তোমরা যারা শব্দ ছাড়াই/শব্দ ফলাও হৃদয় সেঁকে
তোমরা যারা মানিক রতন/পাথর গলাও নীরব থেকে।
বলতে পারো কেমন করে -/বুকে যখন পাথর ঝরে
লুটোয় দেহ ধুলোর পরে/কেউ থাকে না কোথাও যখন
মাতৃ আনন মনে পড়ে/দুকূল ছাপা প্লাবন মেপে
কেমন করে ওঠাও শরীর/ধূলোয় মাখা মাটির থেকে ?
কেমন করে শান্ত থাকো/স্তব্ধ থাকো, চোয়াল চেপে ?-
স্বর্গ বা নরক বলে কিছু হয় না ।
কর্ম সুন্দর হলে,
খোলা রাস্তায় বেহেস্ত নামে
কদর্য হলে, স্বর্গেও নরক নামে ঘন ঘোর।-
অতি সন্তর্পনে তোমার হৃৎপিন্ডের সাথে
ফুসফুসের যুদ্ধ বাধিয়ে
বুক পেতে যে আশ্রয় দিয়েছে তোমাকে,
তার নাম তাড়কা ।
দু:খ, তুমি তাকে সোনার হরিণ ভেবে
স্বর্গলোভে ভেসে গেলে জাহান্নমে ।-
অতীত যেমন জেগে থাকে বর্তমানের মুখে
সকাল তেমনই সুপ্ত থাকে দুপুরবেলার বুকে।-
সূর্য যখন মাঝ গগনে ছড়ায় আলোর রেখা
বন্ধ চোখেও পাই দেখা সব অদেখাদের দেখা।-
কাল কী হবে, কাল ছাড়া আর কেই বা জানে !
তবে কালের কাছে যাবতীয় হার মানে ।-
বৃষ্টি বারোমাস।
বুকের মাঝে মেঘের আলয়
ভোগাই নদী, গারো পাহাড়
ঝাপসা বারোমাস।
এ দু:খের নাম বৃষ্টি দিলাম
বৃষ্টি বারোমাস।-
ইচ্ছাকুসুম ফুটতে থেকো, মধ্য নদীর পানসি জুড়ে
হরপা বানে হটাত যদি জীবন, মরণ পন ধরে।-
কী হবে কী না হবে আর যা হবে তা হোক,
কালির উপর কালি তবু চকচকে দুই চোখ।-