লেখাটি ক্যাপশনে
(পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো)-
যাক উড়ে নালিশের পাতাগুলো,
যা, লিখে গেছি তুমি আমি রোজ দিন।
আজ বন্ধুত্বের চিঠিগুলো সাজাই চলো,
তাতে গেঁথে দিই ভালোবাসার আলপিন।
-
মুখোমুখি সাক্ষাৎ ( পূজা চক্রবর্তী )
আমি অফিস থেকে ফিরলে,
খোকা তারা দেখার বায়না ধরতো খুব।
সারাদিনের ক্লান্তি আমার দেহে,
দু চোখ চাইতো ঘুমের অতল সমুদ্রে দিতে ডুব।
তবুও কখনো খোলা মাঠে তো কখনো নদীর ধারে,
আমার পিঠে চড়িয়ে ওকে নিয়ে যেতাম সুখে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে ওর দুচোখ যখন জ্বলজ্বল করতো !
আমি তাকিয়ে থাকতাম ওর ওই মায়াভরা নিষ্পাপ মুখে।
আমার সাথেই ছিল ওর যত মনের কথা,
কীভাবে দশটা বছর কাটিয়ে দিলো আমায় ছাড়া?
নিশ্চয়ই ভালোই আছে দূরের ওই দেশে,
এখন হয়তো রাতের আকাশে আর খোঁজে না তারা।
আমি এখনো ওর আশাতেই আছি।
বাঁচতে চাই দশটা বছর আরো কোনো ক্রমে।
মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে আমার সাথে ওর,
সাক্ষী থাকবে রাতের আকাশে তারারা,
'এই বৃদ্ধাশ্রমে '
-
~• আগামীর আলো •~
আগামীর পথ হোক যতই অন্ধকার,
আমি হব অগ্রগামী, নেব সব ভার।
ডরাই না ভ্রুকুটিতে বিপদের আর,
পেরিয়ে যাবই সব বাধার পাহাড়।
আনবো আবার আলো পৃথিবীর বুকে,
নেইতো সাহস কারো, আজ আমাকে রুখে!
ভবিষ্যতের বীজ করব সৃজন,
আনবো নতুন যুগ, আমার যে পণ!
-
শান্তি তো সেখানেই (পূজা চক্রবর্তী)
••• ••• •••
শান্তি তো সেখানেই,
যেখানে রোদে মাখামাখি পাহাড়ের কাছে,
বাঁধা পড়ে আছে মন।
ঘন কুয়াশার আবছায়ে দেয় উঁকি,
রডোডেনড্রন।
অচেনা পাহাড়ি পথেই,
দুই পা ক্লান্ত হতে চায়।
নিশ্চুপ অনেকটা সময় যাক কেটে,
কোনো মনেস্ট্রির প্রার্থনায়।
নাম না জানা, সে এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম।
শান্তি তো তারই আরেক নাম।
-
স্বপ্ন (পূজা চক্রবর্তী)
•••
যদি,
আকাশটা হতো সবুজ,আর গাছেরা হতো নীল,
লালচে ঘাসের মাঠের পাশে বইতো সোনালী ঝিল।
মেঘে মেঘে ফুল ফুটতো, মাটি থেকে হতো বৃষ্টি,
আমার বে আক্কেলে ভাবনা যত, এযে আজব অনাসৃষ্টি।
তবুও,
যদি,সত্যিটা হতো স্বপ্ন আর স্বপ্নটা হতো সত্যি,
বড়ো হয়ে হতে পারতাম আবারো একরত্তি!
পাখিরা সব পড়তে যেতো, আমরা পেতাম ডানা,
ঘুড়ি হয়ে উড়ছি শুধুই, করছেনা কেউ মানা।
সত্যি বলো, মন্দ হতো কি?
যদি,থাকতো না কোনো বিদ্বেষ,শুধু ভালোই যেতো বাসা,
কান্না হতো বিলাসিতা, সস্তা হতো হাসা,
বাবা মায়ের পাকছেনা চুল, উপার্জনটা সোজা,
সহজ খুবই তোমার আমার মনের কথা বোঝা।
সম্পর্কের সরল অংকে শুধুই থাকবে যোগ,
মহামারি লাগবে সুখের, বড়ই ছোঁয়াচে রোগ।
জীবন যুদ্ধে সবাই জয়ী, সময় গিয়েছে হেরে,
পাগল আমি, পাগল এ মন স্বপ্ন দেখেই মরে।
_কলমে পূজা
-
I love my family
I love my work
I follow my heart
And love myself most-
~• জামাই ষষ্ঠী (পূজা চক্রবর্তী ) •~
ছিলো না ছুটি অফিসে,তাও কাজ করেছে কামাই,
ষষ্ঠী খেতে শ্বশুরবাড়ি আজকে যাবেন জামাই।
ডান হাতে তার ঝুলছে কাতল, বামে রসের হাঁড়ি,
কর্তা গিন্নি ম্যাচিং ম্যাচিং পাঞ্জাবী আর শাড়ি।
আসবে জামাই, আসবে মেয়ে বাড়িতে খুব ধুম,
দুদিন হলো শ্বাউরি মায়ের উড়েছে তাই ঘুম।
শঙ্খ ধ্বনি উঠলো বেজে, উলুধ্বনির সুরে,
জামাই ষষ্ঠী এলো আবার একটা বছর পরে।
এসো বাবা, আয়রে মা,কেমন আছিস বল?
বস তো দেখি,মাথায় তোদের ছেটাই ষাটের জল।
ধান-দূর্বা, প্রদীপ শিখা, তাল পাখাটার হওয়া,
আশীর্বাদের পরে এবার দ্বিপ্রহরের খাওয়া।
মুগের ডালে মাছের মাথা, ঝুড়ো আলু ভাজা,
জামাই তো নন আজকে তিনি স্বয়ং মহারাজা।
কোর্মা,কালিয়া,মাটন কষা,চাটনি,পাঁপড়,মিষ্টি।
শ্বাশুড়ি মায়ের আয়োজনের বিরাট বড় লিস্টি।
গল্প,আড্ডা,উপহারে সবার মুখে হাসি,
শ্বশুর বাড়ির আদর যত্নে জামাই বেজায় খুশি
তাই সকল জামাই এই দিনেতে আসেন শ্বশুর বাড়ি,
না এলে যে শ্বাশুড়িমা দুঃখ পাবেন ভারি।
এমন মধুর সুতোয় জড়িয়ে থাকুক সব্বার জীবন,
বেঁচে থাকুক বাংলার এই সুন্দর পার্বণ।-
ওরা ভেবেছিল মনে,
একসাথে পথ চলার শুরুটা পাহাড়েই হবে বেশ।
নিয়তি হেসেছিল গোপনে,
পাহাড়েই হলো সব শেষ!-