শত আগুনে দাহ হয়েছে লালমাটির মেয়ে,
পোড়া চামড়া,নখ,কঙ্কাল,খুলি'তে গিয়েছে ছেয়ে|
বস্তাপচা টাকার কাড়ি দিল মুখে গুঁজে,
চুপ! দেবো আরও কড়ি থাক মুখ বুজে।।
রক্তস্নাত হয়েও আমি তোমাদের লোক,
আমি রুদালি, আমি সততার সম্ভোগ।।
ব্যাধির জেরে বেঁধে দিই আইনের জেরা,
তবু সেবার তরে আমি মানুষের ডাকহরকরা।।
শিক্ষিত রয়েছে পথে,বেকার মরছে বিষ গিলে,
ক্লান্ত আক্রান্ত জীর্ণ জনতা ভাতায় গেছে ভুলে।।-
গণতান্ত্রিক উবাচ যদি সত্য হত আজ,
বুলেট নয় ব্যালট পেতো জনতার স্বরাজ।।
ঋত্বিক ভূঞ্যা
-
সব পুরুষের প্রেমিক সত্ত্বা গল্প আকারে বলা যায় না।
প্রেমিক পুরুষ বেহায়া হয়, বুঝতে শেখে ব্লাউজের নীচের দু'দলা শুধু মাংস নয়, এক বিশ্ব মনও বটে||-
ডিসেম্বরে কাঁথামুড়ি আবেগছটা দুটো ঠোঁট,
নাভিমূলে জিহ্বার উল্লাস,প্রেম বাগিচায় স্রোত।
স্তনের আদর সহিষ্ণু হয়, আন্দোলিত বক্ষ বিভাজিকা,
রতি ওঠে গণতান্ত্রিক চোখে,এক উন্মাদ অগ্নিশিখা।।
-
রুধির স্রাবে কাস্তে হাতে কৃষক যখন ফসল বুনে,
ভাতের স্বাদে টগবগিয়ে কথা ফোটে জন-মনে।
কুর্শি যখন কুর্ণিশ পায়,নেতা তখন স্বৈরাচারী,
জনবিমুখ রাজা তখন বিল আনে ভুরিভুরি।।
শীতের রাতে সঙ্গী হবে জলকামানের অভিমুখ,
লাঙলের ফলায় তছনছ হবে নেতার রাজসুখ।।-
'বেলাশেষে' ফিরে এসো ময়ূরবাহন,
অপুর সংসার খালি করো না প্রিয় উদয়ন।।
সেরে উঠুন প্রদোষ মিত্তির এখনো হাজারটা বসন্তে বিলাপ করা বাকি।।-
আমি নারী,আমি মা,আমি কন্যা,আমি যাজ্ঞসেনী,
আমি প্রেমিকা,আমি স্ত্রী,আমি দূর্গা,আমি বহ্নি।।
পুরুষচক্ষু যোনি আর স্তনে কামের কামড় দেয়-
নাভিমূল ছিন্ন করে ওইখানেতে ভারতরত্ন জন্ম নেয়।
কাব্যকথায়,মোমবাতি জ্বেলে,প্রতিবাদী ফুঁসছে রাগে--
কনুইতে আর রাতের মেসেঞ্জারে,অতৃপ্ত কাম জাগে।
সমাজের জিহ্বা ছিঁড়ে গেছে কাল,প্রশাসন প্রহসনে;
"নির্ভয়া"রা জেনে গেছে 'ধর্ষিতা' নাম কন্যাভ্রুনে ।।
চোখের লালা চিবিয়ে খাচ্ছে নারীর নগ্ন দেহ,
স্বল্পবসনে বেশ্যা হলেও,নগ্নগাত্র কালী মাতৃরূপে নমহ্।।
এভাবে আর কতদিন?কন্যারা সব বলে কলরবে-
'হে ঈশ্বর পরজন্মে যোনিহীন নারী করে দিও কোনভাবে?'
-
ওই শোনো ওই শোনো বেকারের গান,
শহরের অলিতেগলিতে ফুটপাতে কত শিশু হল বলিদান।।
ভোট ঠিক দিলে মুঠো ভরে অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে দেবে,
প্রেমিকার চোখ ভিজে,কত প্রেমিক বেকার হবে।।
ওই দেখ তোরা মন্দির আর মসজিদ ভাঙাভাঙি,
শিল্পীর হাতে শুধু বন্দুক-ছোরা-ফালি আর টাঙি।।
মসনদে বসে ভুলেছে আজ সবার ওপরে মানুষ সত্য,
'বেকার'তোরা গুণে দেখ শুধু মন্দির আর মসজিদ শতশত।
কারখানা আজ ভুলতে বসেছে কলের শব্দ কেমন,
বিজ্ঞান আজ গোমূত্রে মিশে মহামারী পলায়ন।।
চোখের লালা চিবিয়ে খাচ্ছে নারীর নগ্ন দেহ,
স্বল্পবসনে বেশ্যা হলেও,নগ্নগাত্র কালী মাতৃরূপে নমহ্।।
সাম্যের গানে হোক সমকামীতার অকাল বোধন,
কন্যাভ্রুণে,শ্রেণীসাম্যে,বর্ণভেদে নিনাদিত হোক নবজাগরণ।।
~ঋত্বিক ভূঞ্যা-
আমার দুর্গা জন্ম নিয়েছে দেবীপক্ষের সন্ধ্যায়-
আমার দুর্গাই ঘোমটা ছেড়ে মাস্ক পরেছে মুখটায়।।
আমার দুর্গা খবর হয়েছে টুইঙ্কেল-নির্ভয়া-রেড্ডির সাথে-
আমার দুর্গা পিপিই পরেছে বিপদত্তারিনী নমস্ততে।।
আমার দুর্গার মুখ পুড়েছে বিষাক্ত প্রেমের বহ্নিশিখায়-
আমার দুর্গাই গ্লাভস পরেছে সভ্যসমাজ সুস্থ করায়।।
আমার দুর্গা স্বর্গলোকে ত্রিশূল ধরেছে মহিষাসুর বধে–
আমার দুর্গা মর্তলোকে যুদ্ধে নেমেছে ইনজেকশন হাতে।।
আমার দুর্গা পূজা প্যাণ্ডেলে,কাঁসর বাদ্যে অহরহ জপেছো তাঁর নাম,
আমারই দুর্গা রাত্রিবেলা রাস্তায় যদি একা,পুরুষ তোমার জাগলো কাম।।
আমার দুর্গা ঘরেঘরে,আমার দুর্গা ডাস্টবিনে,গর্ভকালে লিঙ্গবধে,
আমার দুর্গা দেখতে কালো,হাঁটার চলন খারাপ,বিয়েতে বাধ সাধে।।
আমার দুর্গা কামদুনি'তে,আমার দুর্গা দিল্লীতে মোমবাতি মিছিলে হাঁটে;
আমারই দুর্গা শাহিনবাগে,পার্কসার্কাসে,জেনিউ'তে জ্বলন্ত প্ল্যাকার্ড হাতে।।
আমার দুর্গা পূজার ফুল,দশমীর সিঁদুর খেলা,বিলীন বিসর্জনে,
আমার দুর্গা জেগে ওঠো,গাও সাম্যের গান,এই ভারতের জনগণমনে।।-
শহর জুড়ে Commentary,মাঠ জুড়ে frustration,
Battingএ ২৭৪,বিশ্বকাপে nostalgia,ধোনি'তে মনপ্রাণ।
২০১১ ওয়াংখেড়ের গ্যালারী তখন মাহি'তে মোহিত,
প্রতিপক্ষকে রুদ্ধ করত ব্যাট হাতে সাত নম্বর প্রতীক।।
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ Finisher,মধ্যমণি ম্যান অফ দ্য ম্যাচে,
তুমি মহারাজ দমবে না আজ,ফিরে এসো প্রিয় ২২গজে।।
-