Saikat Tarafder   (Saikat Jayanti Tarafder)
60 Followers · 25 Following

A traveler traveling towards the Truth and love ,
Joined 3 November 2017


A traveler traveling towards the Truth and love ,
Joined 3 November 2017
4 AUG AT 12:58

রক্ত গোলাপ ২

পর্ব ৪
তদন্ত শুরু হলো। জেলের আঁটসাঁট নিরাপত্তা ভেদ করে এমন খুন অবিশ্বাস্য। সিসিটিভি ফুটেজে এক ঝাপসা ছায়া দেখা যায়, অবয়বটা লম্বা, পুরুষালি, অনির্বাণের মতোই উচ্চতা ও শরীরী গঠন। খুনের পদ্ধতিও সেই একই। অনির্বাণের সহকর্মীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। "স্যার, খুনি আপনারই মতো লম্বা। মার্শাল আর্টের কৌশলও আপনার মতোই।" রঞ্জন দাস অনির্বাণকে সরাসরি প্রশ্ন করলেন, "স্যার, আপনার কি কোনো পুরনো শত্রু থাকতে পারে? আপনার খুনের ধরণ নকল করে এই কাজ কে করছে?" অনির্বাণ ভ্রু কুঁচকে রিপোর্ট দেখল। "আমিও সেটাই ভাবছি, রঞ্জন। কেউ আমাকে টার্গেট করছে, আমার পদ্ধতি নকল করে। কিন্তু উদ্দেশ্য কী?" সে মনে মনে ভাবে, "কে এই চাল চালছে? কে আমার প্রতিটি পদক্ষেপ জানে?"

-


31 JUL AT 22:05

রক্ত গোলাপ ২

পর্ব ৩
অনির্বাণ দ্রুত জেল পরিদর্শনে গেল। জেলের পরিবেশ থমথমে। সন্ধ্যা দেবীর দেহ মর্গে রাখা। ডাক্তারী রিপোর্টে উল্লেখ, তাকে মার্শাল আর্টের কৌশলে আঘাত করে কাবু করা হয়েছে, তারপর বুক বরাবর ছুরি দিয়ে ১৫টি নিখুঁত আঘাত। প্রতিটি আঘাত যেন কোনো পেশাদারের কাজ। মৃতদেহের বুকে পড়ে ছিল একটি রক্তে ভেজানো লাল গোলাপ। মাধব নাগরাজনের খুনের হুবহু প্রতিচ্ছবি। সিনিয়র অফিসার রঞ্জন দাস অনির্বাণের দিকে তাকিয়ে বললেন, "স্যার, খুনের ধরণটা একদম মাধব নাগরাজনের খুনের মতো। এটা কি কোনো প্রতিশোধমূলক খুন?" অনির্বাণ মন দিয়ে শুনল, তার মুখ পাথর। "এটা কাকতালীয় হতে পারে না," অনির্বাণ গম্ভীর মুখে বলল। সে যখন ফার্মহাউসে তানিয়াকে নিয়ে উইকেন্ড ট্রিপে ছিল, তখনই এই খুনটা হয়েছে। তার নিখুঁত অ্যালিবাই নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, যা তদন্তকারীদের বারবার বিভ্রান্ত করে তুলছিল।

-


29 JUL AT 23:44

রক্ত গোলাপ ২

পর্ব ২
তার কয়েকদিন পর। অনির্বাণ পুলিশের এক গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিল। শহরের ক্রমবর্ধমান মাদক ব্যবসার লাগাম টানার কৌশল নিয়ে আলোচনা চলছিল। হঠাৎ তার ফোন বেজে উঠল। সেন্ট্রাল জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট। "স্যার, একটা দুঃসংবাদ আছে। সন্ধ্যা রায়চৌধুরী মারা গেছেন।" অনির্বাণের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল, যেন সে সত্যিই স্তম্ভিত। তার হাতে ধরা কলমটা টেবিলের ওপর গড়িয়ে পড়ল। "সন্ধ্যা দেবী! কী বলছেন? কী হয়েছে? খুন? জেলের ভেতরে?" তার কণ্ঠে স্পষ্ট বিস্ময় এবং অবিশ্বাস। মিটিংয়ে উপস্থিত অন্যান্য অফিসাররাও নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করতে শুরু করল। অনির্বাণ হতবাকের মতো ফোনটা রাখল। তার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরছে, "মাধব নাগরাজনের খুনের মতো একই প্যাটার্ন! এটা কি কেউ আমাকে ফাঁসাতে চাইছে? আমার স্টাইল নকল করছে কেন? কেন আমাকে এইভাবে বিব্রত করা হচ্ছে?"

-


28 JUL AT 22:14

রক্তগোলাপ - ২
পর্ব ১

শিলিগুড়ির হিমেল রাত। অনির্বাণ, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের এক উদীয়মান নক্ষত্র, তার ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। বিগত আড়াই বছর ধরে তার জীবন বদলেছে দ্রুত। তানিয়া তার স্ত্রী, আর শ্বশুর সূর্য রায়চৌধুরীর রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এখন তার পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে। সাফল্যের উচ্চ শিখরে অনির্বাণ। কিন্তু আজ রাতে তার মনটা বড় অস্থির। তার পাঞ্জাবির ফাঁক দিয়ে সে নিজের পেটের বাম দিকে দীর্ঘ, সূক্ষ্ম দাগটার দিকে তাকাল। এটি জন্মদাগ, বরাবরই সে তানিয়াকে এটাই বলেছে। কিন্তু এই দাগটার পেছনে লুকিয়ে আছে এক গহীন রহস্য, যার উন্মোচন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
ঠিক সেই মুহূর্তে তানিয়া এসে তার পাশে দাঁড়াল। "কী ভাবছো, অনির্বাণ?" সে অনির্বাণের পেটের দাগটার দিকে তাকিয়ে বলল, "ওহ্, সেই দাগটা। জন্ম থেকেই, তাই না?" অনির্বাণ আলতো করে তানিয়ার হাতটা সরিয়ে দিল, "হুঁ, জন্মদাগ।" তার চোখে এক ঝলক মেঘ। তানিয়া আর কিছু বলল না। বাতাস যেন এক আসন্ন ঝড়ের পূর্বাভাস বয়ে আনছে।

-


26 JUL AT 22:50

ওর গায়ে আঙুল ছুঁয়ে যাওয়া মানেই শুধু স্পর্শ নয়,
ও যেন খোলে এক পাতা আত্মার দরজা,
যেখানে শরীরের ভাষাও নিঃশব্দে বলে “আমি আছি, একেবারে গভীরে।”
ওর চুলে মুখ গুঁজে থাকি কেবল ঘ্রাণ নয়,
স্মৃতি জমে সেখানে, জন্ম নেয় একান্ত টান।
ওর উষ্ণতায় আমি আমার ঠাকুরঘরের মতো শান্তি খুঁজি,
আর প্রত্যেক জড়িয়ে ধরা একেকটা প্রার্থনা।
চাহনির ফাঁকে, কাঁপা ঠোঁটে, ছুঁয়ে থাকা ভালোবাসা
আমরা শরীরের বাইরে গিয়ে একটা আত্মা হয়ে উঠি।

-


21 JUL AT 22:00

রৌদ্রছায়ার খেলা থেমে যায় ওর চোখের শান্তিতে
নেই কোনো মুখোশ, নেই কোনো অভিনয়,
ওর পাশে আমি শুধুই "আমি"।
স্নিগ্ধ বাতাসে ভেসে আসে এক আশ্চর্য নির্ভরতা,
যেন জন্মজন্মান্তরের চেনা — অথচ প্রতিবারেই নতুন।
দেবীর মত নিঃশব্দ শক্তি ওর ভিতরে,
আর আমি? আমি ধীরে ধীরে ছেড়ে দিই সব প্রতিরোধ,
ওর চোখে চোখ রাখলে মনে হয় —
এভাবেই তো মুক্তি দেখতে হয়।

-


17 FEB 2024 AT 20:16

Dark Valentine

হটাৎ করে পুরো জেলের light বন্ধ হয়ে গেল
একটা ছায়া দেওয়াল টপকে জেলের ভেতরে ঢুকলো।
সন্ধ্যা দেবীর সেলর সামনে ছায়াটা এসে দাড়াল।অন্ধকারে সান্ধ্য দেবী চিনতে পারলেন না।
আসুন আমার সাথে আমি আপনাকে এখন থেকে মুক্তি দিতে এসেছি।
সান্ধ্য দেবী বেরোতে চাইছিলেন না
ছায়াটা বলে উঠল " আমি জানি আপনি নির্দোষ বাঁচতে ছিল আসুন আমার সাথে।
সান্ধ্য দেবী বাইরে পা দিতেই ছায়া একটা তার বের করে সান্ধ্য দেবীর গলায় পেচিয়ে ধরলো
প্রাণ বেরিয়ে না বেরিয়ে যাবা পর্যন্ত ছাড়লো না।

-


14 FEB 2024 AT 17:50

Dark Valentine

৫ বছর হোল অনির্বাণ আর তানিয়ার বিয়ে হয়েছে।
তানিয়ার বাবা সূর্য রায় চৌধুরী পলিস্টিক্স থেকে retainment নিয়েছেন স্ত্রী সন্ধ্যা দেবী নিজের মেয়ের হবু স্বামী মাধব নগ্রজনকে খুন করার পর।
অনির্বাণ আর তানিয়ার পুত্র সন্তান হয়েছে দুই বছর হল।

একদিন সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে অনির্বাণের ফোন বেজে উঠল
"কখন হল, ok আমরা আসছি।"
সূর্য বাবু আর তানিয়া দুজনেই অনির্বাণের দিকে তাকাল
"একটা বাজে খবর আছে তানি তোর মা জেলে খুন হয়েছেন"

দুজনেই শুনে কান্নায় ভেংগে পড়ল

ক্রমশ

-


14 FEB 2024 AT 0:12

তুমি আসবে বলেই হয়ত স্বপ্ন গুলো পূরণ হয়নি
তুমি আসবে বলেই হয়তো আরো গল্প লেখা বাকি ছিল।
দেখি না দুজনে মিলে একটা বড় মহাকাব্য লিখতে পারি কিনা।
শুরুটা যাই হোক না আমাদের গল্পে চলোনা দুজনে মিলে এক নতুন দিগন্ত আঁকি।

-


8 FEB 2024 AT 0:51

Kasmakas mai hai ea Dil
Kay fir se ea kahani likha na suru kare
Kay kare fir se kare ak nayi suruyat
Kay dil fir se ak or bar jine ka kosis kare

-


Fetching Saikat Tarafder Quotes