তুমি চাঁদের কাছে
আমার ঠিকানা,
জানতে চেয়েছো কি
একটিবার !
ঘুরপথ ধরে সেই,
এই মায়াবী শহরে
আমি হেঁটে বেড়াই...
জানিনা কিসের টানে
হারাই নিজেকে আবার,
জানিনা যে কেন এত
বেশি আবেগ আমার ....
তাই জন্য হয়তো
সব হারায় আমার,
এই দিগন্তের-ই পার ।।।
০৯ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩২, 4.33 a.m.-
গভীর আলোড়নে, রুদ্ধ এ অবকাশ,
বলো, কিভাবে খুঁজে পাই, তোমার প্রকাশ !
দেখো ছিদ্র পথের আলিঙ্গনে,
গা ভাসিয়ে, ভাবছে সে আনমনে !
কিছু গল্পের ছোটাছুটি,
মাঝ রাস্তায় হয়তোবা একটু থামি ....
এখন আর খেয়াল-গুলো,
চারিদিকে রঙ ছড়ায়-না,
নিত্যনতুন ভাষা খোঁজেনা !
তাকে এখন ছুঁয়ে নেয়, শুধু অন্ধকার
তাই তো ভাবছে সে আবার
কিভাবে গোছাবে, অন্ধকার, অন্ধকার......!
৯ই আষাঢ়, ১৪৩১, 12.19 a.m.-
দেখো আলোর সাম্রাজ্যে তোমার বাস
এভাবেই ছায়াপথ ধরে জোনাকিরা উড়ে যাক,
গোধূলি বেলায় তারা যেন
নিঃশ্বাসে ফেলছে উত্তাপ ।
অবয়বের ঘরে,
তোমার ভিতর ও বাহিরে,
যেন ঘুম আসেনা....
এই সবুজের মাঝে
তোমায় এখনো খুঁজি রোজ,
তাই ভুলেছি অনুদগ্ধ সব, এবং
ভয়ের ঘোরে হিংস্রতার কলরব ।
০১ই জৈষ্ঠ্য, 10.01 a.m.-
Look at the cloudy sky,
Thick white-blue fog.
Look at the quadrupeds;
This life is bound.
Everything is there all around;
Each has its own story.
Don't know the words,
Pain in fatigue.
No direction, though,
Let the close person be next to you,
Living with the assurance that
Your invisible memory will accumulate.
20th March, 11:58 pm, 2024-
দেখো মেঘলা আকাশে
ঘন নীল কুয়াশা,
দেখো চতুস্পদের ঘেরাটোপে
আবদ্ধ এই জীবনটা ।
চারিপাশে বিস্তারিত
গল্প রয়েছে একেক-টা,
না জানা কথাগুলো
অবসাদে দিচ্ছে যন্ত্রনা ।
নেই কোন দিক, তবু
পাশে থাকুকনা কাছের মানুষটা,
এই আশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা যে,
জমে থাকবে তোমার সেই অদৃশ্য স্মৃতিটা ।
১৪ই মাঘ, ১৪৩০, 8:29 p.m.-
যখনই তোমার পায়ের পরশ পাই,
এই শহরে ....
তখনই তোমার থেকে আমি যেন
আবার দূরে সরে যাই ।
ঘরের আঁধার মুছলেনা,
গল্প জুড়িয়ে বললেনা,
আলোর মাঝে অবয়বের অভয় ।
ভয়ের আলিঙ্গনে তোমার পরশ
মুহুর্তেও যেন ফুরোয় না,
এই গতিপথের আলোড়ন ।
সময়ের আলোচিত ধারাভাষ্যকার,
নিয়মমাফিক ব্যাস্ততায়
সময় রয়না আর কখনও .....
০৮ই মাঘ, ১৪৩০, 9.27 p.m.-
দেখো শহরে কি খোঁজা যায় !
তোমার মতো
আর কি, কাউকে পাওয়া যায় !
পিছুটান নিয়ে, কতবার ভাবি
তোমার স্মৃতির মাঝে
যেন করি হাঁটাহাঁটি ।
এইভাবে স্মৃতির আদরগুলো,
যেন হারায়
সময়েদের ভীড়ে ।
না জানি কি হবে !
না জানি কোথায় !
চলছে সময় এগিয়ে চলার গান ....
চলছে সময় পিছিয়ে ফেলার গান ....
দোটানায় কেন তুমি-আমি,
চলো না যাই একটু
দূরত্বটা নিই ঘুচিয়ে ।
০৪ঠা পৌষ, ১৪৩০, 11:36 a.m.-
আলোয় আলোয় বাঁধছে ঘর,
কেমনে যানি
কুসুমে তারা, ফোঁটায় তাঁরা !
গোপন কথাগুলো,
সাজায় নুতন করে
আবার, তোমার ভীড়ে ভাসবে বলে ....
মায়ার মহীশনে
দেখিল ছায়ার পরত,
ভাবিল, তোমায় নিয়ে
ভিজবে শেষ প্রহরে ।
আঁধার ভেঙে
এল আপন দ্বারে,
তোমায় মেলাবে কেমনে
গহীন সমীরণে !
০৩ই পৌষ, ১৪৩০, 10:36 p.m.-
দেখো অন্ধকারে তোমায় ছাড়া
গভীর আলোড়নে হচ্ছি দিশেহারা
গল্প বাঁধছে আবার নতুন করে তারা ।
হলদে সবুজ রঙের বাহার
জমিয়ে রাখছে তাদের ভেতর
আলতো হাতের ছোঁয়ায়
চিনছে গভীর আলোড়ন ।
থাকছে চিরদিন ঐ আড়ালে
দিকের পরে ভাবলেই
সে পাশে এসে দাঁড়াবে,
একফালি কাশফুল হয়ে
আমায় চিনে নেবে ।
১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০, 11.37 a.m.-
যেখানে ঝড় আছে
ঐ দোলায় তোমার ,
লাল-নীল ফিতে-রা
নির্দ্ধিধায় ভাসে ।
ঘুমের মধ্যে
তোমার হাতছানি,
দিচ্ছে পাড়ি
ধরছে আনকোরা আসমানি ।
দেখো রঙের বাহার
ছুটছে জোরে,
গন্ডি পেরিয়ে
থাকছে বাহিরে ।
ঐ যে ফিরে দেখো,
দূরত্বের
মায়াবী খেলায়,
রঙীন ছাদে
জমছে..... শ্যাওলা-দের মেলা ।
০৮ই ভাদ্র, ১৪৩০, 6.44 p.m.-