ওরা ভেবেছিল মনে,
একসাথে পথ চলার শুরুটা পাহাড়েই হবে বেশ।
নিয়তি হেসেছিল গোপনে,
পাহাড়েই হলো সব শেষ!-
অঞ্জলী (পূজা চক্রবর্তী)
রাগ করোনা মাগো আমার, দোষ নিওনা যেন!
বলোনা মা তোমার পুজোয় এমন হলো কেন?
নীল আকাশের পাইনি হদিশ চেয়ে থেকেছি রোজ,
কালো মেঘের ভ্রুকুটিতে শরৎ যে নিখোঁজ।
তোমার পুজোর ঘট পেতেছি, ঢাকে পড়েছে কাঠি,
আলো ঝলমল শহর আমার সাজছে পরিপাটি।
হঠাৎ দেখি একটি ঘরে জ্বলছে না তো আলো,
ওই ঘরের যে মা দুর্গা, তার মুখটি যে মা কালো।
তার সোনার প্রতিমা লক্ষ্মী মেয়েটি অকালে গিয়েছে মারা,
তার কারণেই মর্তবাসী দুঃখে পাগলপারা।
সেই কালরাত্রিতে অভয়া মেয়েটি একাই গিয়েছে লড়ে
ধর্ষকাসুর প্রাণ নিল তার, সে পারেনি গায়ের জোড়ে!
শুনেছি তো মা মহিষাসুর চালিয়েছিল ত্রাস,
দেবতারা যবে দেখেছিল মা ভীষণ সর্বনাশ।
করজোড়ে তাই করেছিল তারা তোমার বন্দনা,
বধ করে মাগো অসুরে, তাদের করেছিলে করুণা।
আজও চেয়ে দেখ রাজপথ জুড়ে দেবতারা আছে বসে,
কাতর আকুতি দেখেও কেনো মা জেগে উঠছনা রোষে?
তোমার পুজো দেবে বলে কত দিন ধরে উপোস করেছে ওরা!
পাবেনা কি মা তোমার আশীষ মর্তের দেবতারা ?
আজ অষ্টমীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ওদেরই চাইবো দিতে,
বসে আছে যারা সেই অভয়ার সুবিচার চেয়ে নিতে।
যারা দিয়ে যেতে চায় আমাদের এক নিরাপদ আস্তানা,
এই উৎসবে তারাই দেবতা এইটুকু আছে জানা।
-
~•ঘুম ভাঙ্গানোর গান (পূজা চক্রবর্তী )•~
আমার দিদি তিলোত্তমা !
পারলে আমায় করো ক্ষমা।
তোমার যখন ভাঙলো হাড় ,
কেন, ভাঙলো না যে ঘুম আমার ?
কত মুমূর্ষদের করে সেবা,
ফল পাবে এই জানত কে'বা!
প্রাণ বাঁচানোর মন্দিরেতে,
বলি হলে গভীর রাতে।
কেঁদে ছিলে রক্তধারায় ,
ফুটলো যে হুল শিরায়-শিরায়।
অসুরেরা তীক্ষ্ণ দাঁতে,
কামড় বসায় পায়ে,হাতে।
গোটা কয়েক হিংস্র শেয়াল,
রাঙিয়ে দিল রক্তে দেয়াল।
তিলোত্তমা কলকাতা আজ,
তিলোত্তমার রাখলোনা লাজ !
ওরে তোরা আওয়াজ তোল,
ফের শূন্য হলো মায়ের কোল।
মোমবাতিতে হবেনা আর,
লঙ্কাকান্ড চাই এবার !
বলছে দাদা, বলছে ভাই।
আমার বোনের বিচার চাই।
সবার মুখে একই স্বর,
জাস্টিস ফর আর জি কর।
-
A full stop
If I could , I would like to stop the injustice that happened to my elder sister in Kolkata R G Kar hospital forever. So that no other mother or sister would be treated like this .
#We want Justice ✊-
কয়েকটা কালো হাত,
কিছু নৃশংস আঘাত,
চাপ চাপ রক্ত,
আর ক্ষত !
আচ্ছা,দোষটা ছিল কার ?
এত সাহস দিলো কে?
ওই অলক্ষণে মেয়ে,
যে এত রাতে বাইরে ছিল তার।
-
••বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ (পূজা চক্রবর্তী)••
গোটা বিশ্বে পরিচিত সে মহান বিশ্বকবি -
ভারতমায়ের গর্ব তিনি জোড়াসাঁকোর রবি।
স্কুলে যেতে চাইতোনা সেই ছোট্টবেলার ছেলে ,
গান, কবিতা লিখতে বসত অঙ্ক করা ফেলে।
এমনই কত গদ্যে পদ্যে কাব্যে রয়েছে গাঁথা ,
কবিগুরুর সৃষ্টি করা মহান অমরকথা।
গোটা বিশ্ব চমকে গেছে তাঁহার লেখা পড়ে ,
সবাই তাকে শ্রদ্ধা জানায় প্রণাম নমস্কারে।
আমাদেরকে গীতাঞ্জলি করেছিলেন দান।
তার বদলে শ্রদ্ধারূপে নোবেল প্রাইজ পান।
জালিয়ানের ঘটনাকে জানাতে ধিক্কার !
ইংরেজদের নাইট উপাধি করেন অস্বীকার।
দুই বাংলার ঘরের ছেলে, দুই বাংলার প্রাণ,
রাখীর ডোরে এক করেছেন হিন্দু মুসলমান।
ভুলিনি তোমার চোখের বালি, ডাকঘর, ছেলেবেলা,
পোস্টমাস্টার,নৌকাডুবি,ছুটি,কাবুলিওয়ালা।
সুখ দুঃখ, প্রেম বিরহ, আনন্দময় স্মৃতি,
লেখনীর গুনে ফুটিয়ে তুলেছো সকল অনুভুতি।
আজ কালের নিয়মে চলে গেছো বুঝি দূরের কোনো দেশে।
তবে যুগ যুগ ধরে স্মরণ করিব তোমায় ভালোবেসে।
বাঙালি মানেই লেখার চেষ্টা বাঙালি শখের কবি,
বাংলা লেখায় চিরকাল ধরে নিশ্বাস নেবে রবি।
-
One day I will fly with the wings of my dreams and the rays of my success will shine all around
-
আমার স্বপ্নগুলো ডানা মেলতে চায়-
তারা বেড়াতে চায় উড়ে পরম সুখে,
আমার ভাবনারা ঠিকানা খোঁজে,
তারা ঘর বাঁধবে ওই আকাশের বুকে।।
মাঝে মাঝে বেদনায় জমাট কুয়াশা,
চাদর চড়ায় মনের অভিলাষে,
ফের আশার আলোয় রঙ্গীন খামে মুড়ে!
আমি স্বপ্ন পাঠাই আকাশের কার্নিশে।।-
মনকে আঘাত দেয় যাই,
আমরা তাকেই মনে দিই ঠাঁই।
হে ঈশ্বর, আমায় ভুলিয়ে দাও জগৎ সংসার,
আমি তোমার প্রেমে মীরা হতে চাই।
-