- রোজ রোজ এই নদীর ধারে কি করো?
- কবিতা আওড়ায়, লিখে বেড়াই যা ইচ্ছে..
- এই শুকনো, জীর্ণ, একলা নদীর বুকে কবিতা খুঁজে পাও!
- না, নিজেকে।-
Your quote এ তখন লিখি আমি গোপনে।
- কি ব্যাপার, খাতা পেন নিয়ে নদীর ধরে?
- কবিতা..
- ও, বই বানানোর জন্য?
- না, পরিচয়।-
খুঁত থাকাটাই মানানসই, অগোছালোতাই সৌন্দর্য..
দুষ্টুমিটুকুই প্রতিভা, খুব সংযত একঘেয়ে হবার চেয়ে ‘উদ্ভট’ হওয়াটাই যথাযথ।
মানুষ চাঁদকে কলঙ্কের জন্যই ভালোবাসে।
অদ্ভুত! মানুষই নিষ্কলঙ্ক হতে চায়!-
১.আমি চাঁদ ছুঁয়ে আসা ব্রাহ্মণ, তোমার পাহাড়ের ধ্বসে বাড়ি;
আমি ভুলে যাওয়া সেই ইতিহাস,
তুমি অস্বাস্থ্যকর মহামারী।
২.আমি যতবার ভাবি সুস্থ, তুমি ততবার সেই বিছানাগতের কারণ;
আমি স্বপ্নে দেখি মুঘল সাম্রাজ্য,
তুমি পতনের কারণ!-
কত সম্পর্ক কবিতা বোঝেনা, কত মানুষ চৌকাঠ থেকেই ফিরে যায়..
ঘরের খবর নাইবা জানলো, কিছু গল্পের উপসংহার, হাঁটতে হাঁটতে দূরে চলে যাওয়া টাই।
তবু ইচ্ছাকৃত মাঝেমধ্যে বলতে ইচ্ছা করে, ‘চলি তবে’। তারপর বিস্ময়;
আসলে যে বাসনা থাকে, ঘর থেকে রাগী মেজাজে কেউ বলুক, “যাবার সময় ‘আসি’ বলে যেতে হয়"!-
অপরিচিতা, পারতে তুমি যাওয়ার আগে আটকে দিতে।
শীতের রাতে জড়িয়ে রাখা; এইটুকু তো সহজ দাবি!
শুধু বজ্র-বৃষ্টিতে জড়িয়ে ধরো। এই শীতেতে মেঘ করেছে। অবশ্য;
সব মেঘে যে বৃষ্টি হবে, প্রত্যাশাটাই অস্বাভাবিক।-
ইচ্ছেমতন গোলাপ কেনার সময়
কাঁটাদের সঙ্গেও পরিচয় করে ফিরো;
পাপড়ি দেখে প্রেমে পড়ে বুঝেছিলাম
আমার মতন মানুষগুলোই হেরো।-
নতুন করে শুরুর পৃথিবীতে
কেউ কেউ থেকে গিয়েছে। জানি তা..
প্রেমে পড়ে জড়িয়েছে সকলে,
আমি লিখে গিয়েছি কবিতা।
এসব যদিও বলতে চাইনি
তবু মনে হয় হেরে যাচ্ছি, জানো?
যার জন্য এতকিছু লেখা,
তাকেই আজও হয়নি শোনানো!
বৃথায় লিখে চলেছি কবিতা।
জানি, তার ঠিকানায় হবেনা পাঠানো..
-
কেউ একটা কান্না করে রোজ, দুচোখ ভিজিয়ে রাখে অবসাদে।
উফ! সে-যে কেনো একলা ঘরে, পুরনো কবিতা পড়ে কাঁদে!
আকাশটাও মেঘলা, পুরোনো চিঠিগুলো ভেসে গিয়েছে জলে,
এমনই সন্ধ্যা কেনো যে বারবার ইতিহাস ভাবিয়ে তোলে!
বৃষ্টি এসে ছুঁয়ে দেবে এইবার। বিরহের শেষে কবিতাও মানা, যাইহোক;
চিলেকোঠার দরজাটা ভেজিয়ে যেও,
অবেলায় একা ভিজবো না।-
বিচ্ছেদ। উপহারে তোমায় কি দিই বলো?
তুমিতো মুখ ফিরিয়ে রাতে সূর্যমুখী চাও..
কবিতা দিতেও রুচিতে বাঁধে, জানো?
তুমি তো আর কবিতার মতো তুচ্ছ নও!-