মেঘের বাড়ি তোমার নামে লিখে দিলাম নীল খামে।
চলো প্রিয় হাতটি ধরে মেঘের বাড়ি যাই,
ঝুম বৃষ্টি বইচে সেথায় ভিজবো দুজনায়।
তোমার কালো মেঘের মত এলো চুলের
আড়ালে হাসবে সূর্যের জ্যোতি।
অবাক চোখে তাকিয়ে রইবো, আমি সকাল সন্ধ্যা রাত্রি।
আম কুড়াবো,জাম কুড়াবো,কুড়াবো কদমফুল।
তোমায় ভালোবাসা আমার হবে না কোন ভুল!
-
মেঘমেদুরে কখনো দেখা হবে কিনা।
নিরন্তর অবসরে হাজার রঙ্গের মিষ্টি কণ্ঠ পাখিদের সাথে
বিষণ্নতার আবৃত চাদর সরিয়ে?
দৃষ্টি ঘিরে রেখেছে কাঁচের আয়না,
হৃদয়ের চারপাশে মেঘের চক্র দেয়াল।
মেঘের বুকে লুকিয়ে অসংখ্য তারা,
আমার বুকে তোমার দেয়া বিচ্ছেদের নীল বেদনা।
-
মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, বইচে শীতল হাওয়া।
তোমার স্পন্দন অনুভব করছি শীতল জলধারায় ,
দাঁড়িয়ে আছি তোমার অপেক্ষায়,
হাতটা ধরে চলবো, বৃষ্টির ফোটায় কাঁচের গাঁয়ে
প্রতিচ্ছবি আঁকবো।-
আদর করে বলেছিলে বৃষ্টি হলেই তোমার দেখা পাবো।
আকাশে মেঘ জমলেই আমি ছুটে চলি,তোমার শহরের অলিতে-গলিতে।
তুমিতো আকাশের সাদা মেঘের ভেলা, ভেসে থাকায় যার স্বভাব, ভেজাতে নয়।
আদরের ক্ষতের নিদারুণ জ্বালা অজান্তাই থেকে যেত।
যদি তোমার মোহে মোহান্তি না হতাম।
হাতের গোলাপের সুবাসে মোহরিত চারিদিক। পাপড়ি গুলো উড়িয়ে দিলাম বাতাসে, কুড়িয়ে নিও যদি খুঁজে পাও তোমার আঙ্গিনায়। বলে দিবে তোমায় হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছি কত!!-
খুঁজে ফিরে তোমায় এখনো আমার অতৃপ্ত আত্মা।
দুপুরে তোমার স্নান ঘাটে,গৌধুলি বেলায় বারান্দায় এখন তুমি ঝাপসা!
বহুদিন হয় না চলা অন্ধকারে তোমার হাতটা ধরে,
জোনাকির আলোতে চিরচেনা পথের বাঁকে।
শোনা হয় না আমার খোচা-খোচা দাড়ি কোকড়ানো চুলের ন্যায়,
হাজারো ভুল অভিযোগ আর অভিমানে গল্প।
আমি এখনো তোমার সুবাস খুঁজি,
তোমার দেয়া বিষাদের,
প্রানহীন নয়নতারা ফুল গুলোতে।
-
তুমি আকাশের নীল ভালোবাসো,
আর আমি তোমার টোল পড়া হাসি।
আজ আকাশটা বিষন্ন ভারি,
মেঘে হয়েছে কালো!
বিষন্নতায় মন ভরেছে তোমার,
আমার ক্যমনে লাগে ভালো?
আকাশ ছোয়ার ভিষণ ইচ্ছে,
হতাম যদি ঘুড়ি।
তোমার জন্য নিয়ে আসতাম,
এক চিলতে নীল রোদ্দুর হাসি।-
রাতের কষ্ট গুলো লিগারযুক্ত
এক কাপ রং চায়ের মতো,
চা যত শেষ হতে থাকে তার
স্বাদ যেমন ততো গাঁড় হতে থাকে!
ঠিক তেমনি রাত যত গভীর বা
শেষ হতে থাকে,তখন রাতের কষ্ট গুলো
ততো গাঁড় মেঘে রুপ নিতে থাকে।
এবং তা এক সময় আরও ঘনীভূত
হয়ে জলের ধারা হয়ে অগোচরে ঝরে পড়ে...
-
অভাব টাকে খুব অসহ্য বোধকরি ইদানীং। অভাব টা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে আমাকে।
করে তুলছে ব্যাকুল আমার অস্তিত্ব।
সেটা কোন অর্থের অভাব নয়!!
মনের সমুদ্রে অব্যক্ত কথার যে উথালপাতাল জোয়ার, তা ব্যক্ত করতে না পারার অভাব..!
চোঁখের কাছে জমে থাকা অপ্রকাশিত অশ্রুর কথা প্রকাশের অভাব..!
বৃষ্টির শীতলতা,রৌদ্রের উষ্ণতা,পূর্নিমার মাদকতা, ভোরের শুভ্রতা,গোধুলীর স্নিগ্ধতা, কবিতার ছন্দ। বিষাদ ভাগাভাগি করতে না পারার অভাব!!
কর্মব্যস্ত দিন শেষে শূন্য ঘরের কপাট খোলার মানুষের অভাব!!ঝড় জলের অন্ধকার রাতে ভয় পেয়ে কারো হাত ধরতে না পারার অভাব..!
জানিনা এত অভাব অনাটনের মাঝে আর কতদিন বেঁচে থাকবো??-
প্রিয়তমা তোমার চোখ দুটো এত জীবন্ত!
এত বিষণ্ণ, এত টলটলে গভীর মায়ায় জড়ানো।
আমার শুধু হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
-
শুনেছি কবি যখন নিরব থাকে কবিতা তখন কথা বলে!!
মনা আমি ও নিরব হবো,তখন আমার লেখা কবিতা গুলো থাকবে তোমায় ঘিরে।।
যার প্রতিটি পংক্তি তোমায় ভেবে লেখা!
এক একটা শব্দ প্রকাশ করবে,আমার লুকায়িত ভালবাসা।
একটু আনমনা হবে,তার থেকে বেশি হবে অবাক!!!
-