অস্থির নগরের একপ্রান্তে ঢেউ আজ
বালির প্রলেপ মেখে তার পাশে বসে কারা?

আনমনা চাঁদ যেনো ভেসে যায়
হুঙ্কারে শুনি কেঁদে যায় ওরা।
তবু মন চায়,
আমিও তোমাকে ছুঁয়ে দেখি চোখ বুজে
আলতো ঠোঁটে জল কুড়িয়ে আনি
দু - এক টুকরো করে।

-

তোমার জন্য নদী হবো বলে,
হারিয়ে যায়নি আজও
অকাল শ্রাবণ ভিজিয়ে গেলো
মেঘমল্লার সাজিয়ে তোমার নামে।
দুরন্ত এই সাঁকো বেয়ে
ধরেছি তোমার হাত
ছাড়লে তুমি হঠাৎ করেই
এই স্রোতের সাথ।

-

অবাক হয়ে চেয়ে রই খাতার দিকে
আশেপাশে নেই কেউ,
অস্ফুটে আঁকা দুঃখগুলো দুমড়ে মুষড়ে পড়ে আছে
ওই কাঁপা হাতের শিরায়।
আজ আবার ঝিমঝিম শরীর,
নীল নাইটবাল্বের আলোয় এক জরাজীর্ণ পৃষ্ঠায়
একটা, দুটো করে আস্তে আস্তে গোল পাকাচ্ছে শব্দ
হাতে ধরা সাতদশকের অস্ত্র উলম্ব ' পার্কার '।

টাইমমেশিনের গোলকধাঁধায় আটকে পড়ে
হাজার হাজার রতন খুঁজে পাই,
পৃথিবীর আলো, জল দখল করে নেয় তারা;
সাথে এক সমৃদ্ধ জীবন,
আর অন্তহীন সুখ।

সহস্র অনুভূতি অভিভূত হয় আমার ঐ
একটুকরো আচ্ছাদনে
এক সায়রের নিচে লিখি অকাল বর্ষণের গল্প,
ছিটেফোঁটা কালি পড়ে আছে আর
এক আকাশ শান্তি খুঁজে পাই যেখানে
জীবনের শেষ পাওয়া মুছে যাক তারই কালিতে।
খুঁজে পাওয়া সম্পদ শায়িত থাকুক
অভিমানে, অনুরাগে
দোয়াতের আড়ালে।

-

তোমার জন্য নদী হবো বলে,
হারিয়ে যায়নি আজও
অকাল শ্রাবণ ভিজিয়ে গেলো
মেঘমল্লার সাজিয়ে তোমার নামে।

-

|| সুখী আমি ||
~~~~~~~~~~~~~~
দূরে, বহুদূরে নীল আলোর নিচে রাত্রি নামে
পাহারাদারের বাঁশি শুনে,
ফেরিকরা মাটির পুতুলের বায়না কমে।
বহুতলের নিচে দাঁড়িয়ে খান দশেক রাজারানি মাথায়,
এবার বাড়ি ফেরার পালা।
ভিজে মাটি, ভ্যাপসা দুপুর আর কনকনে নিশি
সারাবছর কপালের অক্লান্ত চাকা ঘোরে
মাঝে মাঝে গোটা দুনিয়ার চোখে
এক চিমটে ধুলো হয়ে বেঁচে রই।
লম্ফের আলোয় দুটো সীমাহীন অপেক্ষারত চোখ
আজ হয়তো নুনভাতের পালা ঘুচবে
একটু শাকপাতা জুটবে।
ছোট্ট মেয়েটার আবদার নেই, অভিমান নেই, দুঃখ নেই
আছে অবাধ বিশ্বাস।
হঠাৎ - ই বৃষ্টি নামে
দর্মার চাল চুঁইয়ে বিন্দু বিন্দু জলকণা,
তারই নিচে আজকের আহার পড়ে।
আমদের দিন নেই, মাস নেই
আছে শুধু কালকের চিন্তা।

তবুও শত শত উচ্চাকাঙ্খীর ভিড়ে আমিই ' সুখী '
এইটুকু আশা নিয়ে সাতরঙা রামধনু খুঁজি।

-

|| অন্তহীন ||
••••••••••••••••••••••••••
মানুষও ভীষণ ছোঁয়াচে;
অবাধ জলের আশ্রয়ী হয়ে অনন্তবার ডোবে
মস্ত পাহাড় ভাঙ্গে
পাহাড় সমান মন ভাঙ্গে।

একফালি চাঁদের উপর শুয়ে
আকাশ আঁকে। শুধুই কি ছবি?
নাকি মায়াবীর খোঁজে!
একঝাঁক চুল এলিয়ে শুয়ে থাকে যারা
একটা, দুটো করে জট পাকিয়েছিল
এলোপাথাড়ি দুঃস্বপ্ন ডুকিয়ে কাঁদে
রোজনামচার গল্পে।

মানুষও ভীষণ বেমানান;
বিশেষণে, সমার্থকে আরো কতো কিছুতে।
আসলে চাওয়া পাওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক-
মুষ্টিমেয় পুঁথির যুগে নিরন্তর খুশি দাঁড়িপাল্লার সমান।

যেদিন একটা গোটা আকাশ ভেঙে
মাঝবয়সী সুখ নামবে
তাদের দলে নাম লেখাবো, এই ছোঁয়াচে দুনিয়ায়
হারিয়ে যাবো অজানা অসুখে;
তোমার সাথে একই ' মননে ' ।।

-

নোংরা একটা দেহ,
যার অস্তিত্ব নেই, প্রমোদ নেই
কিংবা ভালোবাসা নেই কোনো,
ওরা তার বাড়ি বলেছিল ' অন্ধকারে '!

আধভোরে খোলামেলা কান্না আর যন্ত্রণা,
ছুঁড়ে ফেলা আমোদ-
একাকার হয়েছে দুটো পয়সার জোরে/

সে ' যতবার কেঁদেছিল, এক প্রকান্ড আকাশ
স্তব্ধ ছিল, ততবার কেঁপেছিল অতীত
বুঝিয়ে দিয়েছে আড়ালে,
' তোর কেউ নেই গোটা বিশ্বের দুয়ারে'!

একবার এসেছিল স্বপ্নে,
পলক ঘেঁষে উড়ে গেছে ছাই হয়ে
এলোমেলো চুলে ভালোবাসা নেই
রয়ে গেছে লালসার চাহনিরুপী কঙ্কালে//— % &

-

।। আহত গোলাপ ।।
---------------------------------------------

আশ্বিনের কাশ বিছানো নরম বিছানায়
কলঙ্কিত দুটি হাত ছড়িয়ে
ঘুমন্ত পরীর মত এক মেয়ে।
চারিদিকে মাছিদের ভন ভন, কীটদের সারি
এবার পুজোয় মাকে পরাতে চেয়েছিল -
হলদে সবুজ শাড়ী।
ভাইয়ের চেক শার্ট আর বাবার সাদা পাঞ্জাবি
টিউশনের টাকাটা কাল হাতে পেলেই
সামনের সোমবার -
ভাবতে ভাবতে ফিরছিল বাড়ি।
চারিপাশে কালো আঁধার, হিংস্র নখদর্পণ;
খেয়াল পড়েনি তার কাজল চোখে।
বোবা কান্না শুনতে পাইনি সমাজের কিছু লোক,
পরাগরেণু মাখা স্বপ্নগুলো -
তিলে তিলে মেরে ফেললো দুর্ভেদ্য নরক।
পুকুরের পাশে শ্যাওলা ধরা দেওয়ালে-
আবছা হয়ে যাওয়া সাহিত্যের পাঠরতা,
অর্ধশতবর্ষের চঞ্চলা চমক - জমক শেষে
সমাজের নির্মম কালিমায় নিস্পন্দন রসিকতা।।

-

|| The love forever' ||
~~~~~~~~~~~~~~~~~
At the end
We all searching the power
Born to be bright and finding
Nearest pleasure.
My eyes remember that comfort
Where we loved,
Nor the desire penned the blur.

Because of the destiny
The tiny dream never
effect the solid warm,
it will spark to them and
Be with the lovable flavour.

Somewhere
"All are cherish to love"

-

থেকে যেও আটপৌড়ে বিকেলের মাঝে
ডুব সাঁতারে কাটিয়ে দেব জীবন,
স্মৃতির ভাঁজে জমছে ধুলো বেশ
তবু মনের ঘরে অকাল মৃত্যুর প্লাবন।

কয়েকটা বছর শেষ করে আজ
কালচে গোলাপ পাল্টে গেছে যেই,
বিষাদ খাতায় রক্তে লেখা আদর
আমার তুমি তেমন আছো কি?

ওই শহরে তুমি আছো জানি;
স্টেশন রোডে ঝালমুড়িটা নেই,
হাতের ওপর হাত রাখতে জানো
তবু ভবিষ্যতে লুপ্ত তোমার আঁখি।

সামান্য ছিল একতরফাটা যেমন
ভালোবাসা নাকি দুইদিকে হয় না,
ঠুনকো জ্বরে পুড়ছে মনের পাতা
সবাই কি আর পলাশ ফুলে ভালোবাসি?

-