মেঘ হয়ে চারিদিকে জমে রক্তের ছোপ
লোভ আর ক্ষমতায় বিপন্ন মানবতা
দূষণে ঢেকে গিয়ে নীতিকথা বিলোপ
দিকে দিকে ধসে পড়ে নাগরিক সভ্যতা।
আর নয় কোনো অন্যায়-অবিচার
আর নয় কান্না-অবহেলা-হাহাকার
সমবেত সুরে আজ করি অঙ্গীকার-
"এক বাক্যে চাই শুধু ন্যায্য বিচার"।
-
তুমি কি আসবে নাকি হাওয়ায় হাওয়ায়
ইচ্ছেরা মিশবে সুখে চাওয়ায় পাওয়ায়
মেঘেরা ক্লান্ত ভীষণ,ভিড় জমিয়ে
আকাশ ঢেকে আঁধার জমায়
তুমি কি আসবে নাকি হাওয়ায় হাওয়ায়
শ্রাবনের হাওয়ায় হাওয়ায় মেঘ আসে আর
ধেয়ে ধেয়ে বৃষ্টি আসে বারংবার
আসেনা তবু সুবাস তোমার,
ঘটেনা ভালোবাসার সংহার।
এই শ্রাবণে তুমি কি আসবে নাকি হাওয়ায় হাওয়ায়
স্বপ্নেরা শিখবে আদর তোমার ছোঁয়ায়
ভিড় মেঘে বসত গড়ে, মায়ায় জুড়ে
বৃষ্টি হয়ে ঝরবো দু'জন সাঁঝের বেলায়
তুমি কি আসবে নাকি হাওয়ায় হাওয়ায়?-
ঠিক সে'বারের মতো
.....
যে'বার নতজানু হয়ে অবাক পৃথিবী
তোমার পায়ের সামনে সাদা করবী সাজিয়েছিলো,
বৃষ্টির স্বচ্ছতায় ধুয়ে মুছে সাফ করেছিল
তোমার বিবর্ণ, ক্লান্ত, পরাজিত চেহারা;
ফুটে উঠেছিল শান্ত শীতল মুখখানি।
ঠিক সে'বারের মতো বৃষ্টি আসুক নেমে-
শান্তি ছড়াক ধুলোময় এই উপত্যকায়,
ঠিক সে'বারের মতো সাদা করবীর প্রেমে-
আমাকেও নাও তোমার লুপ্ত উপত্যকায়।-
তোমার আমার দিন পাওয়া যায় ইতিহাস খুঁড়ে,
কিছু ভালোলাগা পুরোনো গানের মায়াবী সুরে।-
খেলা জমে আছে মাঠে
হবে ইস্কুল থেকে ফিরে
গনগনে রোদের আঁচে
কোনো এক গ্রীষ্ম দুপুরে।
কাল তুই বাড়ির পথে
বলেছিলি খেলবি আজকের ম্যাচে
এভাবে কথার খেলাপে
পড়ে গেছি আমি মহা প্যাঁচে।
ঘুড়ি রাখা আছে সিঁড়ি ঘরে
মাঞ্জাটা একবার ঘষে নেয়া যাবে
এবারের শীতের ছুটিতে
পুরো আকাশটা কিনে নেয়া হবে
এভাবে ভুলে গেলে কি চলে
লাটাই টা একা ধরে ছাদে
কত শত ঘুড়িদের মিছিলে
দরদামে জড়িয়ে পড়েছি কি ফ্যাসাদে।
ঝিল ভরে বর্ষার জলে
চুপিচুপি গিয়ে হুড়োহুড়ি হবে
জমা জলে ঘাসের উপরে
গোল গোল চিৎকারে ভরে যাবে
ফিরে গেলি যেই ছাতা,সাইকেল নিয়ে
কত আশা ভরে রেখে গেলি এই নদে
বানভাসি আজ, বন্যার জল ঘরে ঢুকে গিয়ে
তুই ছাড়া রয়েছি কি মহাবিপদে।-
শেষমেশ
...
যে রাতে হেরে গেছি
সব ছেড়ে গেছি
পাতা নেড়ে গেছি,ভোরবেলায়
কাকপক্ষীও জানেনা
সকালের আকাশ ও জানেনা।
অঝোরে ঝরে গেছি
দূরে সরে গেছি
তারা হয়ে মরে গেছি,সাঁঝবেলায়
দাররক্ষীও জানেনা
আঁধারের মায়া ও জানেনা।
জানে শুধু মৃত উল্কারা ছায়াপথ ধরে,
আর জানে ঝিঁঝিঁ পোকা ব্যথার শহরে।
খেলাশেষে দেখি যত ভুলগুলো সব ফুল হয়ে বাঁচে,
শেষমেশ আর হেরে যাওয়া হয়নি,হারাটা যে ছোঁয়াচে।-
শেষ চুম্বন
-----
একই সাথে শেষ হয়, নিভু নিভু ঐ সূর্যের আগুন,
শীতেও মনে হয় শরীর জুড়ে বইছে নব ফাগুন,
পাতা ঝরে যায় ঝুপঝাপ ঠোঁট জুড়ে শুধু কম্পন,
আঁখি মুদে শেষ বার নিয়ে যায় প্রিয়া,শেষ চুম্বন।-
পরিযায়ী
-----
উড়তে থাকে,ঘুরতে থাকে
ঘর ছেড়ে কত শত পথ দূরে-
হয়তো মরসুমি কোনো তাড়নায় বা
স্মৃতিচারণায়,ওরা দলেদলে জলাশয়ে ভরে।
ওদের বহুদিন ঘরে ফেরা নেই,
তবু তাড়া নেই,বেরিয়েছে কিছু সন্ধানে।
পড়ন্ত বিকেলে নেই কোনো সাইরেন,
ধরবেনা ট্রেন,ফিরবে তো নিজ সাম্পানে।
ওরা বুঝি মায়া জানেনা,বোঝেনা,
নাকি দায়ভারে নত আবেগ ক্ষণস্থায়ী।
সব ভুলে যায়,জীবন ভোলেনা শেষমেশ
ওরা দূর দেশের দূর আকাশের পাখি পরিযায়ী।-
সে রাখাল হবে ভেবেছিল
----------
সে রাখাল হবে ভেবেছিল-
দুপুরের খোলা জানালায়,
এক বসে যতদূর চোখ যায়
নীল আর সবুজে,আরও ডুবে যায়,
ডুব! ডুব! ডুব! শেষ সীমানায়-
মোলায়েম ঘাসে ঘাসে গরু চরায়
এক আকাশ নীল শামিয়ানায়।
অবশেষে ক্লান্তিতে গোধূলির নিরালায়
সে মন ভেজা অশ্রুতে কেঁদেছিল,
সে তো রাখাল হবে ভেবেছিল।-
সেই ভুল
'''''''''''''''
যে ভুল শুধরোবে না আর
মন তো তাতেই ছারখার,
তুমিও জানো,আমিও জানি-
দেখা হবেই তো আবার।
তবুও সেই ভুলগুলো
বানিয়েছে ঘর এলোমেলো,
দিনের শেষে ভীষণ মানি-
ফিরতি হাওয়ায় রোজ হাত ছুঁলো।-