আমার বুকে সমুদ্রের জোয়ার
সব যুদ্ধ রদ শীরের।
স্পর্শ অহংকারকে মুছে দিলে
কাব্য করে শরীরে ।
-
আজও আসা হয়ে ওঠেনি । যে মানুষ সারাজীবন ধরে খালি অন্ধকারে ডুবে থাকলো ; তার কাছে আলো বিলাসিতা মাত্র ।
-
প্রাক্তনের জন্মদিনে,
ওই যে চেনা নম্বরটা বারবার ভুলে থাকার চেষ্টা করি সেটা আজকের দিনে একটু বেশিই মনে পড়ে যায় । মনে হয় একটা মেসেজ করেই দি কিংবা আমার অন্য কোনো ফেক আইডি থেকে একটা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েই দি । জানি, ওপার থেকে কোনো প্রত্তুত্তর আসবে না ; আশাও করি না কোনোদিনও । যে মানুষটা আমার সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েও আমার অপেক্ষার মূল্য দেয়নি ; আমার খারাপ সময়ে হাতটা ছাড়িয়ে চলে গেছে তার কাছ থেকে কিছু আশা করার অর্থ নিজের চোখে ছোটো হয়ে যাওয়া । প্রত্যেকটা অসম্মান, প্রত্যেকটা লাঞ্ছনা আমায় এখনো মনে করায় আমি কতটা তুচ্ছ ছিলাম একজন মানুষের কাছে ।
আমি তাকে কখনও ফিরে পেতে চাই না আর না চাই সে আমার জীবনে ফিরে আসুক । আমি শুধু চাই যে মানুষটা চলে যাওয়ার পর আমি নিজেকে গড়ে তুলেছি শক্ত ভাবে সেই মানুষটা ভালো থাকুক তার নিজের মতো । যার ক্থা মনে এলেও আমার গা টা ঘিনঘিন করে রাগে,ক্ষোভে ঘৃণায় সেই মানুষটা যত আমার থেকে দূরে থাকবে আমি ভালোই থাকবো তাতে ।
জন্মদিন শুভ হোক তার ।-
ধূসর মেঘের চোখরাঙানি , ধ্বংস করা ঝড়
এমন দিনেই সব হারায়, এক নশ্বর ঘর-
মৃত্তিকাকে দাহ করে আসবার পর সিদ্ধার্থ দেখলো হঠাৎ ওর আরামকেদারাটা দুলছে কিন্তু আপনাআপনিই
-
সেই যেদিন ওকে প্রথম বলেছিলাম গোলাপ আমার ভালো লাগে না; নামহীন রংবেরঙের বনফুল আমার প্রিয় । আমি ভাবতেই পারিনি ও মনে রেখে দেবে বলে । নাহলে কেউ জন্মদিনে বোকার মতো একগোছা বনফুল থোড়িই দেয় । লোকে পাগল বলবে ; তোমার উপর হাসবে ; বলবে প্রেমিকাকে জন্মদিনে কেউ বনফুল দেয় নাকি । কিন্তু ওরা জানে না ওই ফুলগুলোয় যে সৌন্দর্য আছে তা দামী উপহারের চাইতে অনেক দুর্লভ। ওরা জানে না প্রেমিক আমার সব ছোটো জিনিস খেয়াল রাখে । ওরা জানে না, আমার প্রেমিক কতটা হন্যে হয়ে ঘোরার পর ওই ফুলগুলো জোগাড় করেছে। দেখনদারী উগ্রতার একটা বহিঃপ্রকাশ মাত্র । উগ্রতার থেকে স্নিগতা অনেক সুন্দর ; অনেক দামী ।
-
প্রত্যেকটা মানুষই কিছু না কিছুর ওপর, কারোর না কারোর ওপর দুর্বল । শুধু যে প্রকাশ করে ফেলে দুর্বলতা, সে বোকা বলে পরিচিত হয় ।
-
তার ঔদ্ধত্ব চিরকাল সীমাহীন
আমিও হাল ছাড়িনি কখনও
ভালোবাসা নাকি অসুখ জানি না দুজনেই
সে শুধু ওই নষ্টা মেয়েটার গল্পের প্রধান চরিত্র
-
আদরমাখা স্পর্শে ভাঙাতে ঘুম
রাঙা আলতা পায়ের নুপুরে
বিরক্ত পাড়া-পড়শী নিঝুম ।
হতে পারতে মেঘের মতো গুমোট
অভিমানে কাটতো সারা দুপুর
আমি ছুঁলেই হতে গলে জল
মনভালো করা সমস্ত গানের সুর ।
হতে পারতে পাহাড়িয়া কোনো ঝর্ণা
তোমার জন্য পাহাড় হতাম সঙ্গোপনে
আমার বুকেই কাঁদতে আঘাত করে
পথ হারাতাম দুজনে নির্জনে ।
-