- উফ্,পুজোয় এরকম বিষ্টি হলে দারুণ হবে! জলকাদায় বেরোতে হবে না, ঘরে চালেডালে ফুটিয়ে দু'জনে খেয়ে নেবো, কি বলো গিন্নি, অ্যাঁ?
- ওরে কে কোতায় আচিস? আমার আঁশবটিটা দিয়ে যা তো। এই অলপ্পেয়ে মিন্সেটার অ্যাকটা ব্যবস্তা করি...
-
রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। 🇮🇳
আরও একবার সেই প্রশ্নগুলো আসবে "আমরা কি সত্যি স্বাধীন?", "আমরা আজ কতটা স্বাধীন?" ইত্যাদি ইত্যাদি...
এবার নাহয় সেই প্রশ্নগুলো বাদ দিয়ে যাদের জন্য স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের কথা একটু জানি?
কি বললেন? স্বাধীনতা সংগ্রামী? তাদের কথা আবার নতুন করে কি জানবো মশাই? সব তো ইতিহাস বইতেই লেখা আছে …
উঁহু , সবার নাম নেই। জানেন তো শুধু ফ্রন্ট-এন্ডে যারা ছিলেন তাঁদের নাম। কিন্তু, ব্যাক-এন্ড সাপোর্ট ছাড়া কি ফ্রন্ট-এন্ড কাজ করতে পারে?
ব্যাক-এণ্ড? এটা স্বাধীনতা সংগ্রাম না সফটওয়্যার ?
তার থেকেও অনেক জটিল, অনেক রোমাঞ্চকর। ওশান'স ইলেভেন তো নিশ্চয়ই দেখেছেন, কিন্তু আপনি কি জানেন, বাংলার বিপ্লবীরা তার থেকেও অনেক বেশী রোমাঞ্চকর এক হাইস্ট (Heist) ঘটিয়েছিলো , এই কলকাতারই বুকে? একদম খোদ ব্রিটিশদের নাকের সামনে দিয়েই , তাও একটাও গুলি না ছুঁড়ে , রকারক্তি না ঘটিয়ে।
বলেন কি মশাই ? এ যে হলিউড ফেল ! তাহলে তো ব্যাপারটা কালটিভেট করতেই হচ্ছে ...
অবশ্যই করুন, এই নিন, এটা শুনুন 🎧
এখানে এরকম আরও অনেক অজানা গল্প পাবেন, যাঁদের সাপোর্ট না থাকলে আমরা হয়তো এই দিনটা উদযাপন করতেই পারতাম না ...-
- হালুম
- একি? এসব কি?!
- আজ আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস
- কিন্তু তুমি তো বাঘ নও
- নই?
- উঁহু, তুমি হচ্ছো ভিজে বেড়াল
- কি?? এইভাবে অপমান! ঠিক হ্যায়, আপনা ভি টাইম আয়েগা
- হুহ্,ওরম মনে হয়...
-
একদিনের জন্য 'ইউনিফর্ম' নয়, শাড়ী বা পাঞ্জাবী পরার স্বাধীনতা।
সকালে অঞ্জলী দেওয়ার জন্য নাহয় তাডাহুড়ো করে তৈরী হওয়া,কিন্ত তারপর তো সারাদিন মাঞ্জা মারার স্বাধীনতা।
স্কুল-কলেজ-কোচিং ক্লাসে বড় দাদা বা দিদি হয়ে কতৃত্ব দেখানোর স্বাধীনতা।
মায়ের থেকে বায়না করে সেরা শাড়ীটা নেওয়ার স্বাধীনতা ;
তারপর কুঁচি,আঁচল সামলিয়েও চোখে চোখেই অসংখ্য ভো-কাট্টা করে দেওয়ার স্বাধীনতা।
একদিনের জন্য হলেও, 'বড়' হওয়ার অনুভূতি চেখে দেখা, এবং, অবশেষে কুল খাওয়ার স্বাধীনতা।
সরস্বতী পুজো মানেই তো স্বাধীনতা দিবস...
-
-ঠোঁটের লিপস্টিক ঘেঁটে গেছে তোমার
-লিপস্টিক কোথায়? ওটা তো রক্ত...
-
--সন্ধিপুজো কাকে বলে?
--স্যার আমি বলবো?
--কে হাঁদা? তুই আবার কবে থেকে এসবের খোঁজ রাখিস? বেশ,হাত যখন তুলেছিস বল্ শুনি
--স্যার সপ্তমীতে ব্রেক-আপের পরে অষ্টমীতে প্যাচ-আপ করে একসাথে পুজোয় বেরনোর নামই সন্ধিপুজো।
--ক্কি? এটা সন্ধিপুজো?! ঐ হতচ্ছাড়া পাজি কেল্টুর সাথে মিশে তোমার পাখনা গজিয়েছে তাই না? আয় এদিকে একবার, পিটিয়ে হাতের সুখ করে নি..
-
-গুরুদেব
-বলো বৎস
- এই কামিনীকাঞ্চন থেকে কবে মুক্তি পাবো? কিভাবে বুঝবো মায়ার বাঁধন আলগা হয়েছে?
-এই সমস্যা?
-আজ্ঞে হ্যাঁ গুরুদেব,কিছু উপায় বলুন
-তবে শোন রে ব্যাটা, যখন অষ্টমীর দিনে বেরোলে কমপ্লেক্স খাবি না, বঙ্গনারীর অঙ্গে শাড়ি দেখে মনটা হু হু করবে না, সেইদিন বুঝবি তোর একটা হিল্লে হয়ে গেছে।
-বুঝলাম, এ জন্মে আর হলো না তালে..
-
-এই,বললে না তো আমাকে কেমন লাগছে?
-ভালো
-ব্যস? সকালবেলা এরকম উচ্ছেসিদ্ধ মুখ করে আছো কেন? কি হয়েছে?
- না কিছু না
-কিছু না মানেটা কি হ্যাঁ? অষ্টমীর দিনে নতুন শাড়ি পরে বেরোলাম আর তোমার মধ্যে কোনো হেলদোলই নেই? কি হয়েছে বলবে নাকি আমি হাঁটা লাগাবো?
- না মানে...অষ্টমী আর সরস্বতী পুজো,বছরে এই দু'টোই দিনই তো তোমায় শাড়ি পরতে দেখি,আর আজকের দিনটাও হুস করে কেটে যাবে। তারপর আবার একটা অপেক্ষা, তাই....
- ও এই ব্যাপার? তা আমাকে বিয়ে করে নাও,তাহলেই আর এত অপেক্ষা করতে হবে না
- হ্যাঁ সেটা... এই! তুমি কি এইমাত্র বিয়ের প্রস্তাব দিলে?
-আজ্ঞে হ্যাঁ মশাই, দিলাম। তুমি যা ঢ্যাঁড়স, তোমার অপেক্ষায় থাকলে আমার জীবনটা আইবুড়োই কেটে যাবে!
- মানে তুমি..এইভাবে..আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না
-আর ভেবে লাভ নেই,এখন তাড়াতাড়ি চলো মাইকে পরের ব্যাচের অঞ্জলী দেওয়ার এনাউন্সমেন্ট হচ্ছে,দেরি হলে ফুল পাবো না। আর শোনো, একদম চোখ বন্ধ করে ঠিক করে মন্ত্র পড়বে, আড়চোখে আমায় দেখবে না। আর ফুল যদি আমার গায়ে ছুঁড়েছ আগের বারের মতো, তোমার খবর আছে বলে দিলাম।
- আর যদি এই খুশীতে আমি কাঁচা ফুল খেয়ে নি?
- পাগল একটা, চলোওও-