"আমার যাকে ভালো লাগে তার থেকে আমি বেশ কিছুটা দূরে থাকি, আর আমার যাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালো লাগে ও যাকে ভালোবাসি, তার কাছ থেকে আমি অনেএএএএএকটা দূরত্ব বজায় রাখি। কারণ প্রিয়জনেরাই প্রয়োজন বানিয়ে দেয়।"
- সঞ্চারী ভট্টাচার্য-
জন্ম : 3রা জানুয়ারি ,1990 ... read more
কেন দেখিস দুহাত তুলে ভেসে বেড়াবার স্বপ্ন,
যখন জানিস এই চারদেয়ালই তোর সঙ্গী|
কেন ভাবিস তার হাত ধরে মুক্তির পথে হেঁটে যাবি,
কেন ভাবিস তোর বন্ধ নিঃশ্বাসে আবার প্রাণ ফিরে পাবি|
কেন ভাবিস স্তব্ধ হয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো আবার ফিরবে,
একে একে যা হারিয়েছে তোর,
কেউ আবার ফিরিয়ে দেবে|
পারবি কি একচোখ স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে?
পারবি কি পায়ের শেকলগুলো কাটতে?
পারবি কি ফেলে আসা পথে আবার ফিরে যেতে?
পারবি কি তাকে নিজের করে মনের অন্তরে পেতে?
পারবি না বলেই বোধহয় তার কল্পনা নিয়ে থাকিস!
বুঝিয়ে যখন ক্লান্ত নিজেকে,
তবুও কেন ভাবিস?-
“আমি সেই অবহেলা,
আমি সেই নতমুখ, নীরবে
ফিরে যাওয়া
অভিমান-ভেজা চোখে
আমাকে গ্রহণ করো ।
উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া আমি,
সেই প্রত্যাখ্যান,
আমি সেই অনীচ্ছা নির্বাসন বুকে নেওয়া
ঘোলাটে চাঁদ।
আমাকে আর কি বেদনা দেখাবে?”-
নীরবে জ্বলি আমি,নিভৃতে পুড়ি আমি
বিরহের আগুনে,একা ঘুরি,একা ফিরি
একাকীত্বের নির্জনে,অজানা গোপনে ।
উজান ঢেউয়ে ভাসি আমি,উজান গাঙের তীরে ।
দমকা হাওয়ার উড়ি আমি,প্রলয় ঘটা ঝড়ে ।
একা ভাসি,একা উড়ি
একাকীত্বের নির্জনে ।
অজানা গোপনে ।
কালো আঁধারে হারাই আমি
অমাবস্যার রাতে,জোনাক পোকাও থাকে দূরে
আড়ি তার সাথে ।
একা ঘুরি,একা ফিরি
একাকিত্বের নির্জনে ।
অজানা গোপনে ।-
অন্তিম ইচ্ছেরা উপাখ্যান হয়ে
হৃদয়ের গভীরতাকে মেপে চলেছে।
ক্ষনিকের কিছু স্পন্দন বাঁচার প্রত্যাশায় আজও -
শেষ নিঃশ্বাসটাই যেন কোথাও আটকে রয়েছে!
এক মুহূর্তে বেঁচে নেওয়া কয়েক জন্মের অভিসার,
অথচ দ্রুতগামী এই জীবনের কাছে,
প্রতীক্ষার রেশ ঠুনকো।
মুহূর্তগুলি শেষ বেলায় ক্লান্ত পথিকের মত হাত বাড়ায়,
এবার যে যেতেই হবে আমাদের-
আটকাবার ইচ্ছেটাও যে বৃথাই!
তাঁকে খুঁজে পাওয়ার লোভই নাকি আমার ভবিতব্য,
প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস বেলাশেষে বলে যায় সেইই তোমার
গন্তব্য
-
জীবনটা যদি কিছু না বলে,
কিছু না শুনেই ঘুমিয়ে পড়ত...
তাহলে এই নীরবতার কস্টগুলো উপভোগ করতে হতনা।
কষ্টের মধ্যে নীরবতা নাকি নীরব থাকার কষ্ট!
না শোনা, না দেখা অভিব্যক্তি হয়েই নয় রয়ে যেত!
জীবন তো বহমান, তার আর কি যায় আসে!
ক্ষতি তো-
সেই মুহুর্তগুলির সহ্য করতে হয়,
যা ঘিরে আছে তারই সুবাসে।-
তোমরা নিয়ে নাও
যে যার ইচ্ছে মত!
তবুও-
একটি ইতিহাস দিতে পারবো না এখনও,
সে ইতিহাস রচিত হোক তারপর|
আমি দিয়ে যাব সব উজাড় করে,
যদি খুঁজে পাও আমার হারানো প্রাপ্তিগুলিকে !
ক্ষয়িষ্ণু ইতিহাসের অন্দরে |-
বাঁচা আর হলো না :-
কল্পনাগুলো নিজের ছন্দে হয়ে গেছে প্রশস্ত,
পাখির মতো ডানা মেলে ক্ষমতা করেছে বিন্যস্ত|
সমাজের মুখে চুনকালি দিয়ে পারিনি তাদের ধরতে,
হাসার মতো হাসতে পারিনি,না পেরেছি লুকিয়ে কাঁদতে!
অদৃষ্টের করুন যন্ত্রণার কথা কেউ পারেনি জানতে|
চুপ করে থেকে থেকে আজ কণ্ঠ হয়েছে রুদ্ধ,
একবার কি দেখতে পারি না নিজের বিজয় যুদ্ধ?
লক্ষ-কোটিরে হারালেও দেখো আমায় হারানো গেল না!
বোঝার সব দায় নিয়েছি বলেই বাঁচার মতো "বাঁচা আর হলো না"||
-