একদিন যাবোই হারিয়ে নিশ্চয়,
হবো লীন পঞ্চভুত বলয়ে,
তার আগে হয় না সহজে হারানো নিজেকে,
নিজের থেকে।
যদিও হারায় কোনদিন কোন দৈব দূর্বিপাকে,
খুঁজে পাবে তথায় অনুসন্ধানে।
হারায় যদি নিজেই নিজেকে বসুধার গুপ্ত কোলে,
তথাপি পারবো না হারাতে নিজেকে নিজের কাছে।
উপদেশে সৎ গ্রন্থে আছে কর্মের ফল লভিতে,
কর্মফল ভোগ করিতেই হয় ইহজনমেই।
সু কিংবা কু যায় করেছি এই জনমে,
সে কর্মের ভাগশেষ যে স্মৃতি রূপে আছে।
তার থেকে যে নিস্তার নেই মরণের আগে,
তাই তো হারিয়েও, হারাতে পারি না তাকে।-
হয়ত কোন বড় লিখিয়ে নয় তবুও কোন লেখা অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না৷
যেতে দেখে একই পথের,দুদিক দিয়ে দুজনকে,
আবার থামলো সময় কয়েক পলকের তরে,
থমকে থাকা সময়ের কিছু টুকরো টুকরো ছবি,
আনমনে আচমকায় উঠলো ফুটে মনের ক্যানভাসে,
কোনটাতে ওরা বসে দুজনে মুখোমুখি,
কোনটাতে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে এক ছাতার নিচে,
কোনটাতে আবার বিষন্ন মুখে পিঠপীঠি,
কোনটাই উড়ন্ত আঁচল ধরে শুধুই খুনসুটি,
আজ ওরা অনেক দূরে দূরের ছায়ার সাথে,
ছিল যে পরিচয় তা যেন কবেই গেছে ভুলে।
স্বার্থ আর অর্থ যেথায় মানুষ বিচার করে,
"বন্ধু "নামক শব্দটি সেথায় বড্ড বেমামান লাগে।
দুজনেই এই সমাজের, মানুষ রূপেই গণ্য,
মিথ্যা অহমিকায় বিভেদেও তারায় অগ্রগন্য।
-
নিঃসীম নিঝুম অন্ধকারে,
সুবিশাল ওই আকাশের বুকে,
বাঁকা চাঁদটাও একলা একাকীতে,
তবু হাসছে সে খিলখিলিয়ে,
বললো , তুমিও কী একা স্মৃতির পাতা উল্টাতে?
জানো, রেহাই পাবে না কোনদিন এই মন্থন থেকে,
ফিরে ফিরে আসবেই সে শ্বাস - বায়ুর মতো করে,
আসলে মৃত্যু নেই যে অনুভবের...
তাকেই যে ভালোবাসা বলে,
সব আছে শুধু জ্যোৎস্না নেই কাছে।
-
ইচ্ছে গুলো সব টুকরো টুকরো,
নিঃশব্দ এক আঘাতে,
যেমন শরতের ভোরের শিউলি,
ঝরে পড়ে টুপটাপ টুপটাপ করে।
তবু বেহায়া মন শোনে না কারণ বারণ,
অকারণেই শুধু চায় দাঁড়াতে,
খোলা জানালার পাশে,
যে জানালার আগল হয়েছে রুদ্ধ পশ্চিমী ঝঞ্জাতে।
বোঝেইনি অবুঝ মন শত ব্যস্ততাতেও,
মুছে গেছে পৃথিবীটা খোলাজানালার ওপাশে।-
বোহেমিয়ান জীবনের ধারা,
তবু খোঁজে খোলা আকাশের ছায়া,
পেতে চায় নিজেকে উর্বর খোলা মাঠের বুকে,
সবুজাভাতে নেই যেথা যতিচিহ্ন,
বসন্ত বিরাজ যেথায় অনন্ত কাল ধরে,
পেলব সুরের সোহাগে, লাগুক প্রাণে মধুর নিবিড়তা I
জীবন নয় সব পেয়েছির আসর,
জীবন তাই পেয়ে হারালো জীবন I-
রক্তে ভেজা অনেক পথ পেরিয়ে,
বুকফাঁটা কান্না দীর্ঘশ্বাসে লুকিয়ে,
আপন হয়েছে পর;পর হয়েছে আপন...
দেশকে করতে স্বাধীন আছে বহু আত্মবলিদান৷
একবুক রক্তের দুর্গমতা সাঁতরিয়ে ,
গৈরিক সাদা সবুজ ধ্বজা উড়িয়ে,
স্বাধীনতাসূর্য উদিত হয়েছে ভারতে...
বহুশত বাঁধার পাহাড় ডিঙিয়ে৷
ভুলো না সে আত্ম-বলিদান,
ক্ষুদিরাম বি-বা-দী সুভাষের নাম৷
স্মরণে বরণীয় রেখে সেই দেশপ্রেমের মান,
রাখো উন্নত করে সুমহান ঐ তেরঙ্গার সম্মান৷-
নীলাকাশে উড়ছে সাদা মেঘের ভেলা,
মন তাই গাইছে সুখের মুখড়া,
ভেবে নিয়েছে সে, সবই হবে স্থায়ী,
বেঁধেছে যে সে ঘর মনের মানুষ সনে।
ভাসলো তারা প্রেমে,
নীলাকাশের নীলকে সাক্ষী রেখে,
হবে তারা ইতিহাস একে ওপরের প্রেমে।
অন্তরা এলো বেশ সেজেগুঁজে, বললো তাকে,
মিছেই তোমার ভাবনা খানা,
দেখো সব পাল্টাবে সময়ের টানে,
মিছুটান থাকে না পিছুটানের মতো করে।।
গম্ভীরা এলো গড়গড়িয়ে দামাল বাতাস নিয়ে,
নিমিষেই সব সাদা, কালো হলো, বেসামাল বাতাসে,
বিদ্রোহ তাই নীল আকাশের অন্তর আর্তনাদে ,
ভালোবাসা.. কেন হারিয়ে যায়,
সাদা কালোর করাল গ্রাসের তলে?-
कुछ लोग ज़िन्दगी से,
जाने अनजाने खो जाते है,
पास होते तो कडर तक नेही होती,
खो जाने के बाद ढूंढ कर वी नेही मिलती I-
আজও খুঁজে পাই তোমাকেই,
নিঃসীম নীরবতার অন্ধকারে...যায় যখন হারিয়ে,
'ওই 'বলে ডেকে তুমিই দাও পথ খুঁজে।
আবার যখন ভিড়ে ভরা মিছিলের মাঝে,
লাগে দমবন্ধ সব কিছুতেই ,
যেন হারিয়ে ফেলেছি নিজেকেই।
তখন আবার খুঁজে পায় নিজের নিজেকে,
কোন এক প্রায় হারানো পাণ্ডুলিপির মাঝে,
আমার আমিকে লিপিবদ্ধ করেছি যে তাতে।
কত শত না বলা কথারা ঠায় দাঁড়িয়ে সেখানে,
দুঃখেরা তাদের দোসর, মুখে হাসি এনে,
প্রকাশিত হবে না তারা কোনদিনই লেখার আকরে।-
শূন্যতা কী শূন্যই থাকে আজীবন?
হয়তো তাই,
কিছু শূন্যতা, ভরে না কিছুতেই,
সাহারার মতোই তৃষিতই থাকে I
চলতে চলতে সাথে,
থেমে যায় সবাই একসময়,
পথিকের হয় না থামা,
গন্তব্য যে তার তখনও অধরা I
একদিন পথিকও হয় শ্রান্ত ক্লান্ত,
চায় সেও একটু বিশ্রাম,
হে প্রাণের সখা, এসো তুমি সন্ধ্যে নিয়ে,
তোমার সাথে মিলনের তরে নয়,
পথিক যে চলেছিল পথ,
শুধু তোমারই কারণেই,
মৃদু হেসে পথ চলার দিও সম্মতি সম্মান,
অন্তহীন খোঁজের অন্ত হোক চিরবিশ্রামে I
-