যেখানে মানুষ প্রশংসিত এবং মূল্যবান,
মানুষকে সেখানেই যেতে হয়।
নিজের মূল্য প্রথম নিজেকে জানতে হয়।-
মায়ের চাদরে,
মায়ের আঁচলের খুঁটে,
ভালোবাসা ভালোবাসা ভালোবাসা।
মায়ের হাতের ভাতের মাপে,
মায়ের আঙুলের হলুদের ছোপে,
মায়ের গায়ের সপসপে ঘামতেল ভাপে,
ভালোবাসা ভালোবাসা ভালোবাসা।
-
বসন্ত বাতাসে ওড়ে মুঠো মুঠো রং-বেরং গুলাল,
দোলপূর্ণিমা রাতে রূপোলি চাঁদে আবীরের লাল।
শুভ হোক দোলযাত্রা ও হোলি উৎসব-
সময়টুকু ছিল ধরা হাতের মুঠোর মাঝখানে,
যে সময়ে যখন তখন বাজত সুর তালে প্রাণে,
হঠাৎ সময় উথালপাথাল মাতাল ঝড়ে ঢেউয়ের টানে,
পিছলে গেল কোন গভীরে ভেসে গেল অকাল বানে।-
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যেকমললোচনে,
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি নমস্তুতে।
বাগীষা বরণে পীত পলাশ রাখি দেবীর রাঙা চরণে,
বীণার তারে বন্দনা বাজে রাগ হংসধ্বনি মনোহরণে,
শব্দজম, চতুশ্রুতি ঋষভম, অন্তরা গন্ধরম, পঞ্চমম, কাকলি নিষাদম,
বিলাবল ঠাটে বিশ্ব সংসার অনুরণিত শঙ্করাভরণে।-
একটি মেয়ে পৃথিবীর যাবতীয় গুণ নিয়েই পৃথিবীতে জন্ম নেয়। যদিও সে চিরকাল বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে না, তবুও চিরকাল বাবা-মা তার মনের মধ্যেই থাকে।
মেয়েরা সবসময় বিনাশর্তে ভালবাসা, আর মাথায় করে সর্বস্ব দেখাশোনার জন্যই জন্ম নেয়। মেয়ে সন্তানের বাবা-মা হবার ভাগ্য কিন্তু সবার হয় না। যে ঘর সৃষ্টিকর্তার পছন্দ সে ঘরেই মেয়ের জন্ম হয়।-
কোনো একদিন রাত পোহালে,
বা কোনো একদিন সন্ধ্যা হলে,
কে জানে কখন সে ডাক আসবে চলে।
হয়তো ঘুমভাঙা কোনো ভোরে,
অথবা রাতদুপুরে ঘুমের ঘোরে,
কে জানে কখন ডাক দেবে সে জোরে।
তারপর সব মায়ার বাঁধন কেটে,
তার পিছন পিছন একলা হেঁটে,
পাওনাদেনা হিসেবনিকেশ যাবে মিটে।
পা ফেলতে সিঁড়ির ধাপে ধাপে,
যদি একটুখানিও বুকটা কাঁপে,
তবুও সে যাত্রা জারি নির্ভীক পদক্ষেপে।
-
নাছোড়বান্দা কিছু আশা নিয়ে বুকে,
আশায় ঢেলো না জল, বরফ দিয়ো না ঘষে।
আকাশ থেকে পৃথিবীতে নামতে হলে ঝুঁকে,
একটা ভুল মানচিত্র চাই বলে হাঁকতে পারো,
তবে শোনার জন্য থাকবে না কেউ, একলা থেকো সর্দি-গর্মির দোষে।-
পরিত্যক্ত স্টেশনের ফাটাচটা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে,
কে বলতে পারে তোমার প্রার্থনায়,
ঝমঝম শব্দে ট্রেন আসতে পারে পার্থিব দূরত্ব পেরিয়ে।-
বাতিল সুখ অসুখ আর অসূয়া পিছনে ফেলে,
বাঁশির সুরে হতে পারে ভয় জয়,
নিজেকে পরিস্রুত শোধিত পরিণত করে ফিরে এলে।-