তারার মাঝে হারিয়ে গেলে ফের খুঁজে নিও,
এবার ছেড়ে যাওয়ার আগে আগাম বার্তা দিও!
খুঁজতে-খোঁজাতে ক্লান্ত আমি, ভীষণ অসহায়;
মনের গহীনে পেনিসিলিন ঢালতে রাত্তির কেটে যায়!
দেখতে দেখতে বুকের সেলাই-এ পড়তে থাকে জং-
নীল রাত্রে বেরিয়ে আসে হাসির মেকি রঙ!
চাঁদের বুকে ব্যথা জড়িয়ে গল্প হিজিবিজি;
তোমার সাথে রাত বিতিয়ে কলঙ্কিনী সাজি!
-
জোনাকি যখন রাতের ঊরুতে মাথা গুঁজে দিয়ে-
দিনের নীল গোলাপি অবহেলা গুলোকে গলায় আঙ্গুল চালিয়ে উগরে ফেলে:
আমি তখন আড়ি পেতে ওর অভিযোগ গুলো শুনে নিই!
ভাবি... এতো দুঃখের পরেও-
রাতের কোলে মাথা গুঁজে ও কি খোঁজার চেষ্টা করে!
তারপর সপ্তর্ষিমন্ডলের একটা গোয়েন্দা পিছন থেকে আমার গলা টিপে ধরে-
"নির্লজ্জ! অন্যের ঘরে আড়ি পাতিস? নিজের নেই?"
__"ঘর, আমার? আমি তো সন্ধ্যা তারা!
আমার সে যে রাত্রি হলেই কলঙ্কের বুকে বাসি-কাহিনী পুঁতে,
ঘর ভস্ম করে অন্যের ঘরে বাতি জ্বালায়!"
-
একতারা আর গন্ধগোকুল, দালান ঘরে শেষ!
তোমার আমার গল্পগুলো আরশিনগরে মানায় বেশ!-
চাল-ভেজা আদর;
বুক ভরা কাঁদ-না:
ইচ্ছাগুলো বুঝে নিক,
বাড়ন্ত মানুষ বাড়ার না!
-
কালকের-ঠোঁট পারদ ছুঁয়েছে-
রাতের-আদরের অতর্কিতে!
জ্যোৎস্নার-চাঁদ-কলঙ্কিত:
রক্ত মেশায় জাহ্নবীতে।-
অনেক দিন হল,
নাভি জ্বালিয়ে বুড়ির মা পোড়াই নি!
উরুর হাড় পেরিয়ে স্বপ্ন দেখিনি...
ফার্নের রক্তে গরল মিশিয়ে পোড়া বুকে ঢালা বন্ধ করে দিয়েছি!
ছেড়ে দিয়েছি,,
রোজ রাতে কবিতার কোলে মাথা রাখা!
হ্যাঁ! আমিও সেই...
সেই চুন সুড়কির তৈরি রাক্ষস দেশের ঝরে পড়া আলিসা!
নিজেকে পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়: শ্বশ্মান-মশান থেকে,
ঝোড়ো হাওয়ায় উঠে আসা এক সিকতা-কঙ্কাল;
যার বুকজ্বালার আগুন অনেককাল আগে কোনো এক দেবমানব চুষে নিয়েছে:
তার গলার কারখানা আর কালো নাভি আজও সেই জ্বালায় পুড়ে মরছে.....-
_ ঠাম্মা! ও ঠাম্মা! মাথাটা একটু খুটকে দাও না!
_ এই তো দিদিভাই! দিচ্ছি তো! "রাজপুত্তুরের অনেক বড়ো রাজপ্রাসাদ... "
_ না! এটা না! তোমার বিয়ের গল্প শুনবো আজ!
_ ও মা! এ কেমন কথা! বিয়ের কথা মনেই নেই!
_ এই দ্যাখো মিথ্যে বলে! বলো বলো!
_ ধ্যাৎ! কথা শুনিস না! চললাম আমি!
_ঠাম্মা! ঠাম্মা! যেও না!
ঠাম্মাকে হাতড়াতে হাতড়াতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো চিনির! চারিদিক অন্ধকার! ওর মনে হলো ওই অন্ধকারের নাভিতেই কাল রাতে ঠাম্মা হারিয়ে গেছে!
বালিশটাকে আঁকড়ে ধরে..
_ আমি তোমার সব কথা শুনবো! কখনো গল্প শোনাতে বলব নানা... ফিরে এসো
-
আমার জীবনের কবিতার একটা অংশ তোমায় দেব!
নেবে? পিঠে-মাথায় হাত বুলেয়ে চুমু খেয়ে আপন করে নেবে?
রোজ রাতে: রসুন-তেল দিয়ে ওর বুক মালিশ করে দেবে?
পারবে ওর বুকের ব্যথা কমাতে?
জানি না পারবে কি পারবে না!
তবে অনেক-কটা পাণ্ডুলিপি দেখতে পাবে! মনে হয় তো প্রশ্ন জাগবে;
এগুলো কি এই শতাব্দীর? নাকি...
আগের জন্মের! ও বোধহয় ঘুমিয়ে ছিল... তাই বুঝতে পারেনি কে ওমন করে গিয়েছে!
মনে প্রশ্ন জাগবে: কোনো মানুষ কি এমন করতে পারে?
এমন কোমল গোলাপি বুকে রক্ত ঝরাতে পারে?
তোমার গলা বেয়ে উৎকণ্ঠার পারদ আকাশচুম্বী: তুমি জিজ্ঞাসা করার আগেই,
ও তোমার কোমর জড়িয়ে বুকে ঢলে পড়বে!
বলবে: "আজ আমায় আদর কর, আদর কর!
আমি তো তোমার আবদারেই খোদার হয়েছি!"
-
কখনও বিষাদের বুকে চুমু খেয়ে দেখছো?
একাকীত্বের সিক্ত ঠোঁটে ঠোঁট রেখে সমস্ত ক্ষত চুষে নিয়েছো?
জানি, ভীষণ স্তূপে ব্যস্ত তুমি!
তোমার সময় তোমার কাছে বড্ড বেশি দামি;
আমি তো সেই পুরানো রকম,
ঠিক যেমন, কার্নিশের উই পোকাটা আগের জন্মের,
দগদগে ঘা উসকে যাচ্ছে রাত নেই, দিন নেই-
আমিও যেন তেমন সময়ের ব্যারিকেড ভেঙে,
আনমনে তোমার আদরে গা পোড়াচ্ছি, ভাবছি তুমি আসবে এই!-