প্রিয় ডিসেম্বর, প্রভাতে আমার শহর কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে।
হলুদ সরষের ক্ষেতে, ঘাস এর উপর শিশির বিন্দু কনা জমেছে ।
শীতের আলতো পরশ, কখনও মেঘলা,কখনও কুয়াশার হাতছানি।
কাঁপুনি ঝরানো শীতার্ত বাতাসে বিজ্ঞাপন রটেছে,"হারিয়ে যাওয়া"
কি এক অদ্ভুত সুন্দর অনন্য অনুভূতি !
অথচ কেমন করে!
এই শহরে জন্মালে, এই শহরে বেড়ে উঠলে, অথচ এই শহরের মায়ার পরশ তুমি জড়ালে না!
সেই তুমি রুক্ষতাকেই খুঁজে ফিরেছো...
বিদায় বেলায় গাছের সমস্ত সবুজতা কেড়ে নিয়েছো...শহরে একলা দাঁড়িয়ে বিদায়ের প্রহর গুনছে...
কতটা কোমল হয়ে চন্দ্রমল্লিকা,ডালিয়া,গোলাপ ফুটে ছিলো ... "শুধু তোমার জন্য" তাদেরও সময় বেঁধে দিলে.. এতটুকুই সময় ।
তুমি অনুভূতি দেখোনি ...তুমি বোঝোনি।
ডিসেম্বর মানেই কিছু হারিয়ে যাওয়া.. "কিছু না পাওয়ার মিষ্টি বেদনা"।
ডিসেম্বরের শহর থেকে যায় ...আক্ষেপ নয়তো অপেক্ষায়।
ডিসেম্বর তুমি আবার এসো আমার শহরে ,সাথে একটু স্বস্তি এনো।।
....... বিদায় বেলায় ডিসেম্বর 2024
......প্রয়োজনী-
আমরা আসলেই এক একটা বই
বেশির ভাগই উপরের চাকচিক্য মলাট দেখেই বিচার করে.....
কিছু মানুষ ভূমিকা দেখে বিচার করে,
আর কিছুজন সূচীপত্র পড়েই এড়িয়ে চলে,
আবার আর কিছু সংখ্যক সমালোচনা পড়ে বক্তব্য রাখে...
খুব অল্প সংখ্যক মানুষ ভিতরের গল্পটা বুঝতে চাই,জানতে চাই...
আর যারা পড়ে, বুঝে উঠে তারাই উপসংহারে থেকে যায় অনন্তকাল।।
............ প্রয়োজনী
-
শীতের রিক্ততা মুছে দিয়ে প্রকৃতি জুড়ে আজ সাজ সাজ রব
বসন্তের সোনাঝরা একটি অলস সোনালী বিকেল,
চতুর্দিকে লাল,হলুদ, কমলা,গোলাপী, রঙের ফুলে সমারোহ,
রাস্তা ছেয়ে রয়েছে সেই রঙ্গীন ফুলের পাপড়ি ,
আর কাঁচা হলুদ রঙের শুকনো সোনাঝরা পাতায়।
লাল মাটির পথ দূরে বহুদূরে এগিয়ে গেছে....
দুপাশে কোথাও কোনো চিরহরিৎ গাছে গজিয়ে উঠছে সদ্য সবুজ পত্রবৃন্ত....
যার কোথায় শেষ হয়েছে জানা নেই।
শুধু দুপাশ থেকে একটা অদ্ভুত বুনো বুনো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে,
আর রয়েছে পাখির কলকাকলি।
সূর্য এখনও অস্তাচলে যেতে অনেকটা বাকি,
তাই সে তার সোনাঝরা রোদ্দুর ঝরিয়ে দিচ্ছে এই ধরণীর বুকের ওপরে
এই লাল মাটির ধরে আনমনা হয়ে হেঁটে যাচ্ছে এক ছায়ামূর্তি
কোথায় যাচ্ছে তার জানা নেই
জানা নেই কেন এতো মনখারাপ আর বিষন্নতা,
কিন্তু তার মনটা কোনো একটা অতীতের স্মৃতিতে বারে বারে ডুব দিতে চাইছে.....
...... প্রয়োজনী
-
জাপটে ধরা অপেক্ষার শেষে; সূচনা বসন্তের
পাতা ঝরার পরেও ফুল ফোটে আগুনরাঙা পলাশের ফাগুনবনে,
মহুয়া,কৃষ্ণচূড়া পুষ্পের ঝরনা ধারায়; গন্ধ ছড়ায় বাতাসে।
আবির মাখা আকাশে ; রঙিন হাওয়ার ধুলো,
সাদা, কালো রাঙিয়ে দিয়ে ; কাটিয়ে উঠে ঘোর আঁধার
সম্পর্কতে পড়বে ঝরে খুশির কণাগুলো।
কোয়েলের কুহুটানে মনের জড়তা কেটে,
অভিমান সব ভুলে মানুষ কাছে আসুক বেশ,
এই ফাল্গুনে এবার হোক ঝগড়াগুলোও সব শেষ;
এইখানেই বসন্তের সার্থকতা; চারিদিকে রঙিন সব বাহারী আবেশ।
....... প্রয়োজনী-
ভালোবাসায় মোড়া কোন এক গোলাপী মলাট, অযত্নে আজ রঙচটা বাদামী..
আবার কখনো রোদ্দুর ভরা নদীর আর সেভাবে হবে না দেখা
অথবা ল্যাম্পপোস্টের আলোয় ভরা সেদিনের উজ্জ্বল ছবিতে;
কে জানে ঠিক গল্পগুলো, এমনি রকম হলো
সাজানো সব শব্দগুলো, হটাৎ এলোমেলো ছড়ালো;
দীর্ঘদিনের অনভ্যাস নাকি অন্য কোনো অভ্যাসে।
অগণিত মাইল ফলক পেরিয়ে.....
মিশে থাক অপ্রকাশ্য কিছু ক্ষোভ, রডোডেনড্রনে
বেবাগী ইতিহাসের দৃপ্তধারায়"
মেখে থাক না কিছু স্মৃতির অনুভূতি, গল্পের অনুরণনে
সুপ্ত সোহাগের লতা - পাতায়"
হোক না কিছু কথা,বাসন্তী খামে বন্দী
শুকনো বাতাসে ওড়ে, নীল সমুদ্রের বুকে
সেথায় হারিয়ে যাক, অপূর্ণতার চোখের পাতায়"
হোক না কিছু চরিত্র জীবনের অবিচ্ছেদ্য কাহিনী,
চরিত্রেরা পথ ভূলে খাপ খাওয়াক,বিরহের সুগন্ধী গুলমোহরে"
অঙ্কিত হোক না কিছু রঙিন স্বপ্ন সাদা ক্যানভাসে
নিঝুম কিছু আশ্রয়হীন কল্পনা,
নৈঃশব্দে আলপনার তুলির টানে"
হয়তো সেদিন....
প্রবালের বুকে শীতল প্রবাহ, প্রবল স্রোত
কেয়াবন স্পর্শ করে,সব চাওয়া-পাওয়া মুছে,
মুক্তার মতো চিকচিক করুক নক্ষত্র বিলাস।।
..... প্রয়োজনী
-
একাকীত্ব (loneliness/solitude) এবং বিষন্নতা (Depression) একে অপরের পরিপূরক বন্ধু....
একাকীত্বে থেকে আমরা ডিপ্রেসন এ পৌঁছায়
আর আমরাই ডিপ্রেসনে থাকলে একাকীত্ব খুঁজি।
...... প্রয়োজনী-
ঋতুরা ফেরে চুপিসারে, বয়স শুধু বাড়ে,
মনের খামে সতেজ একটা স্মৃতির পাহাড় গড়ে।
বছর শেষে ডাকপিয়নের ডাকবাক্সে,আজও স্মৃতির চিঠি আছে পড়ে,
একদিন এমন করেই বেওয়ারিশ শব্দের অনুভূতিরা অনাবিল আকাশের শূন্যতায় যাবে উড়ে।।
....... প্রয়োজনী-
অজানা দিগন্তে সাঁঝবেলার আকাশে হটাৎ করেই অভিমানের মেঘ জমে
যদিও নেই কোনো অভিযোগ , না আছে কোনো প্রাপ্তির নেশা।
তবুও কেমন করে ঈশান কোণে শূন্যতার নীল আকাশে ধূসর রঙের আস্তরণে ঢেকে যায়।
জানো কী নীলাকাশ ? কতটা অবহেলায় পদদলিত হলে , কতটা অবসাদে জোছনার রং হয় নীল ?
না পাওয়া প্রাপ্তির , না বলা কথাদের জমানো থাকে নক্ষত্রের গায়ে ,
আকাশের চাঁদ প্রতিরাতে আলোকিত করে রাখে সেই জমানো কথা গুলো..
হয়তো জমানো কথাগুলো একদিন সুন্দর গল্পের পূর্ণতা পাবে , সেদিন আসমানী নীল আকাশ শুভ্র, স্নিগ্ধ পেঁজা তুলোর সাজে সাজাবে।
চলে যাবার আগেও হটাৎ করেই কতটা বিশ্বাসঘাতকতা , আকাশের বুকে কতটা রক্ত ক্ষরণে ছেয়ে গেলে ,
বিশ্বাসঘাতক এর আঘাতের রং কুড়িয়ে আগুন রাঙায় রঙিন হয় পশ্চিম দিগ্বলয়।
শত কষ্টের আভাসে , যখনই বিষাদ নেমে আসে আকাশের বুকে , ঠিক তখনই নিজেকে কালো মেঘে ছেয়ে নেয় নীল আসমান
আর ঝড়ে পড়া বৃষ্টি হয়ে জানান দেয় বিষাদের সুর...
ঠিক কতটা মেঘের মায়ায় জড়িয়ে পড়লে...
ভুলে যাবো,ভুলে যাচ্ছি বলেও , আবারও রোজ নিয়ম করে কিছু স্মৃতি ভেসে বেড়ায় পুঞ্জিভূত মেঘেদের ভেলায়।
..... প্রয়োজনী
-
বসন্তের লুকোচুরি,
বসন্তের লুকোচুরির সীমানা,শুধু ফাগুনের আঙিনাটুকু জুড়ে,
চৈত্রের ঐ ঝড়ের আঘাতটা,কেউ আপন করে নেয় না।
সময়ের হালে ছেড়ে দিয়ে ঝড়কে,আপন মনে এগিয়ে চলে ফাগুন লাগা বনে,
যেমন করে, রুপোপজীবনী বিষাদকে ছাপিয়ে এগিয়ে চলে রঙ্গিন শুদ্ধতা।
শীতের শেষে, রঙ্গিন অলঙ্করণে এসেছেন আজ বসন্ত ঋতুরাজ,
শিমূল শাখায়,পলাশের আগুন রাঙায়, কৃষ্ণচূড়ার লোহিত রঙের বাহারী সাজ।
আম্র কুঞ্জে, মধু গঞ্জে, মুকুলের ঘ্রাণে,চতুর্দিকে গুন গুন ওলির গুঞ্জন,
মধু সংগ্রহের নেশায়, মাতাল হৃদয়ে সঙ্গী খুঁজে বেড়ায়।
শুকনো ঝরা পাতায়, মেঘবালিকার নুপূরের ঝঙ্কারে, উত্তলা দখিনা বাতাস
কোকিল কণ্ঠে,বসন্তের গানে,কোনো এক সুদূরে বাজায় বাউল একতারা।
মেঘের ভেলায়,উজ্জ্বল নীল আকাশের নীচে,রঙিন বাতাস প্রকৃতির প্রেমের কথা শোনায়
বৃক্ষ শাখায়,নবীন পাতায়,রঙিন গুলালের আবির রাঙায়।
বসন্তের লুকোচুরি,
ভালোবাসা বাড়ায় নতুন প্রেমের নতুন পাতায়।।
.....প্রয়োজনীয়-
Present wound in black ink,
The past cries in the lap of pen,
The cry of the soul in diary paper,
The waiting age also increase,
Yet the mind repeatedly seeks memories....
......Dil ki alfaz-