নিরবতার মহাকাব্য
✍️ শঙ্কর ঘোষ

তোমাকে কতবার দেখেছি নিরব
কলেজে ঢোকার মুহূর্তে কিম্বা বেরোতে
আড়চোখে শূণ্যতা, এক ঝলক !
আম্রপালির নিচে কখনও একাকী...
দেখেছি নিরব তোমাকে
সবার মাঝেই তোমার চকিতে ফিরে দেখা
দেখেছি অপলক সে চাউনি
ভাষাহীনার চোখের ভাষায়-
নিরবতার মহাকাব্য লিখেছিলাম নিরবে।— % &

-

ওঁরা

জানো কি শীতের রাতে পথও কাঁদে !
মানো কি ওঁরা তখন পথেই থাকে
বোঝো কি ওঁরাও মানুষ আমরা যেমন
শোনো কি ওদের বুকের হৃদস্পন্দন
বুঝি না আমরা কেবল লিখেই খালাস
করি না কিছুই জানি সব যেন লাস !
তাই তো জেগে ঘুমাই নেই পরোয়া
জাগো ভাই এখনও সব যায় নি খোয়া।

-

নেতাজী

নেতা তো একজনই,
বাকি সব অভিনেতা...

-

💢শিশু মন💢
মন পলাশের পদাবলী
~শঙ্কর ঘোষ

খেলতে যাবি বল ?
স্কুল ছুটি আজ চল
পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে
মনটা আমার কেবল ডাকে
ভাল্লাগে কি এমন করে
কাটাতে আর বল ?

তোরা নাহয় বেশ মজেছিস
কম্পিউটার, গেমে
আমার যে রে মন পড়ে রয়
সময় কখন হয় বা না হয়
ইচ্ছে করে দৌড়ে বেড়াই
ঐ ও মাঠে নেমে।

-

*অন্তর্লীন*

কতবার হারিয়েছি আফ্রিকায়, লেবাননে...
কতবার মিশরের মমির মতো
সেঁধিয়ে যেতে ইচ্ছে করেছে পিড়ামিডের অন্ধকারে,
কেন জানো, তুমি নেই বলে, তুমি ছিলে না বলে...
উপর থেকে গভীরে তলিয়ে যেতে যেতে ভেবেছি
আমি আর নেই !
ফিনিক্স পাখির মতো এসে হাত ধরেছো...
আজও অমন হলে নাড়ি টিপে দেখি
বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে এমনি করে বাঁচি বার বার,
বাঁচতে যে বড্ড সাধ আমার...

-

সাদা মনে একটা প্রশ্ন- প্রেমে সবাই পড়ে যায়, দাঁড়ায় না কেন ?
লোকে বলে "প্রেমে পড়েছে !"

-

*পরকীয়া প্রেম নিয়ে ঠাকুরের পরোক্ষভাবে বলা এই অমৃতবাণী সবাই মনে রেখো*

গিরিশ ঘোষ দক্ষিণেশ্বরে এসেছেন। ঠাকুর শুধোলেন, *"কি গিরিশ, তোকে একটু যেন উতলা মনে হচ্ছে ?"*

গিরিশ বললেন, *"বলতো ঠাকুর, স্ত্রী-পুত্র-পরিবার, সবই আছে। তবে আমি কেন আমবাগান রামবাগান ঘুরে বেড়াই ?"*

ঠাকুর একটু মুচকি হেসে বললেন, *"দেখ গিরিশ, তুই পুরুষ মানুষ, হাটে বাটে ঘুরে বেড়াতে হয়। খিদে পেলে ঘরের বাইরে একটু আধটু চপ কাটলেট খেতে ইচ্ছে করলে খাবি। তাতে দোষ হয়না। তবে দেখিস, বাড়ির ভাত কিন্তু ফেলবি না"*

*জয় ঠাকুর*

-

ভীষণ অসুখ

পৃথিবীর আজ ভীষণ অসুখ
বুঝতে পারো তো ভালো।
কিছুদিন যদি এমনি চলে
নিভে যাবে সব আলো।

তুমি তো ভীষণ বুদ্ধি ধরো
চালাকিতে ওস্তাদ !
শুধরাও যদি সবথেকে ভালো
নাহলে তো বরবাদ !

-

এত আলো এ নীল আকাশ
সব তোকে আজ দিলাম,
অন্ধকারের আবছায়াটা
আমার জন্য নিলাম।
তেপান্তরের মাঠ পেড়িয়ে
যেখান দিয়ে যাবি
ভয় পাস না একদমই তুই
ডাকলে পড়েই পাবি।
অন্য সময় নাইবা থাকি
বিপদ যদি আসে
চিন্তা নেই রে একটা ডাকেই
আমায় পাবি পাশে।
অন্য সময় চাস না আমায়
আমার অনেক কাজ
আজকে নাহয় থাক এটুকুই
আমার বকুল গাছ !

-

এত আলো এ নীল আকাশ
সব তোকে আজ দিলাম,
অন্ধকারের আবছায়াটা
আমার জন্য নিলাম।
তেপান্তরের মাঠ পেড়িয়ে
যেখান দিয়ে যাবি
ভয় পাস না একদমই তুই
ডাকলে পড়েই পাবি।
অন্য সময় নাইবা থাকি
বিপদ যদি আসে
চিন্তা নেই রে একটা ডাকেই
আমায় পাবি পাশে।
অন্য সময় চাস না আমার
আমার অনেক কাজ
আজকে নাহয় থাক এটুকুই
আমার বকুল গাছ !

-