জাগুক সব প্রাণে সব ভুল পিছে ফেলে রেখে শিক্ষা নিয়ে অতীতের থেকে নতুন আশায় বেঁধে বুক পরমার্থ না ভেবে সুখ যে দিন পেয়েছি নব দানে সে দিন বাজুক মোর প্রাণে নব নব লক্ষ্য পূর্ণ করে জাগুক আনন্দ প্রতি ঘরে
সূর্যের দেশ তোলপাড় কাউকেই দিচ্ছেনা ছাড় প্রায় সব গ্রহ রাজ্যে ফতোয়া জারির কার্যে সূর্য কিরণ নিয়োজিত তার জেরে সব অর্ধমৃত যে রাজ্যে নাই নিয়ন্ত্রণ সেথা নেইও প্রাণধন এই গ্রহ রাজ্যে বুজরুকি সয়না, নিবাসী থাকে সুখী নিবাসীও যায়না তো কম বাড়াচ্ছে রোজ পলিউশন লাগায় না গাছ, শুধু কাটে বিষ বায়ু ছড়ায় উলটে সূর্যের দেশে তাতে রাগ দিনে দিনে বাড়ায় তাপ নিবাসী চেঁচায় প্রতিবাদে ধরিত্রী এ দুয়ের ফাঁদে -Satya
কলম চলুক শুধু সরলরেখায় এমনটা নয় কভু পাঠক যা চায় উৎসারিত অন্তর হতে যে কথা দুঃখ সুখ অভিমান ক্ষোভ ব্যথা এসব আসুক অন্তঃস্থল হতে চাহিদা মাফিক না হয় কোনমতে কলম যেন না কভু লেখে একপেশে তাঁবেদারি না করে গদগদ হেসে মিথ্যার বেসাতি কখনোই নয় কলমে থাকুক বিবেকের ভয় অস্ত্রের শক্তির বাড়া যে কলম দুনিয়ার অশুভ শক্তির যম কলম শক্ত হলে তার যত গাথা জীবন্ত হয়ে ওঠে বইয়ের পাতা
সূর্য কিরণ বড় নির্মম ঝরে পড়ে যেন সাক্ষাৎ যম গলদঘর্ম, প্রাণ আনচান দীর্ঘ প্রহর, নাই অবসান বরষার লাগি এই দুটি চোখ আকাশের পানে যেমন চাতক চেয়ে রয়, কবে পূর্ণ হবে আশ বারিধারা এসে মিটাবে পিয়াস ভগ্ন হৃদয়, তবু আশা জাগে খানিক করুণা ধারা যে সে মাগে! চাতকের মতো সাধক কে হয় বরষ সাধনা, তৃষ্ণাকে জয়
হৃদয়ের ফুলদানিতে হরেক ফুলের মিলাপ সেসবের মাঝে সেরা টকটকে লাল গোলাপ সে গোলাপ আর কেউ নয় তুমি, শুধুই তুমি তোমার ওই মিষ্টি মুখে, ইচ্ছে, শুধুই চুমি আমার এই দুচোখ ভরে তোমায় শুধু দেখি তোমারি তুলনাতে বাকি সবই মেকি আমার এই অন্তরেতে তোমার ও অন্তর আমাদের চেতনাতে বাঁধা দুয়ের ঘর
নতুন পাতায় অনেক নতুন গল্প এই তো সবে শুরু, তাই অল্প স্বল্প নতুন সবুজ পাতার সবুজ মন সতেজ কাঁচা নবীন তনু ধন কতই আশা স্বপ্ন হৃদয় জুড়ে আনন্দে অন্তর ভরা রয় সুরে দায়িত্ব তার তবুও তো কম নয় অগ্রণী সেই ভৃমিকাতে নির্ভয় কত বোঝা বয় অস্তিত্বের জন্যে লক্ষ্য পূরণে উপাদান পেতে হন্যে এইভাবে শিখে নেবে জীবনের চর্যা মানুষকে ঋণী করে, রেখে যাবে কর্জা
ইচ্ছেরা দেয় ডানা মেলে সূর্যটা পাটে চলে গেলে ধীরে ধীরে নামে অন্ধকার ইচ্ছেরা হয় সীমা পার আমি চলি তার পিছে পিছে মুখোশের আড়ে মুখ মিছে চোখ দুটো চায় মিটিমিটি দেহে ভর করে গিরগিটি নেকড়ের থাবা যেন হাত নিশপিশ করে সারা রাত রক্তে আগুন নেশা ধরে পুড়িয়ে ছারখার করে আগুন নিভলে হয় ভোর ইচ্ছেরা আবেশে বিভোর আমি যেন নিজেরাই অচেনা ইচ্ছেরা খসিয়েছে ডানা -Satya