নিত্য নতুন খাবার বানিয়ে ট্রেন্ড ফলো করে স্ট্যাটাসে দেওয়া- তোমার স্বভাব,
পাশের বাড়ির ভ্যান কাকু পুকুর পাড়ে কাঁদে বসে- আজ এই লকডাউনে তার ঘরে যে বড্ড অভাব।-
তিলে তিলে আজ অভিমানের পাহাড় উঠেছে গড়ে
আমার আমিটা ভেতর থেকে আজ যেনো গেছে মরে।
অজুহাতের আড় নিয়ে, তুমি গেছো দূরে সরে,
তোমার নামের স্বপ্ন গুলো আজও তুলে রেখেছি যত্ন করে।
-
খুব কাছের সম্পর্ক বলতে- হয় না কিছুই তেমন,
নিঃশ্বাসও একদিন বিশ্বাস ভেঙে- ঠিক চলে যায় যেমন।
-
সরি বাবা, ধন্যবাদ আসলে,
সত্যি বলতে সরি ও ধন্যবাদ একই সাথে।
কারন-এতদিন যখন বড়ো হয় নি তোমার বেশির ভাগ কথা গুলোরই অবাধ্য হয়েছি। আমার মনে হতো কথা গুলো তুমি নিজের স্যাটিসফ্যাকশনের জন্য বলতে, এখন বুঝতে পারি সেই সব কথা গুলো আমার জন্যে ছিলো, যাতে আমি ঠিকঠাক মানুষ হয়ে, জীবনে কিছু করতে পারি আমি।
আর আমি কেবল ছেলে মানুষি করে গেছি, কখনও তোমাকে হিটলার বলেছি, তো কখনও রাগ দেখিয়েছি, কখনও বা মুখের উপর উত্তরও করেছি। সরি বাবা এতো সব ছেলে মানুষি সহ্য করার জন্য।আর একইসাথে ধন্যবাদও।
তবে আজ যখন সব বুঝতে শিখেছি একটা কম্পলেন্ট আছে তোমার কাছে- আমি কি করছি? কি খাচ্ছি? কতোটা খাচ্ছি? না খেলে কেনো খায় নি?কোথায় যাচ্ছি? ঠিক আছি কিনা? আমার মাথার মধ্যে কি চলছে? কোনো চাপে আছি কিনা? সব খোঁজ রাখো তুমি, বা আমার থেকেই শুনে নাও। শুধুই আমার নয় পুরো বাড়ি টার, পুরো পরিবারটার খোঁজ রাখো, যাতে তুমি সবার খেয়াল রাখতে পারো পুরো পরিবারটাকে ভালো রাখতে পারো, সবাইকে নিয়ে তোমার টেনশন।
আচ্ছা বাবা তোমার কি,কখনও বলেছো তোমার কি অবস্থা, তুমি ঠিক আছো কিনা, কোনো টেনশন চলছে কি? তুমি নিজের জন্য কি করেছো বাবা? নিজের ভালো থাকার জন্য কি করো?
না বাবা তুমি এইসব কখনও বলোনি।
আমি মানছি- বাবা মানে হয়তো নিজেকে বাদে সবাইকে খুশি রাখার নাম।
চলনা বাবা আমরা একদিন বন্ধু হয়।
-
বহিরাগত দের থেকে পাওয়া চোট-সেরে ওঠে সব।
হ্যাঁ ব্যাথা হয় কিন্তু সময়ের সাথে সব ব্যাথা যায় সেরে।
সারেনা শুধু সেই ক্ষত- বন্ধুর আড়ালে যেটা শত্রুরা যায় মেরে।
সব থেকে বড়ো চোট আজ বন্ধুদের নামে এই মুখোশ ধারী শত্রুদের থেকেই আমরা পায়,
তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটার ঠিকানা কোথায়?
- তা সম্পর্কে বহিরাগতদের তো আর কোনো জ্ঞান নাই।-
তুমি যেনো এক পাখির ন্যায়,
ছড়িয়ে দিয়ে দুই ডানা উড়ে বেড়াও নিজের খুশির খোঁজে।
প্রতিনিয়ত বাসা বদলাও-ঠিক যেনো এক যাযাবরের সাজে,
তুমি ছেড়ে গেছো বেশ বহুদিন- আমি আজও ভালোবাসায় সাজিয়ে রেখেছি তোমায় আমার এই হৃদয় মাঝে!-
স্বপ্ন গুলো বড্ড ধোঁয়াশে হয়ে উঠেছে আজ,
তোকে হারিয়েছি কিছুটা এইরকম ভাবে- যেনো নিজের কাছেই হারিয়েছি নিজের মান।
হঠাৎ করেই ঘটে গেলো সবটা,
পাওয়ার খুশিটা জতটানা বেশি ছিলো- তোকে হারানোর কষ্টটা যেনো ক্ষণে ক্ষণে নিয়ে নিচ্ছে মোর প্রাণ।
মিথ্যে হাঁসির আড়ালে- নিভে যাওয়া সেই জ্বলন্ত আমি,
বাবা,মা,ভাই,বোন,সবার কাছে যে বড্ড দামি,
আমার এখন, কাজ-কর্ম- পরিবার-বন্ধু-বান্ধব-একটু আধটু নিকোটিন এইসব নিয়েই হয় থাকা,
হ্যাঁ তুই ফিরে তাকাসনি এখনও, আর আমিও ভুলতে পারিনি তোকে কখনও,
তাই মনের ঘরটি অবশ্যই ফাঁকা,
এখন আমার কাছে এইটুকুই- যেটুকু নিয়ে আমার ভালো থাকা,,,!
-
-এই নব দা একটা চা দিও তো,
-হ্যাঁ, দাদা পাশের টেবিলে বসুন।
2 মিনিট পরে,
- এই নাও দাদা চা।
-ই মা তুমি কে বাবু, তোমার নাম কি?
-আমার নাম রাজু, পাশের পাড়ায় আমার বাড়ি।
-তুমি নব দার এখানে কাজ করছো? এই নব দা তুমি রাজুকে দিয়ে কাজ করাচ্ছ?
তুমি জানোনা বালশ্রম অপরাধ?
-দাদা শোনো আমার বাবা নেই, অসুস্থ মা কাজ করতে পারে না, এখন আমি একটু কাজ না করলে যে খেতে পাবোনা।
পাশ থেকে হ্যাঁ বিক্রম দা,এই সব শুনেছি আমি ওর কাছ থেকে, আমি হয়তো ওদের একদিনের খাবার দিতে পারি কিন্তু প্রতি দিনতো পারবো না বলো। আর পেট তো আর শিশু-বুড়ো বোঝেনা। পেটের টানে অভাবের জেরে কোনো ভুল পথে না পরিচালিত হয় ওর শৈশব তাই আমি ওকে কাজ টা দিয়েছি। তবে দাদা আমি ওকে কিন্তু খুব একটা বেশি কাজ করাই না, চেষ্টা করি খুব কম কষ্ট দেওয়ার।
তুমি পুলিশ কে যেনো খবর দিও না।
রাজুর মাথায় হাত বুলিয়ে, নব দার কাছে হাত জোড় করে বেরিয়ে গেলো বিক্রম। কারন করণীয় কিছু নেই, যদি বালশ্রম অপরাধ হয় তবে নব দা অপরাধী, কিন্তু যদি নব দা ওকে কাজে না রাখে, তবে কে নেবে ওর খাবারের দায়িত্ব?
কখনও মনে হয় শিশু শ্রম অপরাধ, কিন্তু আসে পাশে এইরকম কতো রাজুই না আছে, আমরা দেখেও তো না দেখার ভান করি, তাই কখনও মনে হয় বাল শ্রম চলছে বলেই এই রাজু গুলো তাদের পরিবার নিয়ে বেঁচে রয়েছে।
-
যে যেখানে স্থান দেয়-আমি সেখানেই রয়ে যায়,
আমি দিয়েছিলাম হৃদয়- তুমি দিয়েছিলে জায়গা বন্ধু দের মাঝে,
সেখানে গিয়ে দেখি,আমার মতোন শত জন- যাদের উদ্দেশ্য যাওয়া তোমার কাছে,
বলেছি শত কথা,করেছি প্রতিদিন প্রেম নিবেদন- তবে হয়নি জায়গার কোনো পরিবর্তন,
আজও আমার জায়গাটা সেই- সেখানেই রয়েগেছে তা অবশ্যি আমি জানি,
তাই তোমার সম্মুখে আজ আমার কথারা- বড্ড অভিমানী,,,,!
-