- উমা...,এই উমা....
এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারি না, সকাল থেকে এতো বেলা হয়ে গেল এখনো কিচ্ছুটি মুখে দিলে না। কিন্তু গেল কোথায় মেয়েটা?
- ঠাকুর, ওহ ঠাকুর তুমি বলো না,বলো তাদের ভালো রাখবে? শুনতে পাচ্ছো মা কেমন রেগে গেছে, তুমি বলো না তাড়াতাড়ি সৈনিক দাদাদের ভালো রাখবে, তাদের ক্ষতি হতে দেবে না,বলো না ঠাকুর.....
- তুই কি করছিস উমা?
- উমা ছলছল চোখে পেছন ঘুরে তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলছে,মা দাদা যে বলেছিলো, "চেয়ে দেখ কত্ত তোর সৈনিক দাদা আছেন,আর তুই শুধু শুধু এক দাদার জন্য কাঁদছিস?বোকা মেয়ে একটা!"সত্যিই তারা সবাই আমার দাদা?
- হ্যাঁ রে মা!তারা সবাই তোর দাদা।
- দেখো না মা, ঈশ্বরকে এতো করে বলছি আমার সমস্ত দাদাকে ভালো রাখবে কি না, কিছুতেই বলছে না। মা আমি আমার আর একজন দাদাকেও হারাতে চাই না.....
পাঁচ বছরের ছোট্ট উমার কথা শুনে তার মা আর বড়োমা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।তারা যে জানে ছেলে হারানোর যন্ত্রণাটা.....-
আমার বাড়ি মানে আমার প্রোফাইলে এসেছেন ঘুরতে তবে একটু সাবধান ৷ ছোট বেলায় মা বাবার থেকে... read more
প্রিয় সৈনিক মহোদয়েরা,
এই সময় দাঁড়িয়ে কেমন আছেন জিজ্ঞেস না করাই ভালো। তবে এটুকু বলতে পারি আমারও ভালো নেই, তবে ভরসা যে আপনারা আছেন।
আমি সামান্য একজন, কেবল আপনাদের জন্য আপনাদের মঙ্গল চেয়ে করজোড়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারি। আপনাদের জন্য দুশ্চিন্তা হয়, কেউই যেন আপনাদের এতোটুকুন ক্ষতি করতে না পারে। আপনাদের করণেই তো আমার শান্তিতে আছি।
আপনারা খেয়াল রাখবেন নিজেদের।সতর্ক থাকবেন,সচেতন থাকবেন।
ইতি
তুচ্ছ এক শুভাকাঙ্ক্ষী বোন।-
জীবনের সমস্ত আক্ষেপ যদি লিখতে বসি,তা শেষ হবে না। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় আঁকার সরঞ্জাম সহজে না পাওয়ার আক্ষেপটা।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে,আমি আঁকার সরঞ্জাম সহজে আর সঠিক দামে পাই না বলে,সঞ্চয়ী হয়েছি। তাদের যত্ন করে আগলে রাখতে শিখেছি, শুধু শুধু নষ্ট না করতে শিখেছি, সেসবকে ভালোবাসতে শিখেছি। তবে শিখিনি অজুহাত দেখিয়ে আঁকার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে।
এক আক্ষেপকে কেন্দ্র করে আমার এতোকিছু শেখা.....-
কি বা তোমায় বলবো আমি,
আমার কিছুই জানা নাই;
তাই ক্ষণে ক্ষণে বলে উঠি
"ওঁম নমঃ শিবায়।"
বছর শেষে চৈত্রমাসে,আজ
তোমার কি যে গাজন গাই?
কিছু না জেনে কেবল বলি
"ওঁম নমঃ শিবায়।"
তোমার পূজোর নিয়ম আর
মন্ত্রও তো আমার জানা নাই,
সকাল বিকাল বলি কেবল
"ওঁম নমঃ শিবায়।"
সব না জানার মাঝে
কেবল এতোটুকুই জানি,
তুমিই ভীষণ আগলে রাখো
আর ভালোবাসো অনেকখানি।
সময় অসময় সর্বক্ষণ
কেবলই বলে উঠি তাই,
"ওঁম নমঃ শিবায়"
"ওঁম নমঃ শিবায়"....-
না এটা কোনো গল্প নয়,এটা একটা সত্যি গল্প। সেদিন প্রচণ্ড রোদ, আমি বাসের জানালার পাশে বসে, ট্রেন যাচ্ছে বাস থেমেছে। হঠাৎ চোখ পড়লো বাইরে, দুটি ভাইবোন, ছোটো খুব, চেহারা মিষ্টি ভীষণ, ধূলো ময়লার আস্তরণে ঢাকা,পরণেও তেমনি ধূলোমাখা ততধিক মলিন বস্ত্র, কিন্তু হাসিটা ভীষণ মিষ্টি আর দামী আর হাতে একটা করে ছোট্ট ঝুড়ি।
দুটি ভাইবোন প্রথমটা এক টোটো কাকুকে কি মিষ্টি করে বলছিলো, আমাদের একটু নিয়ে যাবে গো?
দেখলেম, তাড়িয়ে দিলে। কষ্ট হলো।একটু বাদে আরেক কাকুকে গিয়ে বলছে, আমাদের নিয়ে যাবে গো বাসস্ট্যান্ড অবধি?
দেখলেম,দুজনে টুক করে টোটোতে উঠে বসলে,কি দারুন চমৎকার মিষ্টি হাসি দুটোর মুখে,সেই সঙ্গে টোটো কাকুরও।
হাসলুম আমি, আমার ঈশ্বর, খুশি হলুম ভীষণ....-
-মা,এই যে প্যাকেটটা ধরো,আর কাল সময় মতো চলে যেও। হ্যালো, হ্যাঁ বল শুনতে পাচ্ছি....
-অপু কি এনেছে গো দিদি?তোমার জন্য এনেছে?
-ও একটা শাড়ি এনেছে। আসলে ওর বাবা তো বাড়ি নেই,আর আমার হাতেও টাকা নেই যে বাজারে গিয়ে কিনে আনবো। আগামীকাল একটা নেমন্তন্ন আছে যে তাই নিয়ে এসেছে।অথচ দেখো ওকে আমি বলিনি শাড়ি আনবার জন্য।
-কেনো ও বেতনের টাকা তোমায় দেয় না?আমার ছেলেটা আবার বেতনের টাকা আমার হাতেই দেয়।আর তোমার ছেলে তো টিউশনি করায় কতটুকুই বা পায়,আর তোমায় দেবে কি।ঐ তো বাউন্ডুলের মতো ঘুরে বেড়াতে দেখি সবসময়।
-আমার মনে হয় ওর টাকা ওর কাছেই থাক, সেই ভালো।
-এসব নিজেকে সান্ত্বনা দেয়ে ছাড়া আর কিছুই না। যাকগে অনেক কথা হলো,আসি।ছেলে বাড়ি ফিরে না দেখলে আবার টেনশনে চিৎকার করবে,বড্ড বেশি ভালোবাসে কি না তাই...
এই ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর,এক সকালে অপুর মা ফুটফুটে নাতনিকে কোলে নিয়ে ব্যালকনিতে বসে মনে মনে হাসছে,আর বলছে আমার বাউন্ডুলে ছেলে দেখো আমার বৃদ্ধ বয়সে আমায় কত যত্ন করে নিজের কাছে আগলে রেখেছে।আর তুমি বলেছিলে তোমার ছেলে তোমায় বড্ড বেশি ভালোবাসে, তাই তোমায় আজ বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেদিনের মোক্ষম জবাবটা আমার হয় ঈশ্বর তোমায় দিলেন......
-
প্রিয় পুকুর পাড়,
অনেক দিন হলো তোমার পাশে গিয়ে বসতে পারিনা। আজকাল বড্ড ব্যস্ত,সময় হয় না সেই শৈশবের মতো তোমার কাছে গিয়ে বসে বসে তোমায় দেখবার। কষ্ট হয় খুব।
ভীষণ মনে পরে, মনখারাপ হলে রাগ হলে তোমার কাছে গিয়ে বসে বসে কাঁদতাম, কখনো অনেক বকবক করতাম, কখনো গিয়ে দেখতাম পুকুরের সৌন্দর্য। বর্ষায় জল টইটুম্বুর হয়ে যাও,আর শরতে চারপাশের কাশফুল,কি অপূর্বই না দেখতে হও; নীলাকাশের পাঁজা তুলোর মত মেঘের প্রতিচ্ছবি আর কাশফুলের ছায়ার সৌন্দর্য আমায় বার বার টেনে নিয়ে যেতে চাইতো তোমার বুকে। শেষ ভয় হতো,সৌন্দর্যে আঘাত করে ফেলবার।আবার জল কমে এলে ছোট ছোট ঘাসফুলেরা ফুটে থাকতো কোল ঘেঁষে, জুড়িয়ে যেতো মন। মনে পরে সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যায় রূপ সৌন্দর্য।
আজকাল আর সময় হয় না,এতো ছোটাছুটির পর ক্লান্ত শরীরে তোমায় মনে করতে করতে হারিয়ে যাই ঘুমের দেশে। দেখো, ঠিক সময় করে তোমার পাড়ি গিয়ে বসে থাকবো।
ইতি,
তোমার সৌন্দর্যপ্রেমী রাখী।-
প্রথমেই বলে রাখি, শুধু মাত্র কৌতূহল......
আমি প্রায় প্রতিদিনই নোটিফিকেশনে দেখি, একজন দুজন এমনকি তিনজন বা তার বেশি মানুষ আমার প্রোফাইলে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। আমি জানতে চাই এই ঘুরতে আসার কারণটা কি? খুব ইচ্ছে হয় জানার, তাই আর কি...
সবকিছুর পেছনেই একটা না একটা কারণ অবশ্যই থাকে তাই জানতে চাওয়া। বলে গেলে খুব খুশি হতাম 😊
আর অগ্রীম ধন্যবাদ .....-
জানো,পাল্টে গিয়েছি আমি;
ভীষণরকম ভাবে পাল্টে গিয়েছি।
তোমার সেই চিরচেনা আমিটা নাই;
হারিয়েছে তোমার সাথেই।
যাকে চিনতে তুমি,সে অচেনা ভীষণ
সে আর অকারণে কেঁদে বালিশ ভেজায় না,
সে আর ছেলেমানুষী করে না,
সে আর এলোপাথাড়ি মাঠে ঘুরে না;
আমি সত্যিই পাল্টে গিয়েছি ভীষণরকম ভাবে।
তার এখন দুঃখ ভোলার তাড়া,
তার কষ্ট ভোলার তাড়া ভীষণ,
সে গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে,
জানো তো আমি পাল্টে গিয়েছি ভীষণ ভাবে।
ঐ যে সেদিন তুমি চলে গেলে,
সেদিন আমার সবটা নিংড়ে পিছু নিয়েছে তোমার।
আজ তুমি নাই, নাই ছেলেমানুষীটাও
আমিই ভীষণ পাল্টে নিয়েছি,বলো?
পাল্টেছি ভীষণরকম ভাবে....-