অবসাদের স্বাদ পাই না আর,
গলা শুকিয়ে গেছে,
ওই একই ঘ্যানঘ্যানের পর
আবার বেরঙা বাড়িটায় ফিরে আসতে হয়।
ওরা বুঝতে চায় না
নাকি বুঝতে পারে না জানা নেই।
তবে ওরা স্বাদ নিতে চায়।
পায়ে ঠেললে হাতে আসতে চায়।
ভালোবাসলে ভালো রাখতে চায়।।-
যারা আকাশ ভাঙার গল্প করে
শোক মেখে নেয় ঝুড়ি ঝুড়ি ।
তাদের গাঁয়ে খাস বসন্ত
দিচ্ছে পাড়ি।
তুমিও তো পালকি করে
চোখ নামিয়ে আসতে!
কি না! ভাবসাগরে নাইতে বসো
উল-কাটা সব নিয়ে।
বলবে এবার খেই হারালে
ছন্দ গেল কই!?
উঠোন ঝেড়ে বস্তাপচা শব্দ খুঁজে নেই।-
বহু অচেনার ভীড়ে চেনা হয়ে ফিরে এসো।
শহরের অচেনা ঘুমে বিলীন হয়ে
আবার ফিরে এসো।
সুখের কি দিন! অসুখের বারোমাস।
শুধু তুমি পরিচিতা বাকি সব অ্যানোনিমাস।
আজকাল প্রেমের কবিতা গুলো আমায়,
কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
শুধু মনের অসুখে ভুগেছি তিনদিন।
একটা নতুন হাওয়া আর কিছু উজবুক শব্দ,
সারাদিন করে চলেছে জব্দ।
প্রাক ডিসেম্বরের শীতল হাওয়া,
অমোঘ চাওয়া আর...
সোনালী রোদ্দুর।।
-সংsthita
-
প্রতিদিন ছন্দে ছন্দে বাঁচি,
কাল যদি শেষটাও হয়
তবু যেন হাসি নিয়ে সাজি।
কাঁচের মতো স্বচ্ছ অতীত,
ভাবনায় আকুল নতুন মন।
রংতুলির ঐ অসীম সম্ভারে
ব্যস্ত শহর, ধুঁকছে সে জন।
-©সংsthita🥀
২৫/১১/২০২১
-
অবেলার অকারণ মনখারাপ,
গুম হয়ে থাকা ঘরে হুহু করে হাওয়া,
আবছা হয়ে যাওয়া অতীত।
কোত্থেকে যেন একরাশ
গুমোট হাওয়া এসে ধরা দেয়।
ওতে লেগে থাকে বিষাদের মতো অসুখ।
যে বিষাদের কারণ নেই, আকার নেই, রং নেই,
শুধু আছে গুচ্ছ গুচ্ছ ধুলোমাখা স্মৃতির দাগ।।
-
একটা শীতের গল্পে,
ওম জড়ানো কম্বলে,
খুঁজছিলাম রোদ মাখানো মায়া।
ঝলমলে ঐ পূবের বাতাস,
পাতার ডগায় সুর এঁকে যায়।
রঙিন ঐ আলোর মালায়
মুখ ডুবিয়ে হতাশ।
জংলি সে ভাবের বসে,
মোহের তাড়ায় হাত পেতে চায়।
সন্ধ্যার ঐ অন্ধকারে
মুঠো শিশিরের ভাগ পেতে চায়...
-