তোমায় একদম না পেতে পেতে হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য যখন পেয়েছিলাম, বুঝিনি দুই ঘণ্টা সময় কিভাবে পেরিয়ে গেছিল। হয়তো ওই সময়ে আসে পাশের ন্যাড়া গাছেরা পাতা ঝরার দুঃখ ভুলে নতুন পাতা জন্ম দেবার পরিকল্পনায় ছিল, সূর্যের লাল আভা আলসে ভাবে বসে বসে আমাদের ক্ষণিকের মিলন উপভোগ করছিল, মন্দিরের দালান টা অপেক্ষা করছিল কখন তুমি আমায় বুকে টেনে নিয়ে বুঝিয়ে দেবে এই না পাওয়ার যন্ত্রণা তুমি আর সইতে পারছো না!
কিন্তু বুকে না টেনে বরং কানের কাছে একপ্রকার কর্কশ ভাবেই জানিয়ে দিলে আমার সময় হয়েছে বাড়ি ফেরার। আমি এরপর বাকি রাস্তাটুকু একলা পথিক হলাম! জানো সেই সময় আমি একা ছিলাম না কিন্তু, ফ্যাকাশে সন্ধ্যে আমার রঙিন মনে মলাটের আবরণে ঢাকতেই মন খারাপি পাখিটা কোথা থেকে যেন উড়ে এল একটাই কথা বলার জন্য।
আবার দেখা হবে...!-
দৃশ্য ১
—উফ্ কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে!
—হ্যাঁ গো এই বৃষ্টি যেন একদম না থামে!
—হুম্ বড্ড রোমান্টিক গো মুহূর্ত টা!
— এই তুমি আজ অফিসে যেও না সোনা!
— না বাবু, আজ শুধু তোমার কাছে থাকবো, আর শোনো আজ কোনো রান্না করবে না!
— তাহলে খাব কি?
— আমি জোমাটো তে অর্ডার দিয়ে দিচ্ছি, আজ শুধু তুমি আর আমি!
— আহা বৃষ্টি যেন কোনোদিনই না থামে, তাহলেই তো এত সোহাগ পাবো রোজ রোজ।
দৃশ্য ২
— মা, বাইরে কি বৃষ্টি পড়ছে গো!
— এ বাবা তাই! ইস্ উঠোনে ঠোঙা গুলো রাখা ছিল তো।
— সব ভিজে গেছে গো মা দেখো!
—যাহ্ সব ভিজে গেল, আজ আর কোনো দোকানে ঠোঙা দিতে পারবো না রে।
— কি হবে এখন মা?
—তাকের উপর ওই কৌটো তে অল্প মুড়ি রাখা আছে, ওটা দিয়েই আজ চালিয়ে নিস মনি।
— তুমি কি খাবে মা?
— দূর পাগলি, আমার খুব পেটে ব্যাথা রে, কিচ্ছু খেতে পারবো না আমি। মুড়ি কটা খেয়ে থাকতে পারবি তো?
— হ্যাঁ মা আমার এতেই হয়ে যাবে। আরে এতো অনেক মুড়ি, এটা আজ দুজনে মিলে খাব কিন্তু, অত আমি খেতেই পারবো না একা!-
মনকেমনের গল্পে আজ যখন ইতি টেনেছ, চিন্তা করো না প্রিয়!
কথা দিচ্ছি, তোমার কালো মেঘের মাঝে রোদের আস্ফালন এনে দেব যুগান্তর ধরে!
-
আমার পাথুরে মন বাড়ি,
তোমার তনুর গন্ধে ভগ্নদশার ভাস্কর্য আঁকে!
দাবানল লেগেছে বুঝলে!
-
আমি চলে যেতে চাই ভালোবাসার দেশে, ভালো থাকার জায়গায়, আবেগী একটা মায়ায়। কিন্তু যেতে পারছি না। একটা টান আমায় ধরে রেখেছে, ভারী অদ্ভুত টান। সেই টানে কোনো ভালোবাসা নেই, প্রেম নেই, মায়া নেই। তবু আটকে আছি তাতে, ও হ্যাঁ সেই টানের নাম তুমি।
হ্যাঁ তুমি আমায় বেঁধে রেখেছ, আঁকড়ে ধরে আছো অনাদরে।
-
প্রহর শেষে মৃত্যুর ফাঁদ পেতেছে, আবেগী হারমানা মন উপত্যকা।
আর আমি কালো মেঘে ভর করে পুরো আকাশ হেঁটে চলি।
-
বুঝলে প্রিয়,
স্বর্গের অভিযান তো সেদিনই শুরু করেছিলাম,
যেদিন এই নরকের উপত্যকায় তোমায় খুঁজে পেয়েছিলাম...!
-
হৈ হৈ করে পুজোটা কেটে গেল, এবার এলো একটা পড়ন্ত বিকেল। অল্প রোদের আমেজে চারিদিকটা আরামপ্রদ,এক পায়রা দাঁড়িয়ে আমোদ করছে। এরপর সন্ধ্যে নামবে, তোমার সাথে হাঁটার কথা ছিল জানি, কিন্তু পাশে অজানা অনুভূতি আজ আমার হাতে হাতটা রেখেছে।
চুপ করে আছি, তাপমাত্রা হীন আবেগ পুষে...!
-
তারপর...
মায়ের জলে অস্তমিত হবার সাথে সাথে এক ভয়ানক অন্ধকার বেরিয়ে আসে চারিদিকে, এক অবাস্তব চুপ কাজ করে প্রকৃতির।যেমন প্রচন্ড তর্জন গর্জন করে ঝড় থেমে যাওয়ার পর এক অদ্ভুত শান্ত হয়ে যায় পরিবেশ, এ তার থেকেও বেশি নির্জন। মন পাখি বুক ভারী নিশ্বাসে বুঝিয়ে দেয় পূজো শেষ হলো...!-
ব্যর্থ থেকে সফল হওয়ার গল্পে যে পরিস্থিতি এবং পরিশ্রম থাকে তাদের শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।
-