আমার আকাশে বৃষ্টি নামে-মন খারাপের হাতছানি,
তোমার আকাশে রামধনু-হাজার সুখের আতশবাজি,
আর তার আকাশে নৌকা বাঁধা-ভালোবাসার রোজনামচায় প্রেমের ভুরিভোজ,
লক্ষ তারার মাঝে দেখি আমার ঘরেই ঘুমের চুরি..
চিন্তারা আজ ধর্মঘটে,
স্মৃতিগুলো আঁকছে ছবি মনের চিত্রপটে,
অভিমানদের পথ হয়েছে অজানা,
রাগগুলো আর পারছেনা হতে ক্রুদ্ধ,
অনুভূতিদের দ্বারও হয়েছে আজ রুদ্ধ..
অসম্পৃক্ত গল্পকথারা কল্পনায় গড়বে জনবসতিহীন বন্দর,
বেনামী অনুভূতিগুলো সর্বদা আগলে রাখবে ভালোবাসার অন্দর..-
সুপ্ত সোহাগের লতায়-পাতায়,
মিশে আছে ক্ষোভ-রডোডেনড্রনে,
মেখে আছে স্মৃতি-গল্পের অনুরননে..
কাটাকুটি খেলাটা আজও অসমাপ্ত এলোমেলো ডায়েরির ভাঁজের,
একাকী ব্যালকনিটা সুশোভিত ঝরা পাতার বিবর্ণ সাজে,
সোহাগরূপী ক্ষতরা মুখ লুকিয়েছে ঝিম ধরা বৃষ্টির আড়ালে,
রঙিন বসন্ত এসেও থমকে গেছে হতভাগ্যের নিষিদ্ধ প্রবেশদ্বারে..
একলা ঘরে সময় থামে-অনুসরনে অতীত,
স্মৃতির বুকে নৌকাডুবি-দাঁড়িয়ে নীরব পথিক..-
শব্দরা যখন হেরে যায়,
নীরবতা তখন কথা বলে,
যেখানে মৃত্যু মানে ছোটোগল্প,
সেখানে তোমার-আমার বেঁচে থাকাটা উপন্যাস..
কবিতা-অভিমানের দোয়াতে প্রেমিকার স্পর্শী কলম আর জমাট বাঁধা আবেগ,
আজ আবেগগুলো পুড়তে বসেছে-স্বপ্নগুলো পর্ণমোচী হয়ে ঝড়ে পড়ছে,
তবু বসন্তের শেষ বিকালের আলোয় উঁকি দেয় এক পাব,
আর বলে,"শুধু ভালোবাসি"..
ভালোবাসি কতটা জানিনা ঠিক-অব্যক্তদের ছুঁয়ে দেখো তুমি,
স্মৃতির ভিড়ে তুমি ইতির সমাপ্তি-আমার পৃথিবী বলতে ব্যাস এতটুকুই..-
বার বার হারি-নিজের জন্য কিংবা তার জন্য,
দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে চেয়ারে বসে আমি,
হয়তো তুমি জানো না-তোমার জলে ভেসে আসে আমার বাঁচার তীব্র গতি,
গলতে থাকে আমার আগল আজ আমারই হাতের ফাঁক গলে..
ইচ্ছেটাও আজ মুক্তি পেল-অন্য কোনো নামে,
তাইতো আমরা অপরিচিত আজ-বেনামী সম্পর্কের টানে,
তুমি আজ দেখছো যাকে ভাঙছে সে-সে আসলে মানুষ নয়,
যেখানে মানুষ মরে-মাটিতে মেশে-সেই ছাইয়েই সে ফিনিক্স হয়..
ভাঙতে ভাঙতে খেয়া আজ বেখেয়ালে চলে,
কূল ছেড়ে চলতে থাকে বহু দূর-সব সীমানা পেরিয়ে,
পাল ছিঁড়ে খাতার পাতাও সেই ছন্নছাড়া,
বাঁচা-মরা ফেলে এসেছি আজ ওই ওপরওয়ালার হাতে..-
কাচে জমে কথার ভিড়-চোখের তারায় বদলায় আলো,
দিন শেষে মুখ বদলের খেলা-রং মিলান্তি,
বেতার জুড়ে চরিত্র ভিড়-তোমার ঠিকানায় ফিরব ঘর,
হাঁটতে শিখেছি অন্ধকারে-হোঁচট খাওয়ার গল্প মেনে,
আলোর দিকে হাত বাড়াই-পুড়তে হবে খানিক জেনে..
মাধ্যাকর্ষণ ঠিক রেখে দূরে সরে যায় শব্দরা,
চেতনার পুরনো তাবু ঘর ছেড়ে চেয়ে দেখি ফিরে যাচ্ছে রোদ,
কিভাবে জীবন শূন্য থেকে শুরু হয়ে ফের শূন্যে ফেরে?
ঠিক যেভাবে শেষ না হওয়া গল্প যখন কাব্য করে..
ভুলে গেছি মুখস্ত বিদ্যায় গিলে খাওয়া জ্যামিতিক সূত্র,
কাফনের ওপর অনর্থক লাল হেডলাইনের মতো উত্তরেরা আজ নিহত..-
ভালোবাসা দিও প্রেমপত্রে,
ভালোবাসা কি জমে মুঠোফোনে..
একাকিত্বে ডুবছে গোটা সভ্যতা,
ইগোর প্রাচীর ঘিরছে মনের জমি,
রাগ-অভিমান-অহমে্র জয় দৃশ্যমান,
চেপে রেখে প্রেম-দিনশেষে পরাজিত তুমি-আমি,
আত্মা হয়েছে খুন-রক্তাক্ত হয়নি,
অস্থি রয়েছে ভস্মে-শরীর পোড়েনি..
দিশেহারা তারা-প্রতিদিনের যাযাবর তারা,
অবহেলা-অসহায় বড়ো হয়ে ওঠে..-
জীবনের কাঠগড়ায় হাজিরা দেয় এক জীবন্ত লাশ,
নাম-গোত্রহীন ভাবে পড়ে থাকে বেওয়ারিশ হিসেবে,
ভিড়ের মাঝে গা গুলিয়ে ওঠে আজ নোংরা কথার আস্তরনে,
পা বাড়াই নিজে-নিজেকে অচেনা অজানা করে রেখে দিতে..
এখানে সাপ ভরা চাপ চাপ রুচি,
কাপ ভরা পাপ পাপ চা,
ভাঙা ঘরে সময় নেই-চাহিদারা জীবন্ত,
চোখের জলে শব্দ ফিকে-অভিমান চলন্ত..
অভিমান আজ বলে মাঝিকে-ভাসাবি আমায় মাঝ নদীতে!
ক্লান্ত শরীর বয়ে চলে ওই দূর সমুদ্রের পানে..-
দুঃখটা তো বেহিসাবী-নিজের মতো আপন করে,
সুখ যেখানে নেয় না খবর-হঠাৎ ঝরা রক্তপাতের..
বিষাক্ত মেঘেদের হাতছানিতে,
ঘুণ ধরা এই জীর্ণ শরীরে,
শিরায় শিরায় রক্তের ধ্বনিতে,
একটিবার কান পেতে শুনো-তোমারই নাম বাজে..
মন খারাপি বিকেলগুলোয়,
আজও দেখো তোমার নামে বৃষ্টি ঝরে,
ভালোবাসার তাগিদে দেখো,
নিঝুম রাতে ঝিঁ ঝি-রঁ ডাকে আমার বোবা কান্না ঝরে..
অবাস্তবের স্বপ্ন দামি-নিজের ভেতর ফাটছি আমি,
চারপাশে রোজ দেওয়াল বুনে-মৃত্যু আমি আনছি ডেকে..-
আজ গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো,
তোমার হাতে হাত মিশে যেতে পারতো-আঙুলে আঙুল মিশে যেতে পারতো,
কিংবা হয়ত মিশতে পারতো ঠোঁটে ঠোঁট,
স্বপ্ন বুনতো এক অন্য ভালোলাগার-ভালোবাসার হাত ধরে..
আলো-আঁধারিতে মোড়া সেই পাড়ার মোড়,
অলি-গলি পেরিয়ে আলপথে এসে এক ঝলক দেখতাম তোমায়,
দেখতাম অবশ্য দূর থেকেই-কাছে যাওয়ার অনুমতিপত্র পায়নি যে তখনো,
অন্ধকারেই মিশে যেতাম পায়ে পায়ে-একা একাই..
ভাবনা গুলো বড্ড এলোমেলো-আনাড়ি গোছের প্রত্যাশা চিন্তা-ভাবনা,
বারবার ঠোক্কর খাই আজও অবুঝ বলে,
হয়তো তাই- কিংবা হয়তো নয়,
গুলিয়ে ফেলি সবার মাঝে আমার আমিটাকে..
বেখেয়ালে বারবার আঁকড়ে ধরতে চাই ওই নরম হাতগুলোকে,
আজকে যখন আমার মতো করে পেতে চাই-ভুল ভাঙে,
ভুল ভাঙে-ঠোক্কর খাই-কারণ তোমাকে পাই না যে,
স্বপ্নগুলো বুনতে বুনতে হঠাৎ হারিয়ে যায়-ছড়িয়ে যায় ওই ভাঙা কাচের গ্লাসের মতো,
দিনশেষে দেখি পড়ে আছি আমি-সেই আমারই মতো..-