উপেক্ষা
ধীরে ধীরে সলতে নিভতে থাকে।
একপক্ষ বেশি আলোর উস্কানি চায় না।
তেল কমে আসে সলতে ছোট হয়।
একটা সময় শুধুই অন্ধকার ।
প্রদীপ খুঁজে পাওয়া যায় না।
কিছু সময় পর কিন্তু আবার আলোরই সন্ধান করে হৃদয়।
দেরি হয়ে যায় বড্ড তবে।
ভালোবাসা আলো, বন্ধুত্ব আলো, এই যে কথা বলছি হাসছি এটাও আলো ,আর সলতে জীবন সুতো।
অনীহায় গ্রাস করে উপেক্ষা আর অন্ধকার।-
দুপুর
একটা দুপুর নূপুর পরে পুকুরের ঘাটে পা দোলাচ্ছে।
গাছেরা একটু ঢুলছে।
পাখিরা ডাকছে।
অনেকেই চলে যাচ্ছে।
অনেকে আসছে, অনেকে আবার বিকেলের অপেক্ষায়;
বাড়ি ফিরবে বলে।
ছেলেরা এখনো মাঠে নামেনি।
কিছুক্ষণের খেলা।
সবাইকেই উঠতে হবে।
©রূপম ভৌমিক🌿-
হেমন্ত আমাকে ভালোই বিবশ করে।
কুয়াশার পাতলা চাদর।
হালকা হিমের আদর।
কচুর পাতার ওপরে শিশিরের হীরে।
আনমনা একটা ভাব ওঠে অন্তর থেকে।
হেমন্ত বিমূর্ত ছবি, আমার মনে দেয় এঁকে।
©রূপম🌿
-
হেমন্ত আমাকে ভালোই বিবশ করে।
কুয়াশার পাতলা চাদর।
হালকা হিমের আদর।
কচুর পাতার ওপরে শিশিরের হীরে।
আনমনা একটা ভাব ওঠে অন্তর থেকে।
হেমন্ত বিমূর্ত ছবি, আমার মনে দেয় এঁকে।
©রূপম🌿
-
হেমন্ত আমাকে ভালোই বিবশ করে।
কুয়াশার পাতলা চাদর।
হালকা হিমের আদর।
কচুর পাতার ওপরে শিশিরের হীরে।
আনমনা একটা ভাব ওঠে অন্তর থেকে।
হেমন্ত বিমূর্ত ছবি, আমার মনে দেয় এঁকে।
©রূপম🌿
-
অজ্ঞানের পাথর ভর্তি রাস্তা জুড়ে।
আরো আলো দাও এই পাড়া গ্রাম শহরে।
আলোর খুব দরকার চোখ বেয়ে শুধুই রক্ত।
শয়তান আর মানুষে ভেদ করা খুবই শক্ত।
যে টুকু জোর সেটুকুই বলি।
জ্ঞানের আলো যতটুকু তাই নিয়ে
পেরিয়ে যাই অন্ধগলি।
পেরিয়ে যাই ঘোর অন্ধগলি।
©রূপম ভৌমিক🌿-
নয় আর হয়
©রূপম ভৌমিক
নয় আর হয় নিয়ে নয়ছয় করে দাঁত কেলানো।
জিভের ওপরে কাদা লাগানো।
তিল থেকে তাল, তালকে তিল।
লক্ষ্য ঠিক নেই হাতে ঢিল।
চুড়ি পরা না পরা তুমুল হট্টগোল।
কাঠগড়ায় ধুঁকছে ফাইল, কেউ বাজায় খোল।
বলতে যাচ্ছি এক,বলে আসছি আরেক কিছু।
অজান্তেই নিচ্ছি শয়তানের পিছু।
অন্যের জ্বালানো পবিত্র আগুনে রুটি সেঁকে নেওয়া।
চেয়ার মানে আরাম করে বসে খাওয়া দাওয়া।
নিজের পাছায় বিষ্ঠা লেগে অন্যের পাছা নিয়ে কালচার।
মূল দিকে মন নাই ঘাটাঘাটি কেবলই বাসি আচার।
বাতকর্মে টেকা দায়।
ভাগাড় চিবিয়ে খায়।
নিপুন নিপাট সারিসারি।
এ ওকে চাপ ও একে চাপ।
তলে তলে বাড়তে থাকে পাপ।
আগুন জ্বলে আগুন জ্বলে।
ছাই হয়েও দেহ অনেক কথা বলে।
শুধু নয় আর ছয় আর নয়ছয়।
পাপ গলা পেরিয়ে চুলে নেই ভয়!?-
জানে না যে...
লেজ তুলতেই থপ থপ করে পড়লো।
এরকম করে অনেক মানুষই পড়ে।
বহু বহু মানুষ থপ থপ করে পড়ছে এখনো....
যেখানে পড়ে সেখানেই থাকে মাথাহীন, চলার শক্তি নেই।
গাড়ি চাপা, পায়ে চাপা ইসসসস!!!
চিৎকার করছে ক্রমাগত গন্ধে, মুখহীন।
পাশাপাশি প্রচুর পড়ে আছে বিরাট স্তুপ হয়ে গেছে।
হাতে করে উঠিয়ে ঝুড়িতে।
দেয়ালে নিয়ে চাপড়ে একই রকম আকার।
লাখো লাখো।
উনুনের আগুনে হাসতে হাসতে চিৎকার!!!! বাঁচাও!!!!
যারা এখনো নরম তরল হয়ে পড়ে আছে ওগুলো হাসছে।
জানে না যে.....
©রূপম ভৌমিক🌿
#রূপমেরএলোমেলোকলম-
একটু ভাবতে হবে
©রূপম ভৌমিক🌿
ধর্ম নিরপেক্ষতা সোনার পাথর বাটি।
আমরা কেবলই ভুল হাত পা চাটি।
এমন আদর করে বসে যে লোম উঠে যায়।
তারপর আমাদের মাথায় চেপে আমাদের মাথা খায়।
আমরা জানি আমাদের পাছায় কে বাঁশ ঠেকিয়েছে।
আমরা এটাও জানি আমাদের কে লেলিয়েছে।
আমরা একটু জিরিয়ে নিয়ে ভাবতে অনীহা করি।
নিয়ে জল ঘোলা করে নিজেরাই নিজেদের জালে পড়ি।
ভাবার জন্য ঘর করে সেই ঘরেই আগুন জ্বালাই।
আসলে আমরা নিজেরাই নিজেদের থেকে পালাই।
শান্তির মা কে মেরে অশান্তির 'অ'- কে সরিয়ে রাখি।
আসলে অজ্ঞাতেই আমরা ফুল দিয়ে ঘা ঢাকি।
-
জোর যার...
©রূপম ভৌমিক
জোর যার তার কি আদতে জোর আছে!
কারোর শক্তিকে নিয়ে জোর দেখিয়ে বেড়ানো।
নিয়ে অযথা জুলুম করে মুলুক হাসিলের স্বপ্ন।
এমনকি বাস্তবেও তাই।
সবাই সূর্য নয় জ্বলে আলো দেয়ার শরীর কই?
ওই একটু বেশি কম ক্ষমতার ব্যাটারী আর কি।
জোর কার ? সম্মিলিত তাই নয় কি?
এই দেখো কে কলার ধরে বলছে বেশি বকছিস?
সঙ্গে সঙ্গে 'তুই' "শালা শুয়োরের বাচ্চা' এসব হয়ে যাওয়াই যায়।
ওই যে বললাম জোর যার.....হে হে জোর কতদিন যে কার সেটাও ভাবার।
কত আসে কত যায় সূর্য কয়জন আর হয়।
সেই কেরোসিন প্রদীপ এসব আর টায়ার পোড়া নানান কত কি।
তাও জোর যার আপাতত মুলুক তার।-