উদাসী কোকিল ডাকে
কৃষ্ণচূড়ার ফাঁকে ফাঁকে
মদনদেব দেয় আবির ঢেলে...
নতুন পত্র-পল্লব জাগে গাছে
দল বেঁধে গুনগুন ভ্রমরায়,
বউ কথা কও পাখি বলে, হায়
প্রিয় তার রয়েছে দূর প্রবাসে!
শান্তনু গুড়িয়া
-
কুলুকুলু বয়ে যাবো
উৎস হতে মোহনা অবধি|
যাত্রাপথে কুড়িয়ে নেবো
হরেকরকম স্মৃতিসুখ এবং জঞ্জাল|
জ্ঞানপাপী মানুষে
আনছে যখন কুমির ডেকে
কেটে নিজের হাতে খাল !
শান্তনু গুড়িয়া-
রয়েছে অপেক্ষায় প্রিয়তমা বধূটি তোমার
সময় হয়েছে দুঃখের ডালি তার
উজাড় করে দেবার|
তুমি আকাশ, তুমি তার প্রিয় মধুমাস
পরাক্রমে ও আস্ফালনে
ভালোবাসার আন্দোলনে
নন্দিত নক্ষত্রের নিচে
হবে ছন্দিত সহবাস|
শান্তনু গুড়িয়া
-
প্রবল জল ছলছল ছন্দে
খুশিয়াল আনন্দে নাচছে বৃষ্টিমেয়ে,
আঙিনা দুয়ার ভিজে একাকার
উতল বাতাস এলো ধেয়ে...
--- শান্তনু গুড়িয়া
-
মনখারাপের মেঘ
বিয়োগব্যথার বজ্রপাত
স্বপ্নভঙ্গের ভূমিকম্প
নৈরাশ্যের ঝড়
স্মৃতির বাড়িঘর
নামবে কখন...
ভালবাসার বৃষ্টি?
শান্তনু গুড়িয়া-
পাগল হওয়ার প্রেস্ক্রিপশন
খাঁচার ভিতর পাখির মতন
ছটফটায়, গেয়ে ওঠে গান হতাশায়
দাঁড়িয়ে দরজায়
মৃত্যুদূত|
শান্তনু গুড়িয়া-
ঠোঁট এমন দরজা
চুমুই একমাত্র খুলতে পারে,
বন্য প্রেমের পারায় ধন্য থার্মোমিটার
হাতহীন হাতছানি
দুর্নিবার!
---শান্তনু গুড়িয়া
-
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে,
নিক্ষিপ্ত হলেও অন্ধ টানেলে;
মনে রাখো আশা---
পাবেই আলোর দিশা|
আপ ভালো তো জগৎ ভালো---
চাপা যত যৌনতা ও অবদমনে,
গা-ধাক্কাধাক্কি আর কীর্তনে;
অন্ধকারে আচ্ছন্ন মনে
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালো|
---শান্তনু গুড়িয়া-
জীবন
কষ্টের সঙ্গে কোলাকুলি
দুঃখের সঙ্গে করমর্দন...
---শান্তনু গুড়িয়া-