চিন্তা তোমার ভরায় শুন্য,করে আন্দোলিত মন -প্রাণ :
গাঙ চিল হয় স্পর্শে মুখরিত,ওঠে সমুদ্রে প্রবল তুফান।

-

যুগাবতার বিবেকানন্দ
মহামানব যুগাবতার তুমি,
প্রিয় স্বামী বিবেকানন্দ;
তোমার স্পর্শে প্রাণ পেয়েছে ভুবন ;
হয়েছে জন্মভূমি ধন্য।
বাল্য কালের নরেন তুমি,
বিলে অন্য নাম ;
তোমার কাছে মাথা করে নত,-
জানাই সহস্র প্রনাম।
ধর্মের ভেদ মানতে না তুমি'-
ছোট থেকেই রেখেছ প্রমান,,
তোমার জন্মে ধন্য বঙ্গ ;
বেড়েছে বাঙালির সম্মান।
কৈশোরে এসে রামকৃষ্ণের সাক্ষাতে,
পেলে তুমি জীবনের লক্ষ্য ;
মুছতে হবে বর্ণ বিভেদ,
হবে বোঝাতে বিশ্ববাসীকে ধর্মের অর্থ ;
একধারে তুমি প্রাবন্ধিক,লেখক ;
দার্শনিক কিংবা গায়ক,
তোমার লেখায় উঠেছে ফুটে ;
প্রাচ্য,প্রাশ্চাত্য হোক বা ভারত!!
শিকাগো ধর্ম সভায় তুমি পতাকা ভারতের ;
করেছে উত্তোলন আপন বক্তব্যে,,
তোমার ভাষণ করেছিলো প্রশংসা,
হোক গুণীজন কিংবা সভ্যে!!
দেখিয়েছ মানবে মুক্তির পথ তুমি ;
করেছ নিজেকে উৎসর্গ আর্তের সেবায়,
আজ তোমার জন্ম বার্ষিকীতে ;
তোমায় স্মরণ করি তোমার বন্দনায়।।

-

ভেঙ্গে যাওয়া ঢেউ রেখে যায় বালুচরে ,
বিরহের হাজার অপূরণীয় ক্ষত;
জীবন নদী পথে তেমন বয়ে যায় নদী ,,
রেখে যায় এলোমেলো অনাবৃত আঁচড় যত!!

-

বন্ধুত্ব

বন্ধু নামের সংজ্ঞা হলো দৃষ্টান্ত,
বন্ধু সেতো মেশে না রক্তে -
বন্ধুত্ব মিশে যায় আত্মার প্রতি কোণায়।।
বন্ধু শুষ্ক হৃদয়ে যে চির বসন্তের আগমন,
স্রোত হীন সরোবরে ফোটা নীলকমলের আভা ,,
হৃদয়ের ছাদ বাগানে রোজ ফুল ঝরে বন্ধুদের নামে
যে বাগানের পথের হদিশ হারিয়ে যায় ঠিকানা হীন খামে!
দিকভ্রষ্ট জীবনে ধ্রুবতারার মতো তার ব্যাপ্তি ,
যত পদচিহ্ন ফেলি পৃথিবীর বুকে -
ক্রমে সুদৃঢ় হয় সেই বন্ধুত্ব।।
বন্ধু যে অগোছালো জীবনে বাউল গানের একতারা ,
সে যে হাত বাড়ানো কাঙাল জীবনে গল্প নামহীন ;
সে তো কঠিন সময় লড়ে যাওয়ার মানসিক শক্তি
এক আকাশ মহাশূন্যের মাঝে আরেক মহাশূন্যের আসক্তি !!
বন্ধু যে এক আকাশ খোলা বাতাস ,বিশ্বাসের বন্ধন অটুট ,
বন্ধুত্ব বেঁচে থাক আজ সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ,
হৃদয় মাঝে হোক তার পরিসর
বন্ধু তুমি থাকো আজ পাশে ,
করবো এক নিমেষে গোটা বিশ্ব জয়।।

-

আজ হ্যা আজ ই আমাদের ug এর সম্ভবত শেষ দিন । আর হয়তো আমাদের UG হিসেবে আসতে হবে না ও university । কিন্তু আজকের দিনটি খুব special আমাদের কাছে। যে 29 জন আমরা একসাথে ভর্তি হয়েছিলাম, তাদের আজ শেষ সাক্ষাৎ। কত স্মৃতি সবার সাথে । ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যাওয়ার আর তারা থাকবে না, ক্লাস miss করলে কেউ call করে বলবে না কিরে এলি না আজকে? কেউ বলবে না ভাই তোর খাতা টা দে না ? ভালো করে লিখতে পারিনি ,ছবি তুলব ! আর হয়তো কারোর জন্মদিন cake কেটে celebrate হবে না, হবে না resturent এ birthday treat !! অথবা হবে না একসাথে বসে আড্ডা মারা, class এ যাওয়া?কেউ আর cr এর দায়িত্ব পালন করবে না, করবে না কেউ sir mamder সাথে খুনসুটি ? কেউ হয়তো আর অভিমান করবে না, কিন্তু যে bond গুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো থেকে যাবে আজীবন, হয়তো কোনোদিন কোনো দূরে চলে যাওয়া বন্ধুর সাথে দেখা হলে যেখান থেকে ছেড়ে গেছিলাম, তারপর থেকে শুরু করবো,, কারণ এই বন্ধুত্ব যে আমার তোমার সবার কাছে খুব special। তাই আজ বলতে দ্বিধা নেই আমাদের horti year শুধু year না আমাদের এক extended family,প্রতিটা member তার আমাদের খুব কাছের ছিল, আছে, আর থাকবে,আজ তাই সবার চোখ ছলছল, এটাই তো আমাদের বন্ধন❤️❤️❤️

-

আবার শুরু এক নতুন বছর,
স্মৃতির দুয়ারে দাঁড়িয়ে এক দীর্ঘ অধ্যায় ;
সংখ্যা পাল্টায় বছর হিসেবের পাতায়,,
ফেলে আসা স্মৃতির কাঁকড় কণা,-
ঝরে পড়ে শীতের শুষ্ক ডালের গা ঘেঁষে!
শুকনো পাতার মর্মরে জেগে থাকে আগামী ;
এ যেন শুন্য থেকে শুন্যে এক অজ্ঞাত সেতু বন্ধন।।
তবে বিগত বছর তার মধ্যে এক ব্যতিক্রম!!
যেন এক দুঃ স্বপ্ন ঘুম হীন দুই চোখের পাতায় ;
উজ্জ্বল শহরের বুকে শজারু কাঁটার হিংস্র আঘাত,,
জীবন যেন থমকে গেছে হঠাৎ,
এই করোনা নামক শত্রুর সংক্রমণে!
তবে মানব জীবন তো থেমে থাকার নয় ;
তাকে যে এগিয়ে যেতেই হবে,,
জয় করতে হবে সকল বাধা বিঘ্নের ঘেরাটোপ,,
তবেই তো মানব জীবনের সার্থকতা।।
তবেই না শ্রেষ্ঠ জীব রূপে তার এতো সম্মান ;
তাই তো আজ পুরাতন সব গ্লানি যাক ঘুচে,-
হোক সুচনা এক নতুন শুভ ময় বছরের ;
সময়ের কলমে হোক রচিত মুক্ত বাতাসে ওড়ার কাহিনী,,
হোক বর্ণিত জীবনের উপাখ্যান ;
সুখ সায়রে ভাসুক ময়ূরপঙ্খী তরী সবার :
মৃত্যু উপত্যকার এই পাঁকে হোক সৃষ্টি আগমীর পঙ্কজ ;
সবুজের ক্যানভাস ময় এক নতুন পৃথিবী ;
সব বিপর্যয় সামলে গড়ে উঠুক পৃথিবী মানবতার,,
আসুক এক এক আলোকময় সন্ধ্যা ;
সেই বিশ্বাস থেকে করি সাদর অভ্যর্থনা নতুন বছরের:
যাক কেটে এই বিপদের অমানিশা,-
হোক ধরণী তোমার,আমার সবার।।

-

কবিতা তুমি
কবিতা তোমায় কী নাম দেব!
সেই নরম মাটির বুক থেকে ওঠা ;
ভালবাসার প্রদীপে দীপ্ত মান জীবন্ত ফসিল,,
মাটির বুক চিরে ঝরে পরে,
কত শব্দের বিবর্ণ কাঁকর!
যায় বয়ে কার্নিশ বেয়ে,
মুচড়ে সকল ঘাস ফুলের প্রস্ফুটন ;
তোমার হৃদয়ের উষ্ণতা,বানভাসি যৌবনের স্পৃহা,
ঘটায় কত রসায়ন ঘোলা জলে।
শিশিরে ভেজা ফুল ক্রমশ হয় স্বচ্ছ ;
নিজের উন্মাদনায় প্রশ্ন করে,
বলো কী ভাবছো তুমি কবিতা?
কোথায় থামবে এই অভিনয়ের নকলি খেলা??
কবিতা তুমি জবাব দাও,-
আমার হাঁটার পথ কী এতই কালো ছিলো?
এতোই ছিলো তার অসহায়তা!!
নাকি ক্রোধে গেছে পুড়ে সকল আগুন অন্তরের,,
আজীবন ভালবাসা সেই নীল মায়াবী ঠোঁটে,
আজ দেখি মহাপ্রলয়ের স্পর্শ!!
ঘৃণার বারুদে যেন জ্বলতে থাকে সলতে হীন মোমবাতি!!
কবিতা তুমি বোলো,-
এই কী আমার প্রেম,ত্যাগের পুরষ্কার?
তবে এই নিয়ে করবো আমার কাব্য সাধনা,-
অনু পরমাণুতে ভেঙ্গে দেব সকল বেষ্টনী,
কল্প নারীর মত ঝরাবো শব্দ জীবন কবিতায়,,
তোয়াজ করে বাসব ভালো তাকে ;
ভরাবো জীবন কবিতার বারি ধারায়।।

-

বড় দিন

ছোটো বাতাসের দলে আজ আলো ফোটে ,
কেউ এসে দেয় ঢেকে সব ঝাউ পাতার কোলাহল!
দূরে কেউ জেগে রয়েছে কি ?
নিভে যাওয়া সময়ের মেলেনি কোনো খোঁজ ,,
তবু কেউ এসে যেন বলে যায় কানে কানে ,
আজ যে যীশুর আগমনের দিন-
আজ তো সবার বড় দিন।
সবার বড়দিন সত্যি কি সবার!!
আজ ও পারদ নামে শহরে ,
খিদের জ্বালায় ওরা তো কাঁপছে পথের ধারে ,
শহর জুড়ে কত ঝিলমিল আলোর চোখ ধাঁধানো বাহার,-
এত কিছু আদতেই তাদের জন্য নয়!
তারা শুধু চায় একটু খাবারের টুকরো ,
মিটবে যাতে ওদের পেটের জ্বালা,
এই সব কেক উৎসব ওদের জন্য নয়
ওদের জন্য নয় ওই রেস্তোরার ঝলকানি !!
ওরা যে আস্তাকুঁড়ের কীট ,সভ্য সমাজে মিশবে কি করে ??
এটাই কি সার্থকতা যীশুর বলিদানের !!
আজ তাই অনুরোধ সবার কাছে ,
দিও ওদের বেঁচে থাকার রসদ টুকু ,-
সান্তা হয়ে বাঁচাও প্রাণ ওদের ,
মানবে জগৎ এই শীতেরশহর ও ম্যাজিক জানে।।

-

ক্ষয়প্রাপ্ত চাঁদ চায় বেঁচে থাকার আশ্বাস,
দীর্ঘশ্বাস বারবার জীবনে ফিরে আসে!!
বুকের পাঁজর চায় মিলুক রামধনুর রং,,
অনুভূতি একাকী নিভৃতে বসে হাসে।

-

দুচোখ বোজা কল্পনাতীত শহর আমার,
দেয় স্রোতস্বিনীর সঙ্গ ছাড়ার খবর!
যেসব পাতা বিবর্ণ প্রবল শীতে;
তাদের আজ সবুজে রাঙানোর বহর।।

-