যতটা ক্ষতি আঙুলে তোলো
স্বপ্নমুঠো দ্বিধায় খোলো
রাতকুড়োনো কথার মানে
বলতে গিয়ে বলছো না,
শিশির মেখে ভাবানুবাদ
পরিশ্রুত যন্ত্রনা।
-
যদি চাও উৎস মুখে
সুখের আঁচড় এঁকে দেবো,
স্যাঁতসেতে ভালোবাসা
পর্যাপ্ত রোদে সেঁকে নেবো।-
আলোর ঠিকানা লেখা
চিঠি তুমি দিয়েছিলে কবে,
আয়ুরেখা ছুঁয়ে আসা
যাপনের ভেজা উৎসবে।-
চৈত্রে যদি মন না দিতে
বৈশাখে কার দায়?
বিরহযোগ জানতে চেয়েই
সময় নিঃসহায়।-
আকাশ হতে চাওনি বলেই
তোমার রঙ কি ফিকে?
হয়তো আমিও পালটে যাব
মেঘ জমা আঙ্গিকে।-
জমছে ধুলো কথার ভাঁজে
উপেক্ষা মিশ্রিত,
যেই ছুঁয়ে দাও, একলা প্রহর
নিমেষে চিহ্নিত।-
কাক ডাকা ভোরে যদি
কড়া নাড়ে অস্থির কোনো দায়,
উত্তর যেন থমকে
না যায়, বিভ্রান্তির ছলে,
আশ্লেষী মনে স্তব হয়ে
মিশো, আকাশগঙ্গা জলে,
ইচ্ছে থাকলে, নগ্ন পায়ে ও
বলিষ্ঠ হাঁটা যায়।
-
কাটিয়ে দিলাম আনন্দ
আর, দুঃখবিলাস দিন,
একজীবনে শোধ কি হবে
তোমার অমোঘ ঋণ?
স্মৃতি কখন বর্নচোরা
কখন উদ্ভাসিত,
একসাথে তাই চলুক জীবন
আগামী হোক স্থিত।-
পূবল নিদাঘ বুকপুকুরের
বিষন্নতার পাড়ে,
পশ্চিমে দাও বৈশাখী ঝড়
বৃষ্টি ভেজা দিন,
ভিজুক না হয় সম্মোহনের
প্রাবল্যতার ভোরে,
আটপৌরে অপেক্ষা দের
বিস্মৃতপ্রায় ঋণ।
-
কতক টা তুই নকশীকাঁথা
শেষ বিকেলের মাঠ,
নিষেধবিহীন আসা যাওয়ার
চতুর্দোলার পথে,
বিবর্ণতার আসমানী চৌকাঠ I
-