সুরক্ষা চেয়েছিল যারা
তাদের অনেকে পৃথিবী ছাড়া
কেউই রাখেনি তার খোঁজ
বিন্দাস দিন কাটে রোজ
বীরভোগ্যা এ বসুন্ধরা
ভীতুর কপালে লেখা মরা
ক্ষমতার অলিন্দে বীর
তাদেরই অধিকারে ক্ষীর
মৌচাকে যদি ঢিল মারো
বাঁচাবে ক্ষমতা নেই কারো
সুরক্ষা দেবে কথা যারা
নাটকের কুশীলব ও তারা
দুর্বৃত্তের মহা বৃত্তে
খাকি সাদা মিলে নিতে নৃত্যে
রচে চলে ধ্বংসের যজ্ঞ
এ ধরার হবে না আরোগ্য
বিচারের বাণী যাবে কেঁদে
কত যুক্তির বুলি ফেঁদে
শেষমেশ অশ্বের ডিম্ব
প্রতিবাদী দেখে প্রতিবিম্ব
সব হারা বোকাদের দলে
বিস্মৃতির গভীরে অতলে
-
যে কথা আছে লেখা হৃদয় গভীরে
সে কথা তোমাকে বোঝাই কি করে
তুমি কি পারনা তা বুঝতে অনুভবে
আসেনা ভালোবাসা কখনো সরবে
যতনে সাজানো গভীর সেই কথা
নয়নে ফুটে ওঠে ভাষার নীরবতা
যে বোঝে সে-ই মনের মানুষ হয়
নীরবে অলখে হৃদয় করে জয়
হৃদয় অবারিত মনের সে মানুষে
নির্ভরতা পায় ভালোবাসা শেষে-
মান
মান, হুঁশ যদি থাকে কারও, তবে তাকে বলি মোরা মানুষ;
অবক্ষয়ে মান, হুঁশ দুই-ই গেছে, মানুষ হয়েছে অমানুষ।-
ছোট্ট....
থমকে গেছে কালি কলম
থমকে গেছে ভাবনা
মান আর হুশ পড়ছেও কম
কমছে সমাজ চেতনা
নারী আজও ভোগ্য পণ্য
দুর্বলতার প্রতীক
নারীর শরীর দেখলে বন্য
স্বভাব জাগরিক
রাষ্ট্র সত্তা বড়ই কৃপণ
নারীর অধিকারে
নারী রক্ষায় আরও ভীষণ
সমাজ অন্ধকারে
দীর্ঘসূত্রী ন্যায় বিচারের
নীরব বাণী কাঁদে
ছায়া ঘনায় অন্ধকারের
আটকে শিকার ফাঁদে
পুরো কবিতাটি ক্যাপশনে...
পড়ার অনুরোধ রইল।🙏
-Satya
-
আঁধার রাতের শেষে
ভোরের আভাস হাসে
নিকষ কালো ক্রমে
দূর হয় সসম্ভ্রমে
পূব দিগন্ত জুড়ে
আকাশের বুক ফুঁড়ে
উঠে আসে দিনমণি
ওঠে ওঁকার ধ্বনি
জবার কুসুম সম
কাশ্যপ দ্যুতি নমঃ
আঁধার সরিয়ে যিনি
পাপ হরেন তিনি
আলোক ধারায় ধুয়ে
পৃথ্বীকে যান ছুঁয়ে
তাঁর অফুরান শক্তি
হৃদয়ে জাগায় ভক্ত
তাঁরই শক্তি ভরে
ধরণী ধারণ করে
-Satya-
যদিও দেখা হয়, আর জনমের পারে;
বলো কেমন করে, চিনবে তুমি মোরে?
বাই যদিবা খেয়া, মাঝি হয়ে আমি;
বুঝবে কেমন করে, আমিই তোমার দামী?
হয়তো তখন তুমি, রাজকন্যার বেশে;
বাড়িয়ে দেবে কড়ি, পারাপারের শেষে।
অবাক দুচোখ ভরে, দেখবো তোমার রূপ;
পারবে বুঝে নিতে, এই জনমের সুখ?
দুহাত বাড়াই যদি থামলে ঘাটে খেয়া;
পারবে বুঝে নিতে, এই জনমের ছোঁয়া?
শোনাই যদি আমি ভাটিয়ালির গান;
সেই সে গানের সুরে দুজনারই প্রাণ
উথলে ওঠে যদি, পারবে আমায় ছুঁয়ে?
করবে উজাড় মন, লতার মতো নুয়ে?
এই জনমে দেওয়া তোমার অভিজ্ঞান;
ফেরাবে কি স্মৃতি, তুমিই আমার প্রাণ?
কেমন করে মোরা মিলবো সে জনমে?
কেমন করে মোরা ফিরবো আবার প্রেমে?
-
বাইশে শ্রাবণ
আজকে শ্রাবণ বৃষ্টি বিহীন
দুচোখ জুড়ে জ্বালা
আজকে তোমার স্বপ্নের ঋণ
চুকায় শুকনো মালা
আজ হৃদয়ে জ্বলছে আগুন
শূন্য সে মন্দির
আজ দিগন্তে রুধির ফাগুন
মন বড় অস্থির
-
ভয়াল আঁধার চারিদিক
হায়েনারা হাসে খিক খিক
আলো দাও, প্রভু আলো দাও
তোমার সৃষ্টিরে বাঁচাও
এ সময়, বড় দুঃসময়
মনুষ্যত্বের রোজ অবক্ষয়
বিবেকের চলে অন্তর্জলি
বিচারের বাণী হয় নীরবে বলি
চেতনা প্রায় অবলুপ্ত
জাগ্রত মানব যেন সুপ্ত
শিরদাঁড়া ওঠে নিলামে
বেচা কেনা হয় নীল খামে
সম্পর্ক খাদের কিনারায়
মূল্যে মানুষ সবই চায়
কঠোর, নিচ, হৃদয়হীন
প্রজন্ম বয়ে চলে ঋণ
এই স্থিতি হতে মুক্ত করে
তোমার আলোয় দাও ভরে
টেনে তোল অন্ধকার হতে
ভেসে যায় বিনাশের স্রোতে
-Satya
-
আকাশের কার্নিশে জল ভরা মেঘ
কভু স্থির, কভু বা বাড়ায় গতিবেগ
কার্নিশে রোদ্দুর খেলে কানামাছি
চাতকটা ওড়ে মেঘের কাছাকাছি
জল ভরা মেঘ অতি সহৃদয় হয়ে
চাতকের তৃষ্ণা দেয় মিটিয়ে
ধরিত্রী উর্বর সে জল ধারায়
নিঃস্ব মেঘেরা কোথা যে হারায়
এভাবেই মেঘ তার প্রেম বিলিয়ে
নিজেই আকাশে সে যায় মিলিয়ে
-
বন্ধু যদি ছুঁয়ে দেয় সব দিক আলো
বন্ধুর মতো আর কেবা আছে ভালো
দুঃখে সে সাথী হয়, বিপদের ত্রাতা
গ্রীষ্ম ও বর্ষায় যেমনটা ছাতা
বন্ধুই থাকে রাজদ্বারে, শ্মশানে
চরম বিপদ হতে ফিরিয়ে আনে
সুখে যে সুখী হয় দুঃখে যে দুঃখী
যেমন সূর্য আর সূর্যমুখী
তেমন হয় বন্ধু ও বন্ধু'র ভাব
বন্ধুর কথা ভাবে নয় ক্ষতি লাভ
তেমন বন্ধু আর কোথায় বা পাই
আপন মনকে তাই বন্ধু পাতাই
-