কলঙ্কিনী রাধাও আজ কৃষ্ণপ্রেমে অপেক্ষায়, বিরহি পদবীকে আপন করে..
শকুন্তলাও যে অপেক্ষারত ছিল প্রিয়,রাজা দুষ্মন্তের ফিরে আসার।।
ব্যস্ততার লেলিহান শিখায় নিজেকে পুড়িয়ে ঘরছাড়া নাবিকও যেন অপেক্ষায় চেয়ে
রয় আপনজনকে ভালোবাসার..
অসহ্য যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করেও প্রতিটা মেয়েই যে অপেক্ষা করে থাকে মা ডাক শোনার,
সারাটাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরও দিনশেষে সকল বাবাই যে অপেক্ষা করে থাকে সন্তানকে হাসিমুখে দেখার।
অন্তহীন অবহেলা মাথায় নিয়ে ওরাও যে অপেক্ষায় থাকে দু'মুঠো অন্ন পাওয়ার আশায়..
জ্যোৎস্না রাতের আঁধার মাঝে কখনোবা সূর্যকিরণের আলোয় মেখে পাপড়িগুলোও
যেন অপেক্ষারত আজ বিস্তারের স্বাদ গ্রহণে।।
মুক্ত আকাশে ডানা মেলে ওরাও যে অপেক্ষায় রয় দিনের শুরুতে আমাদের জাগিয়ে তোলার..
সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে নদীর কলতানও যেন অপেক্ষা করে মোহনার তীরে এসে আপন তরীকে ডুবিয়ে ফেলার,
দুঃখের শেষ সুখ,রাতের পরে দিন,মাসের শেষে মাস,বছরের পর বছর-অপেক্ষা তো সবেতেই..
হাজারো চাওয়া-পাওয়ার মাঝেই যে সময় অপেক্ষার;
তাই হয়তো আমাদের জীবনের আরেক নাম অপেক্ষা।।।
(-রূপাঞ্জনা)
-