হঠাৎ করেই নিভে গেল জলসাঘরের ঝাড়লন্ঠনের বাতি, থেমে গেল নটভৈরব তালে বাজতে থাকা তানপুরা, তবলার ত্রিতাল দিশেহারা, অন্ধকারের কালো গভীরতায় মিলিয়ে গেল ঘুঙুরের শব্দ, মদিরার গ্লাস গেল উলটে .....
অকস্মাৎ মশালের আলোয় হকচকিয়ে দেখলো সবাই – জ্যোৎস্নালোকে মহারানী আজ অপ্সরার বেশে চলেছে অভিসারে.....
— % &-
অকারন কত জানতে চাওয়ার প্রশ্ন হয়নি গোনা,
তোমায় আমি সব বলেছি নিজের কথা ছাড়া।
যেখানে মন তাসের ঘর ঝড়ের ভয়ে মরে,
ঠিক করেছি সেখানে আর ফিরবো না কোনোকালে।
রেললাইন পথ সমান্তরাল মেশে না কখনো যেমন,
মনের দ্বারে দিয়েছি তালা করেছি আত্মগোপন।
আমার পৃথ্বী কুয়াশায় মোড়া চোখে দিয়েছে ধূলো,
আবছায়া এই অন্ধকারেও তোমায় চিনতে ভুল করিনি জেনো।
বার বার তবু দাঁড়িয়েছি ও চোখের আঙিনায়,
ফেরালো পথ নির্বাসনে তোমার নিষ্ঠুর নিশানায়।
যদি কখনো আসি ফিরে নির্বাসনের প্রাচীর ভেদে,
যদি হয়ে যায় দেখা তোমার সম্মুখে এই পথে–
সেদিন শত শত প্রশ্নে হবে তোমার পালানোর দ্বার রুদ্ধ,
আসলে তাসের ঘরে মন বাঁধা বড়ো শক্ত।— % &-
ওখানেও সূর্য শিশিরে প্রতি কনা হতে আলো বিচ্ছুরিত হয়। ওখানেও সারি সারি তাল খেজুর নারকেল গাছে বাবুই বাসা বুনে। ওখানেও গোধূলির পশ্চিমাকাশে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভা দেখা যায়, বলাকারা কর্দমাক্ত বালুকাময় গাঙের চর হতে মাছ ধরে, ভাটিয়ালী সুর ধরে মাঝি ঘরে ফেরে। ওখানেও রাতের আকাশে মেঘপরীরা উড়ে যায়, চাঁদ ভূতলে নেমে নদীর জলে খেলা করে। — % &
-
এই শহরের প্রতি একটা অভিমান জমে গেছে। বার বার ভালোবেসে কাছে এলেও, এই শহর আমায় প্রতিবার প্রত্যাখান করেছে। তাই আর ফিরবো না যতদিন না এই শহর আমায় বাঁকে। চলে যাবো ওই দূরে যেখানে একলা আকাশ কথা বলে।
-
এগিয়ে যাও, কিন্তু মেপে দেখতে যেও না কতদুর এগিয়েছ; তাহলে আবার পিছিয়ে পড়বে।
অনুভব কর, কিন্তু অভিভূত হয়ে পড় না, তাহলে চলতে পারবে না। যদি অভিভূত হতে হয় তো ঈশ্বরপ্রেমে। যত পার সেবা কর, কিন্তু হুকুম করতে যেও না। কখনও নিন্দা কর না, কিন্তু অসত্যের প্রশ্রয় দিও না। ধীর হও, তাই বলে আলসে দীর্ঘসূত্রী হয়ে পড় না।ক্ষিপ্র হও, কিন্তু অধীর হয়ে বিরক্তিকে ডেকে এনে সব নষ্ট করে ফেল না। বীর হও, কিন্তু হিংস্রক হয়ে বাঘ ভাল্লুক সেজে বস না। স্থিরপ্রতিজ্ঞ হও, গোঁয়ার হয়ো না।
তুমি নিজে সহ্য কর , কিন্তু যে পারে না তাকে সাহায্য কর, ঘৃণা করো না, সহানুভূতি দেখাও, সাহস দাও। নিজেকে নিজে প্রশংসা দিতে কৃপন সাজ, কিন্তু অপরের বেলায় দাতা হও।
যদি কেহ তোমার কখনও অন্যায় করে, আর একান্তই তার প্রতিশোধ নিতে হয় , তবে তুমি তার সংগে এমন ব্যবহার কর যাতে সে অনুতপ্ত হয়; এমনতর প্রতিশোধ আর নেই-অনুতাপ তুষানল। তাতে উভয়েরই মঙ্গল।
......শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র-
যেথায় শিউলি ফুলগুলো ঝরে পড়ে
সাদা কাফনে অকারন,
সেথায় আমি মুক্তি পাই প্রতিবার
শত ব্যাথা হয় নিবারন।।-
অন্যায়টাকে দৃঢ় কন্ঠে অন্যায় বলতে, ভালোটাকে সর্বসমক্ষে ভালো বলার যদি তোমার ক্ষমতাই না থাকে–
তাহলে তুমি কখনোই আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আপনজন তো নও, সাথে তুমি নিজেও দূর্বল মানষিকতার অধিকারি।
So, You may leave now !-
You are for the Lord
Not for others,
You are for the Lord
And so for others.
God is one,
Dharma is one,
And prophets are same...
.... Sri Sri Thakur Anukulji-
এই শীতের পরশ হিমের হাওয়া লাগলো গায়ে যেই,
বইছে বেলা উজান তরী গাঙের বুকে ওই।
নীহার কনায় ঢেকে গেছে সব, পথ ঘাট মাঠ কই ?
শ্বেত-শুভ্র আলোকদ্যুতি পুবের কোনে ওই।
ওই প্রভাত আলোয় গান গায় ওরা নেচে নেচে ঘুরে ফিরে
উলুধ্বনি শঙ্খধ্বনি দিক হতে দিক ফেরে,
আজ সাত সকালে ওদের মাঝে বিলিয়ে দিলাম মোরে
আমার মরা গাঙে জোয়ার এলো দু-কূল ছাপিয়ে।
আজ সত্য আসে পাঁজর ভেঙে মিথ্যে গ্লানি দূর করে,
শিশুর মুক্ত হাসির রোলে ফুলগুলো সব পাঁপড়ি মেলে।
আজ নয়নতারা হয়না বাসি নয়নে নয়নে কথা বলে,
প্রভুর সাথে করবো দেখা গান ধরেছি বাউল সুরে।
আজ নিখিল হাসে খিলখিলিয়ে অমলিন সুখে
মলিন হৃদয় ভুলুন্ঠিত শুকনো পাতার মতো ঝরে,
বলাকারা সব বাসায় ফেরে শান্তির নিশান উড়িয়ে
আমিও সেথায় মিশে যাবো কুয়াশায় মোড়া গাছগাছালির প্রান্তরে।-
ভালোবাসাহীন এক বুক মরুভূমি নিয়ে
আমি বন্য সেজে বেঁচে থাকতে চাই না ,
নির্বাসনে পাঠাতে পারো নির্জন দ্বীপে আমাকে
সূর্যশিশিরে থাকলে আর আমাতে থেকো না।
যেথায় আমার হাসিগুলো আজ বিভ্রান্ত মনে হয়
সেথায় আজ অন্য কারোর কলরবে রাত্রি পার হয়,
আজ সেথায় ভালোবাসা পণ্য হিসেবে বিক্রি হয়
দুচোখে অশ্রু, কষ্ট বুকে, চুরুটের শেষটান দীর্ঘ হয়।
যেদিন রাত্রে সেতারের তারে উঠবে হঠাৎ কম্পন,
অনুনাদে সব বিষিয়ে যাবে হবে মানভঞ্জন।
সেদিন ওই নির্জন দ্বীপে আমায় খুঁজতে যেওনা,
সূর্যশিশিরে থাকলে আর আমাতে থেকো না।
রক্তমুখী নীলার চেয়ে নীলনদ বড়ো প্রিয়
জোনাকির সাথে হাঁটতে গিয়ে কবিতা লিখেছি শতশত,
থমকে গিয়েছি তোমার কুটিরে কাছে হাসির কলরবে
জানলা ফিরকি আলোয় আমি পথ চিনেছি ভুলে।
পন্য কুটিরে আজকে আমায় ভালোবাসায় ভরাতে ডেকোনা।
সূর্যশিশিরে থাকলে আর আমাতে তুমি থেকো না।-