এই যে পাহাড়ী বাঁক
তোমার মতো অনেকে
যারা এখানে আসে
শান্তির খোঁজে
সকলকে তাদের উচ্ছেদ করে
বাড়ি বানাব এখানেই
একচালা ঘর
চালে মেঘ জমাব
সামনের রাস্তা-কুয়াশায়
পায়ের পাতা বিছিয়ে
অপেক্ষা করব
অপেক্ষা ফুরোলেও কেউ না এলে
এ ঘর আমি নিলামে তুলব
জমানো মেঘ বেচে দেব
তোমার ঘন কালো চুলের দরে
আর ঋণী থেকে যাব
শান্তির কাছে-
“বর্ষা গা”
বাতাস বয় ঝড় ওঠে
জানালায় ঢোকে না
বে-গরজ় তো আর সবাই হয় না
ভারি বুকের নিচে চাপা পড়ে প্রশ্রয়
টলটলে বর্ষায় নাভি ছাপিয়ে যোনিতে জল জমে…
এই মরশুমি নগ্নতা কিছুতে অ-শরীরী হবার নয়
এ শরীর স্বর্ণালির
এ শরীর শর্মিষ্ঠারও
এমন দেহসর্বস্বা ক’জনই বা হয়
এমন বে-আব্রু তো আর সবাই হতে পারে না-
"Tale of Fairies"
Silver-lined particles of memory
blend with clouds of gold
in a sky soon to be dark
The parting sun of a consumed day
will no more alchemize today
You don't listen and tell
read and write
fairytales
You S-E-E them-
“ঠাকুর”
লিখে তুমি কিছু হওনি কবি
রবি কবি তাই লিখে গেছ
মারা গেলে কবে এত শত কালে
এই আজও তুমি বেঁচে আছ
ঠগ্ জোচ্চর অমৃতচোর
সবে ভগবান বলে তায়
দেবতার দল একজোট হলে
‘ঠাকুর’ — তুমি সে একাই
প্রণাম তব পা’য়-
জীবনপথের পাকদণ্ডী ধরে
কাছে আসা ব্যর্থতা
পর্বতশিখরে জমা
ক্ষয়ক্ষতির স্তূপ…
আরও কত কী না-পাওয়া মিলে
আমার আপন পাহাড় হয়ে আছে —
একাকীত্বের আশ্রয়
একলা হওয়া প্রশ্রয়
তবু আমাকে আকাশ হতে দিলে —
এমন নীল হতাম না —
ফ্যাকাসে হয়ে থাকতাম-
“তুমি নেশা করেছিলে
ঘাম-রক্তের ককটেল গিলে
সোজা গিয়ে মুতে দিয়ে এলে
প্রশাসকের দেয়ালে!”
“লাঠির ঘায়ে লাথির পায়ে
অপমানে ছিন্নবস্ত্র গায়ে
হারাবার নেই কিছু আর
আমি কি মোটেও চিনি
চোরের উঠোন নাকি রানির দুয়ার?
বেশ করেছি পেচ্ছাব করব আবার।
মাতাল নই গো দাদা
এ নেশা পেট বাঁচাবার
সম্মানহানি
পুলিশের মার
যোগ্য মূল্য পেয়েছি দাদা
যোগ্য শিক্ষার।”
জয় জয় সরকার!-
“বয়স বাড়ার আয়েস”
যা ঠিক যত ভুল
আজেলিয়ার ফুল
কুয়াশা হয়ে থাকা মেঘ
দলা দলা আবেগ
মসৃণ থেকে পাহাড়
উফ্ হয়ে আহা-র
জাঁরের মোলায়েম স্বাদ
নেশাতুর বাঁক পাহাড়িয়া খাদ
সিঙ্কোনার ছাল ও জ্বর
মনখারাপে পাহাড়ী ঘর
মার্মালেড বাটারকাপ স্কিজ়ান্থাস
আবিরের রঙে ফুলের নির্যাস
জন্মদিনের পায়েস
বয়স বাড়ার আয়েস
প্রকাশিত হোক ভোরের আলোয়
যত যা যা আর্দ্র গোপন
শীতল শ্বাসনিঃশ্বাসে
অধ্যাত্ম বিশ্বাসে
পাহাড়সমান বৃদ্ধি আমার
নিজেকে করি পুনঃ রোপণ
পাহাড়ঢালে
অনন্তকালে-
স্তনে চুম্বনে মনে পড়ে থাকা প্রেম ও প্রাণ
শিমুলে পলাশে পেলবে শৈত্যের অবসান
কাম স্নেহ শবদেহ একসাথে এসে ছুঁলে
আমি বসন্তে ভুগি
কুঁড়িতে মুকুলে ফুলে-
প্রেমিকার মুখে নেমে আসা চুলের মতো
ঝুপ করে নামা সন্ধে
মেঘেদের গায়ে ফেলে আসা গোধূলির রঙ
কালো হয়ে যায়
সামনের পাহাড়ে তারা-তারা শহর
নীচের সমতলে বিমানের আলো-আলো ছোটাপথ
মাতাল হয়ে দেখি
আর এক এক করে সব মাতালকে
বাবা বলে ডাকি
চোখের তারায় কুয়াশা এসে বেঁধে
রাত বাড়ে
কাস্তে বা চাঁদ মাথায় কোপ মারে
সম্বিত ফিরলে সকাল
সবুজ পাহাড় দূরের দিকে নীল —
মায়ের মতো কাছ থেকে দেখা
মৃত্যুর মতো নীল
চির পাইনের ভিতর থেকে চেরা সূর্য
চোখ আঁধার করে
পর্বতের সাদা চূড়া থেকে
জটা ধরে নামিয়ে আনি শিব
ধ্যান ভাঙি পাহাড়ের
বিকেলের রোদ
পাহাড় ভেঙে সমতল হয়
মোহভগ্ন প্রেমিকের মুখে সংসারের দাগ
রডোডেনড্রনের বন ছেড়ে রঙ্গনে বাগান ভরাই
বন্ধুর হাঁটাপথ যানহীন
বন্ধুদের সংখ্যা কমে আসে
পথ ছেড়ে খাদ হয়ে উঠি
মানুষ হই না
যা নেই জানি তা নেই
আছি তাও আছি কই
ধীর গোঙানিতে হ্রাস পেতে থাকা শ্বাস
তবু ধড়াস শব্দে ধ্বংস হয় না আশ…
ত্রস্ত বসবাস
দিস্ ইজ় দ্য ওয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড এন্ডস্
দিস্ ইজ় দ্য ওয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড এন্ডস্
দিস্ ইজ় দ্য ওয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড এন্ডস্
নট্ উইথ্ আ ব্যাং বাট আ উইম্পার-
প্রেমিকার স্তনের মতো নরম সকাল
শারদ রোদ্দুরে মসৃণ শরীরের ঢাল
ভারী বুকের বিভাজিকায় ঘন কাশের সারি —
এমন শরৎযোনিতে আমি জন্মাই বাঁচি মরি-