চোখের পছন্দটা নিতান্তই আপেক্ষিক,
মনের পছন্দের কাছে বড়ই বেমানান।
যদি ভালোবাসো তারে শুধু দুই নয়নের মাঝে,
মনের আঙ্গিনায় যদি নাই বা হয় তার ঠাই,
তবে বুঝে নিও, ওই আঙ্গিনায়
অথিতি রূপে নির্বাচিত সে ।।

-

নতুন প্রেম ( প্রথম ভাগ)
জীবনের নিত্য ঘোরা চাকা সেদিনও ঘুরছিল,
এমন সময় কোনো নাম না জানা অতিথির আগমন রিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায়, এ কি আর নতুন কথা এমন আগমন হাজার হাজার রোজ ই ঘটে। কিন্তু এটা ছিল একটু আলাদা, এই অজানা অতিথির মেসেজের নোটিফিকেশন পেলে রিয়ার মুখেও হাসির ঝলক দেখা যেত। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়ার ভালই কদর রয়েছে।কিন্তু বলা বাহুল্য যে নেটপারার বেশির ভাগ লোকই জানে সে ইন্ট্রোভার্ট। তবে এবার গল্পটা কিছু অন্য ছিলো। এই নতুন অথিতি কখনো ভাবে নি যে রিয়া ইন্ট্রোভার্ট। কারণ রিয়ার প্রথম দিন থেকেই তার সাথে একটা আলাদা ভালোলাগা মনের মাঝে তৈরী হয়েছিল।

-

When we give too much importance to a person or a subject or a situation, we should first check whether that situation or person or thing has the capacity to take that importance, otherwise we waste our own time. So importance should be given as much as one knows how to take. And the day we realize this, we understand the true meaning of life.

-

দীর্ঘশ্বাস থেকে যায় ,
মনের গোপনে
রয়ে যায় কিছু কথা,
ভারী হয় শ্বাস।।
হৃদয়ের মণিকোঠায় নাড়া দেয়
পুরনো শব্দ শ্রুতির হাওয়া।।
আবেগগুলো শ্বাস ছেড়েছে
তাদের বলতে আজ মানা।।
মণিকোঠার সেই চরম বজ্রপাত,
নয়নকোনে জলপ্রপাত হয়ে ঝড়ে।।
বিশ্বাস হেরে যায়
হাসিমাখা মুখের আড়ালে।।
শেষ ভেলাও ভেসে যায়
ওই দূর দিগন্তে,
শুধু রয়ে যায়
অব্যক্ত ভাবনারা ,
দীর্ঘশ্বাস হয়ে।।

-

হটাৎ যখন দিনের শেষে
তুই বললি কাছে এসে
নাহ, এটা প্রেম নয়,
বোধহয়,অন্য কিছু হবে।।
পাগল মন আগের মতোই
মুচকি তখন হেসে
নিজের কাছে, তোর ই হয়ে চুপিসাড়ে বলে,
"বোধহয় মান অভিমান অথবা
এটা মন খারাপের প্রতিবিম্ব হয়তো হবে।।"
তুই বললি সত্য এটা,
মন মানেনা তবু,
কারণ,
আমার প্রেমের উপন্যাসে
আগাগোড়া তুই ই তুই শুধু।।
তবু সেদিন চুপটি করে
মেনে নিলাম সবটাকে,
আমার হাতে গড়া
মনের খাতার সব থেকে দামী প্রেম টাকে,
তোর 'নাম না জানা সম্পর্ক' নামে
খ্যাত করলাম সেই রাতে।।
হয়তো তোকে অনেক কিছু বলার ছিলো,
যেগুলো স্থান পেল
আমার প্রেমের
না জানা গল্পের আড়ালে, অথবা
তোর 'নাম না জানা সম্পর্কের' স্তূপে।।

-

পড়ন্ত বিকেলে,
তুমি এসেছিলে
আমার গল্পের কাহানি হয়ে।
সেই তুমি কে
এই দুই নয়নে
সাজিয়েছিলাম,
নয়নমনি করে।
তোমার সেই শব্দ স্বরে
ভিজিয়ে ছিলেম
আমার মনের, মনি কোঠারে।
অজান্তেই হিমের পরশ
খেলে যেতো
তোমার পরশ পেলে।
সেই তুমি কে সাজিয়েছিলাম
আমার
নয়নমণি করে,
যেই তুমি আজ হারিয়ে গেলে
চোখের জলে বেয়ে।।

-

ভাইবোন

এই ধরণীর বুকে, আমার পাওয়া সুন্দর উপহারের মধ্যে অন্যতম একটা পাওনা তুই,,
----- আমার ছোট্ট ভাই।
হাজার খুনসুটি - অভিমানের শেষেও,
সেই অটুট বন্ধনের হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া ---
হ্যাঁ সে আর কেও না,,
---- আমার ছোট্ট ভাই।
জীবনের ওঠা- নামা বা জোয়ার - ভাটা
সবেতেই ছায়ার মতো
তোর পাশে থাকার চেষ্টায় মরিয়া হওয়া,,
হ্যা সে আর কেও না,,
---- তোর দিদি।
বাকি সম্পর্কের মত হয়তো
বাইরে থেকে ওতো সুন্দর , সাজানো গোছানো না,,
তবে ভিতর থেকে তুই ছাড়া সে বড়ই অসম্পূর্ণ,,
হ্যাঁ সে আর কেও না ,,
--- তোর দিদি।
আমার জীবনের ভালো থাকার একটা দুর্লভ অংশ,,
--- আমার ছোট্ট ভাই।
সমস্ত কথার শেষে সেই শব্দে ফিরে আসা
সে আর কেউ না
আমার ছোট্ট ভাই।

-

আমার ছোট্ট গল্পের মূল চরিত্র তুই।
আমার রূপকথার রাজকুমার ও তুই।
সকল কাজের মাঝে ,
অকারণে হেসে ওঠার বাহানা ও তুই।
তোর এই বিশেষ দিনে, কি আর বলি তোকে,
আমার সব অনুভূতি আজ ছন্নছাড়া
শব্দের আবডালে।
সহস্র ঝঞ্ঝা মাঝে মুখরিত হোক
তোর ঠোঁটের কোণের ওই দীপ্ত হাসি।
শত ঝঞ্ঝা পেরিয়ে তোর স্বপ্ন জয়ী হোক
এই প্রথার্নাই করি।
তোর তুইকে সবার শেষে আমার গল্পে ভালোবাসি।
তোর তুই বরই দামী আমার গল্পে রোজই।।

-

নার্স
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে,
সবাই নতুন জামা- জুতোর সাজে ,
আমি সাজিয়েছি তখন নিজেকে
সাদা জামার বেশে।।
ঘড়ির কাঁটা ছয় এর ঘরে
ওদের তখন মধ্য রাত্রি,
আমার হাতে স্টেথ- বিপি
ডিউটি পিছু ডাকে।।
স্টুডেন্ট লাইফ বড়ই মজার
কলেজ শেষে আড্ডা খোঁজা,
বুঝিনি সে স্বাদ কেমন যে হয়,,
আমার অ্যাসাইনমেন্ট যে আছে।।
সারাদিনের ক্লান্ত শরীর
যখন পেতে চাই বিশ্রাম,
সিলেবাসের লম্বা পাতায়
রাতের ঘুমকে বিদ্যায় বলি।।
রাত ফুরিয়ে বই হাতে
কখন ঘুমিয়ে পড়ি,
ভোরের এলার্ম,
ডিউটির টানে
আবার বেরিয়ে পড়ি।।
সর্বশেষে নার্স যে আমি,
আমার ডিউটি কেমনে ভুলি।।

-

আমি বোকা কিনা জানিনা,
আর তুমি সত্যি আমায় বোকা বানাও নাকি ভয় পেয়ে সত্যি বলোনা সেটাও আমার বোঝার আয়ত্তের বাইরে। কিন্তু তোমার মিথ্যে গুলো জেনেও বোকা বাক্সের মত চুপ করে থাকি আমি। সত্যি বলতে এটা বড়ই সাময়িক,জন্ম থেকে অ্যালার্জির মত কাজ করে এই মিথ্যা। তাই যেমন যে জিনিসে মানুষের অ্যালার্জি হলে সেটা থেকে দূরে থাকে
তেমনি মিথ্যার থেকে দূরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে
আমার মন ওই মানুষ থেকে অনেক দূরে চলে যায়।
হয়তো চেষ্টা করলেও দ্বিতীয় বার সেই জায়গা ফেরানো অসম্ভবের থেকে কোনো অংশে কম না।
তোমার অতীতের ইতিহাস জানার ইচ্ছা আমার নেই, সেখানে আমি তোমায় বলবো না কি মিথ্যা আর কি বা সত্যি। সেটা একান্তই তোমার ব্যাক্তিগত,তবে যদি মন হালকা করার জন্য কিছু বলতে চাও তবে আমি তোমার সেরা শ্রোতা হবো, সে কথা দিতে পারি।
তবে যেটা তোমার আর আমার ,বা যে সময় তুমি আমি একসাথে আছি সেখানে মিথ্যা,আমি ঠিক মেনে নিতে পারি না।যদি বলো এটা আমার ভুল তাহলে তাই, আমি বোধহয় এই জায়গায় একটু না হয় সেকেলে, মিথ্যাটা আর আয়ত্ত বা পাচন কোনোটাই করে উঠতে পারলাম না। তাই বলি হে প্রিয়,যদি সত্য দিয়ে থাকতে পারো তাহলে এসো, নাহলে দেখা হবে অন্য কোনো জন্মে, অন্য কোনো রূপে
আবার এই ধরিত্রীর বুকে।

-