“তুমি নেশা করেছিলে
ঘাম-রক্তের ককটেল গিলে
সোজা গিয়ে মুতে দিয়ে এলে
প্রশাসকের দেয়ালে!”
“লাঠির ঘায়ে লাথির পায়ে
অপমানে ছিন্নবস্ত্র গায়ে
হারাবার নেই কিছু আর
আমি কি মোটেও চিনি
চোরের উঠোন নাকি রানির দুয়ার?
বেশ করেছি পেচ্ছাব করব আবার।
মাতাল নই গো দাদা
এ নেশা পেট বাঁচাবার
সম্মানহানি
পুলিশের মার
যোগ্য মূল্য পেয়েছি দাদা
যোগ্য শিক্ষার।”
জয় জয় সরকার!-
“বয়স বাড়ার আয়েস”
যা ঠিক যত ভুল
আজেলিয়ার ফুল
কুয়াশা হয়ে থাকা মেঘ
দলা দলা আবেগ
মসৃণ থেকে পাহাড়
উফ্ হয়ে আহা-র
জাঁরের মোলায়েম স্বাদ
নেশাতুর বাঁক পাহাড়িয়া খাদ
সিঙ্কোনার ছাল ও জ্বর
মনখারাপে পাহাড়ী ঘর
মার্মালেড বাটারকাপ স্কিজ়ান্থাস
আবিরের রঙে ফুলের নির্যাস
জন্মদিনের পায়েস
বয়স বাড়ার আয়েস
প্রকাশিত হোক ভোরের আলোয়
যত যা যা আর্দ্র গোপন
শীতল শ্বাসনিঃশ্বাসে
অধ্যাত্ম বিশ্বাসে
পাহাড়সমান বৃদ্ধি আমার
নিজেকে করি পুনঃ রোপণ
পাহাড়ঢালে
অনন্তকালে-
স্তনে চুম্বনে মনে পড়ে থাকা প্রেম ও প্রাণ
শিমুলে পলাশে পেলবে শৈত্যের অবসান
কাম স্নেহ শবদেহ একসাথে এসে ছুঁলে
আমি বসন্তে ভুগি
কুঁড়িতে মুকুলে ফুলে-
প্রেমিকার মুখে নেমে আসা চুলের মতো
ঝুপ করে নামা সন্ধে
মেঘেদের গায়ে ফেলে আসা গোধূলির রঙ
কালো হয়ে যায়
সামনের পাহাড়ে তারা-তারা শহর
নীচের সমতলে বিমানের আলো-আলো ছোটাপথ
মাতাল হয়ে দেখি
আর এক এক করে সব মাতালকে
বাবা বলে ডাকি
চোখের তারায় কুয়াশা এসে বেঁধে
রাত বাড়ে
কাস্তে বা চাঁদ মাথায় কোপ মারে
সম্বিত ফিরলে সকাল
সবুজ পাহাড় দূরের দিকে নীল —
মায়ের মতো কাছ থেকে দেখা
মৃত্যুর মতো নীল
চির পাইনের ভিতর থেকে চেরা সূর্য
চোখ আঁধার করে
পর্বতের সাদা চূড়া থেকে
জটা ধরে নামিয়ে আনি শিব
ধ্যান ভাঙি পাহাড়ের
বিকেলের রোদ
পাহাড় ভেঙে সমতল হয়
মোহভগ্ন প্রেমিকের মুখে সংসারের দাগ
রডোডেনড্রনের বন ছেড়ে রঙ্গনে বাগান ভরাই
বন্ধুর হাঁটাপথ যানহীন
বন্ধুদের সংখ্যা কমে আসে
পথ ছেড়ে খাদ হয়ে উঠি
মানুষ হই না
যা নেই জানি তা নেই
আছি তাও আছি কই
ধীর গোঙানিতে হ্রাস পেতে থাকা শ্বাস
তবু ধড়াস শব্দে ধ্বংস হয় না আশ…
ত্রস্ত বসবাস
দিস্ ইজ় দ্য ওয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড এন্ডস্
দিস্ ইজ় দ্য ওয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড এন্ডস্
দিস্ ইজ় দ্য ওয়ে দ্য ওয়ার্ল্ড এন্ডস্
নট্ উইথ্ আ ব্যাং বাট আ উইম্পার-
প্রেমিকার স্তনের মতো নরম সকাল
শারদ রোদ্দুরে মসৃণ শরীরের ঢাল
ভারী বুকের বিভাজিকায় ঘন কাশের সারি —
এমন শরৎযোনিতে আমি জন্মাই বাঁচি মরি-
ঘুমের ভেতরে স্বপ্ন হাতড়াই
এমন একটা স্বপ্ন যাতে মা আছে
এত মূর্তি মাটির চতুর্দিকে —
দশহাত-আলো-উৎসব-বাজি —
সব ছেড়ে আমি আমার মাকে খুঁজি
সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী-দশমী
বিসর্জনের পর ক্লান্ত আমি ঘুমোতে যাই
ঘুমের ভেতরে স্বপ্ন হাতড়াই
এমন একটা স্বপ্ন যাতে মা আছে-
অক্ষত ক্ষত মনে রেখে পুষে বিপ্লবী হয়ে শরৎ
ছাতিমের প্রাণে বিদ্রোহী ঘ্রাণ সবুজের ইজ্জৎ
বসন্তের গায়ে অপ্রতিরোধে বিঁধেছিল যে কীলক
শিমুল পরাবে শরতের ভালে বিজয় রক্ততিলক-
মিছিল চলে যোনিপথ ধরে
স্লোগান মোমবাতি পোস্টার
মানুষে মুখোশে সব একাকার
সারিবদ্ধ হয়ে যোনির গহ্বরে
গন্তব্য গর্ভাশয়
মাতৃ-বেশ্যা-দেব-যোনি
একই দেখায় প্রসবব্যথায়
শিবলিঙ্গ পুরুষাঙ্গই প্রায়
পুরুষের কুল ধর্ষক শ্রেণী
সমাজের প্রশ্রয়
শেষ বিকেলের মরা সূর্য রেঙে হয় লাল থেকে রজঃ
সব শালাই সত্যচোদা — অশ্বত্থামা হতঃ ইতি গজ-
বিপ্লবীদের রক্তে ভেজা যে তেরঙা স্বদেশী
দেড়শ গ্রামের বীর্যে ভেজে কম বা একটু বেশি।
লিঙ্গ কেটে দন্ড বানাও পতাকা বাঁধো তাতে
স্বাধীনতা পালিত হোক … অভিসম্পাতে॥-
শ্যাওলা জমেছে পাহাড়ের গায়ে
চুঁইয়ে পড়ছে জল যখন তখন
স্যাঁতসেঁতে পাইনের কোন
নদী সেধেছে খুব ঝরণার পায়ে
বৃষ্টিতে ভাসার অভিপ্রায়ে—
পাহাড় রজঃস্বলা হলে বুঝি বর্ষা নেমেছে।-