Priyanka
-
হঠাৎ করেই হাতের কাছে
কিলবিল করছে একগাদা ফাঁকা সময়
এই ক'দিন আগেও তো সময়ই ছিল না
এখন 'এত' সময় নিয়ে কী যে করি...
লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠা চিৎকার
অবদমিত তার স্বর ; আর্ত অথচ ঝাঁঝালো।
বিকেলবেলার আলো মাঝে মাঝে সকলবেলার
গোলাপি আভাকে ম্লান করে,
এমন এমন এক-একটা দিনে
হাঁট বসে, বেঁচা-কেনা হয়
কোকিল ডাকে, খালি
চাঁদ ওঠে না...-
দেবতার কাছে,
করজোরে ; নতমস্তকে দাঁড়িয়ে
তিনিও নিশ্চুপ, বেশি কাছাকাছি এলে
কথা বলা যায় না।
জমে থাকা পাপ আর যাই হোক এক স্নানে ধোয় না...
নিশ্চিদ্র প্রান্তরে ষষ্টাঙ্গে অর্ঘ্যদান।
এমন দুর্দিনে তারও চোখ খানিক চিক চিক করে ওঠে,
ধূলো-ধূসরিত মাঠ পাক খেতে খেতে শুষে নেয় আস্ত একটা শরীর।
কে বলেছে, ঈশ্বর'কে স্পর্শ করা যায় না?
সময় হলে, তিনি নিজেই ধরা দেন
রক্ত-মাংস-শিরা-ধমনীর একদম মাঝখানে
অপরাজিতার তৃতীয় নয়ন হয়ে...-
এই চলে যাওয়াটাই মেনে নিতে বড্ড কষ্ট হয়, যতবার মায়ের মুখের দিকে তাকালাম মনে হল, মায়ের চোখের কোনটা যেন একটু চিকচিক করে উঠলো,প্রত্যেক বাঙালির সত্তার সাথে মিলেমিশে একটা পুজো, যতবার ওই মুখের তাকিয়েছি ততবারই মনে হয়েছে এক পৃথিবী দুঃখ ভুলে ওই দুটো চোখে ডুবে যেতে পারি, প্রতি বছর এমন মনখারাপ গুলো একটু একটু করে জমাই... আসলে রাস্তা খুঁজি উত্তরণের, যদি এই রাস্তা ধরে আর ওমন দু-খানি চোখের দৃষ্টি অনুসরণ করে দিগন্তরেখা ছুঁয়ে আসতে পারি, তাই একটু একটু মনখারাপ আঁকি... কখনও চোখের জল দিয়ে, কখনও একটু ধূপের ধোঁয়া তো কখনও ঢাকের আওয়াজ... ঠিক এইভাবেই চলতে চলতে মা পাড়ি দেন কৈলাশ আর আমরা মর্তেই রয়ে যাই, তাঁর চলে যাওয়ার চিহ্ন ছুঁয়ে ছুঁয়ে...**আবার এসো মা** বিষাদী সানাই আবারও রইলো তোমার অপেক্ষায়, স্বপ্ন বুনুক সময় তোমার ফেরার পথ চেয়ে, প্রতিক্ষা বসুক অপেক্ষার পাশাপাশি **আনন্দের চিরন্তন সমার্থক হয়ে**...
-
সময়ের কাছে,
যেটুকু প্রশ্রয়
আকাশছোঁয়া আর না ছুঁয়ে পারার অবয়বে
"আমার জীবন"-