সম্পর্ক
কাছে এলে বুকে আগলে রাখো
নয়তো তা ভেঙে যাবে।
নীরবে রক্তাক্ত হও, নিজেকে হারাও,
নয়তো সে দূরে হারাবে।
সঞ্জয়-
ছেলেটি লিখেছিল - পাহাড়ে যাবো
মেয়েটি লিখেছিল - না, নদীর ধার
দু'জনে গিয়েছিল - ঝরনার কাছে
মেয়েটি নদী পেলো, ছেলেটি পাহাড়।
সঞ্জয়
-
অভিমানি মেয়েটি লিখেছিল - বৃষ্টি হয়ে মুছে দেব সব ভালোবাসা
ছেলেটি লিখেছিল - দাও তবে।
মেয়েটি বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিলো ছেলেটির শরীর!
ছেলেটি বৃষ্টির জলে লিখল- মন থেকে মোছাবে কী ভাবে?
সঞ্জয়
-
অশুচি না হলে কবিতা আসে না হৃদয়ের আশপাশ।
©সঞ্জয় দাশগুপ্ত।
তবু বসি। কাগজ কলম হাতে।
রোজ সব ঠিকঠাক হয় না।
আবার কখনও মদের গ্লাসেও ঢেউ ওঠে !
কবিতা এমনই!
অশুচি না হলে কবিতা আসে না হৃদয়ের আশেপাশে--
শুদ্ধতায় সীমাবদ্ধ থাকি-- ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশে।
-
অনুধাবন
১
যখনই টের পাই যন্ত্রণায় ভাঙচুর হচ্ছে ভেতরটা
তখন শুধু বুঝি একটু আগে সুখে ছিলাম আমি।
২
'সত্যি' শব্দটাও ভীষণ আপেক্ষিক।
তুমি চোখের সামনে যেটা দেখছো,
সেটা ভানুমতির খেলাও হতে পারে,
তুমি যেটা ভাবতেও পারছো না সেটাই হয়তো সঠিক!
সঞ্জয়
-
ডানা
একজোড়া ডানার খোঁজে
আমি বারবার ছুটে গিয়েছি ঝড়ের কাছে,
মেখেছি বজ্র-তাপ,
পেয়েছি অসংখ্য পাখির লাশ,
খুঁজে পাইনি ছিন্নডানার কোনো নির্দিষ্ট সংবাদ।
©সঞ্জয় দাশগুপ্ত
-
ভাবছো যারা অন্ধকারে বসে
এর পরে কী হবে?
এ কথাটাও মনে রেখো তারা
এদেশেরও সূর্য কিন্তু ডোবে।
সঞ্জয়-
দু লাইনের দুটো
সঞ্জয় দাশগুপ্ত
স্বপ্নও ছাড়েনি আমাকে
আমিও ছাড়িনি তাকে।।
পিপাসা মেটাতেই ছুটেছি সারাটা জীবন
মরিচিকা হোক বা খরা, জল ঠিক খুঁজে নেবে মন।।-
একটা ছবি এঁকেই দেখি
ক্যানভাসটাও মেঘের মতোই ফালাফালা,
একটা ছবি এঁকেই দেখি
চাঁদের রুটি, পাঁচ-ছটা হাত, আকাশ একটা ভাঙা থালা।
সঞ্জয়
-
দুটো কবিতা
কথা কও
রোদ্দুর রোজ আসো, জানলায়ও বসো।
পরে ফিরে যাও। অন্তত কিছু কথা কও।
ভালোবাসা
এই তো পেতেছি হাত, শূন্যতা দাও।
এই তো পেতেছি বুক, হৃদয় পোড়াও।
সঞ্জয় দাশগুপ্ত
-