রসায়ন ছিল বড্ড প্রিয়
কৌতূহলোদ্দীপক ছিল বড়োই ঠিক জীবনের মতো
ব্যতিক্রমী চরিত্রের ভিড় লেগেই থাকতো
প্রতি মুহূর্তের বৈচিত্র্যময় জীবনের মতো।।

-

শেষে একটাই, দীর্ঘশ্বাস
পাহাড়-ভাঙা স্রোত,ছেড়ে এভাবেই-
সময়-ভিড়ে,স্বকীয়তায়
এগিয়ে যেতে হয়।

-

‌
প্রমাণ নেই,
কারণ আছে।
খুঁজে বেড়াই ছায়াপথে,
কবিতাপাগল যাযাবর যেমন।

এ এক মহাজাগতিক মেঘ-কবির বাড়ি
এ জানলায় মিষ্টি-প্রেমিক রোদ এসে বসেনা।
এখানে হলুদ পাতার ফাঁকে-
লাশের স্তূপ,মরীচিকা
ভালো থাকা,জগদ্দল পাথর।

-

সারাদিনের আসরের ঘাম মুছে,
এ শহরের ঠিকানা গ্রিনরুম।

তারই মাঝে,
কিছুটা সন্ধ্যা-বিকেল পালিয়ে
আমি হেঁটে যাই,
"গোধূলি"আতরের ছন্দে,
বোবা স্পন্দন বুকে জড়িয়ে,
ভালোরাখতে।

ঝড় বয়ে যায়
এ অসুখের একমাত্র ওষুধ
সাদাটে অলিন্দ-সুর,
আর একমুঠো কৃষ্ণচূড়া
এনে দেবে?

-

জোনাকি-ভেজা আসমানী তারা,
শেষের কবিতা'য় গুলমোহর।

-

অতন্দ্র ডাকঘর,স্বাধীনতা আলো
বয়সের প্রহর,সময় সমার্থক
জন্মমৃত্যুহীন অন্ধকার,দুর্বার স্রোতের-
অনুঘটক।

-

এ এক অন্তহীন শব্দ-সুরের গান
এ গানে ফাগুন আসে,কলি আসে-
ফোটে,ঝরে,ফোটে....
শুধু শ্রাবণ আসেনা
ওর ঠাঁয় নেই,শোক নেই।

একলা-আবেগে বাঁচতে থাকে-
গোটা কয়েক আষাঢ়ে কল্পানুধ্যায়,
আর আগামী শতাব্দীর প্রেমিকা-প্রহর।

-

- ওসব ছাড়ুন্।লাভের গুড় কিন্তু বেশ টেস্টি মশাই!
-আমি আবার ভীষণ গরিব মশাই!নিমটাকেই গিলি রোজ।

-

অন্ধকারে অন্ধমানুষ
হাওয়ার ফাঁদে কিনছে সুখ
সস্তা আকাশ,একশো ভুল।
সময়ের মাসুল-
অসুখ সেদিন,
পোড়া সোলতের মৃতশোক।

-

এই গাঢ় নীল আকাশের অন্ধকার
বৃষ্টিনূপুর,উটকো বাদল
অসময়েই ছুঁয়ে দেয় ভারি
জানলায় চোখ পড়তেই দেখি,
এ'পানে কয়েকটা গোটা পলকে চেয়ে-
সে এক সৃষ্টিছাড়া কবিতা-প্রেমিক
হেসে ওঠে শ্রাবণ।

থিয়েটারে যেদিন শেষবার দেখা হবে,
একলা পথে আকাশ রেখে দিও
সেই আমার শিঁকড়-ভোলা গান,
এক-অন্ত নীরবতায়।

-