অকাজের মানুষ তুমি..... উমম..
-
হাজার বছরের বুড়ি চাঁদ আলো ছড়াবে,
জেসমিনের গন্ধে আবেগে কান্না করবে যশোরের বাতাস,
শুধু তোমার হৃদ স্পন্দন শোনা হবে না নয়নতারা...-
প্রিয় উষ্ণতা,
কেমন আছো তুমি ? তোমাকে প্রিয় বলার কারণ জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই.....-
প্রিয় শ্রাবণ,
কেমন আছো তুমি? আজকে তোমার সেজেগুজে আসার কথা! আর তুমি কিনা মেঘের মালা গলায় না দিয়ে সোনা রোদ্দুর ছড়িয়ে এলে! কাজটা ঠিক হলো!
আমি দুপুর থেকে শুধু রোদে পুড়লাম তোমার গম্ভীর মুখটা দেখবো বলে!
তুমি কদম ফুলের সুবাস নিয়ে বারান্দাতে এসো! আমি পান্তা ইলিশ খেতে খেতে উলাশীর গল্প করবো তোমার সাথে, ঐ যেবার টানা বারোদিন কান্নাকাটি করে আমার স্কুল বন্ধ করেছিলে! কি মজাটা না করেছিলাম!
তুমি এবার আমার শৈশব হয়ে এসো। আমি আরও একবার তোমার মত করে বাঁচতে চাই। মানুষ হয়ে বাঁচতে বাঁচতে কেমন যেন কাঁঠাল পাতার মত হয়ে যাচ্ছি। এসো কিন্তু শীঘ্রই। এসো হে।
ইতি
তোমার বন্ধু কমলা কাঁঠাল পাতা।-
আমি তো কম কিছু দিতে শিখিনি!
তুমি ভালোবাসা চেয়েছিলে ; আমি সুনামি দিয়েছি।-
কান পেতে বসে আছি, কোথাও পাখির ডাক নেই,
ঝিঁঝিঁ আর কৃত্রিম বাতাসের শব্দ!
তুমি পাশে নেই! তবুও নিজেকে অবাক করে সুস্থতায় ঢেকুর তুলি!
জল গড়িয়ে আসে জলের নিয়মে... ফজরের আযানে পবিত্র হয় অদৃশ্য অনিল।
তোমার না থাকা জুড়ে টেনে দিই মাটি রঙা নক্সীকাঁথা... সুগন্ধি জেসমিন।
আমার কবিতার নাম নক্সীকাঁথা-
আমার এবং আমাদের গল্প প্রত্যাহ একটু ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়...
কখনও জ্বরে কখনও জ্বরায় কখনও জীবনের নীল সুখ উদযাপন না করায়,
নিয়মের বৃষ্টিতে বর্ষা আসবে, কদম ফুটবে , প্লাবিত হবে নদী নালা আর এক্সপোর্টের আন্ডার গার্মেন্টস!
শুধু তুমি আমি ভিজে যায় অনিয়মের নোনা পানিতে, কাছের মানুষের ছোড়া কাঁদা
আর অসহ্য ফ্যানহীন ঘামে!-
আজকাল আর তোমার রাগ হয় না আমার উপর!
এখনও আমি নিয়ম করে ভুল করি,
এখনও আমি অভিশাপে মুড়িয়ে নিই
ব্রেকফাস্টের পোড়া পরাটা।
মুখ ভরে গিলে নিই সন্দেহের তিতো কফি।
এক অদ্ভুত কষ্টে পৃথিবীর সব ঝাউ দুলতে থাকে,
অবিশ্রান্ত খুঁজতে থাকে তোমার রাগ....
তোমার ঘৃণা...
দিন দিন বৃষ্টির রংধনুর মত ফিকে হচ্ছো!
ভালোবাসা কি ফিকে হয়!
ভালোবাসা তো পাখির ডাকের মত অবিরাম চলমান...-
কখনও কখনও মনে হয় তোমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ি,
ঠিক ততটা তীব্রতায়! যতটা তীব্রতায় পাজর ভাঙার উপক্রম হয়!
লালসা হয় তোমার হাতে হাত রেখে মেলা দেখার,
কতদিন মেলায় যাই না!
পঙ্কিল পৃথিবীতে পঙ্কজের মত আমার বুকের দীঘিতে তোমার নিত্য বসবাস!
তবুও এত ক্ষোভ কেন খেলা করে খলসে মাছের মত হৃদয় অলিন্দে!
ওখানে তো শুধুই নীল রঙের ফিনিক্স ওড়ার কথা ছিলো।
রোজ হাঁপিয়ে উঠি...
রোজ কাঙাল হই তোমার শেভ করা মসৃণ সবুজের।
তুমি অলক্ষে পুড়িও না প্রেমের প্রেমের পানসি,
আমি ঘোলাজলে কচুরিপানা সরিয়ে ঠিক হাজির হবো শেষ না হওয়া রঙিন বিকেলে।-