মায়ের মুখের মিষ্টি হাসি...
আমার বেঁচে থাকার ধ্রুবক।
মা কথাটি ছোট্ট হলেও -
সবার প্রিয় ভাই,
"মায়ের মতো আর যে কেহ
পৃথিবীতে নাই "!
মা'কে যদি চিনতে না পারি,
চিনবো মোরা কাকে?
মা যে মোদের সবার প্রিয় ❤
চিনেছিস কী ভাই তাকে!
মা যে থাকে সুখে দুঃখে -
আর কেহ যে নয়,
তাঁর আর্শীবাদে বিপদ
দূরে সরে রয়।।
-
আমি এখন যা পাই স্বাধীনতার তরে
এর জন্য শত শত প্রাণ গিয়েছে ঝরে।
গেয়েছিলেন তারা সাম্যের গান
তাঁরা কি পান স্বাধীন ভারতের অমূল্য সম্মান?
কিন্তু তাঁরা কি চেয়েছিলেন এই স্বাধীনতা
যারা এনেছে সংকীর্ণ জাতিভেদ আর অস্পৃশ্যতা।
আমরা চাইনা এই নির্মম সংকীর্ণতা;
আমরা চাই পূর্ণ স্বাধীনতা।।
দাঙ্গা বিদ্রোহকে জয় করব এটাই আশ্বাস
আমরা দেব নবজাতকের সঠিক বসবাস।
আমরা এই দেশের বীর সন্তান
তা আমার কর্ম দিয়ে করব প্রমাণ।।-
রাতের অন্ধকার পেরিয়ে মেঘের ফাঁকে সূর্য দেয় উঁকি,
রাখির আগমনে রাতে ঘুম হয় না, সমস্ত কাজ একাই করার ঝুঁকি।
রাখীবন্ধন মানে শুধু নয় তো.. রামধনুর সাতরঙের সমাহার,
এই বন্ধন হলো সবসময় সুখে-দুখে থাকার অঙ্গীকার।
কিছুটা দুষ্টুমি, কিছু আবদার জমে থাকা সব অভিমান ;
এই দিনটিতে সব ভুলে যায় ,দৃঢ় হয় ভালোবাসায় ভরা প্রান।
রাখীর বন্ধন মানে হলো -"কুছ মিঠা হো যায় "
রাখীর বন্ধন মানে -আমার মতো তোকে এতো কে ভালোবাসবে ভাই?
রাখীর এই উৎসবে আবদ্ধ আজ ভাই এর হাত,
প্রার্থনা করি তোর জীবন দীর্ঘায়ু হোক, সর্বদা হাসি মুখে থাক।-
মরচে পড়া এই মনের শহরে বৃষ্টির শব্দ কানে আসে না।
কখন আসে, কখন যে যায় তা আর এখন মনে থাকে না।-
তোমার গল্পের শেষ অধ্যায় হবো
জ্যোৎস্না রাতে রাখবো হাতে হাত
শুরুতে নাই বা রইলাম
উপসংহারে কাটুক আমার বিনিদ্র রাত।-
ঝর্ ঝর্ জল ঝরিয়ে, মেঘেরা সব হচ্ছে সাদা ;
কচুর পাতায়, ব্যাঙের ছাতায় পড়ছে বৃষ্টি -
রাস্তা ঘাটে জমছে কাদা।
মেঘলা দিনের ঠান্ডা হাওয়ায় রিমঝিম এই বৃষ্টির বেলা....
মনে পড়ে শৈশবের সেই দিনগুলির, নৌকো বানিয়ে আমার খেলা।-
যতই দুরে থাকিস তুই, তবুও রইবি আমারি মনের কাছাকাছি,
হয়ত তপ্ত কোনো রোদের দুপুরের আলোয় বুঝে নেবো আমার পাশেই আছিস।
কোনো বর্ষামুখর দিনে, না হয় কোনো মিষ্টি সকাল সাঁঝে —
মনের পাতায় চোখ বুলিয়ে নেবো, থাকবি তুই আমার মনের মাঝে।
পড়বে মনে এই যে তুই ছিলিস, আমার যত কান্না হাসির খেলা,
ভরিয়ে আমার ছোট্ট জীবনখানি –দিয়ে গেছিস কত মধুর বেলা।
এই জীবনে এই যে রঙিন দিন, আসবে না আর ফিরে.....
তুই থাকিস না আর এইখানে, রয়েছিস শুধু স্মৃতির পাতায় জুড়ে।-
জীবনের শেষ উজানে
একাকি দাঁড়টানা নদীর মোহনায় —
ছিন্ন ভিন্ন বিকেলের আদুরে রোদ্দুরে
অপূর্ণ ইচ্ছাগুলি বার্ধক্যের অবসন্ন তটে।
সমাজের চৌহদ্দি পেরিয়ে, চাঁদের বিছানায় শুধু প্রতিক্ষা ;
কবরের উদ্ধত ফুল, পাগল হাওয়ায় পাঁজরে কাঁপন
মৃত্যু যেন অযথা রক্তক্ষরণ।
জীবনের দোপাটি শ্মশান বেলায় সবকিছু ছেড়ে যেতে হয়...
নাই নাইকো সময় , একটি বার না হয় ফিরে তাকিও,
জীবনের গোপন বেলায় ছেঁড়া স্মৃতি নিয়ে না হয় চলে যাবো প্রিয়।
-
ভালোবাসায় লেখা কালিগুলো হতে চেয়েছিল রঙিন ...
চেয়েছিলো ওই রামধনুর সাতরঙা রঙ ;
না পারেনি, হয়ত সম্ভব ছিলো না !
কেই বা জানতো প্রিয় আমার এই কাজল কালো চোখে -
তোমার অবহেলায় এমন বৃষ্টি নেমে আসবে,
ধুয়ে মুছে যাবে সাজানো সব আলাপন।
সাজানো সব স্বপ্নেরা তবুও তোমার আশার প্রতীক্ষায়,
তবু পাড়ি দেয় এ মন তোমার হৃদয়প্রাঙ্গণে , নিয়ে আকাশ কুসুম আশা
ইচ্ছেরা আজ অকারনে হলো বানভাসা।
তবুও তুমি নির্বাক, নিষ্পলক ;
শুধু ঠোঁটের কোনে সেই মিষ্টি হাসি
যেন যুগ যুগান্তর ধরে সেই অমীমাংসিত রহস্য।
মনে পড়ে, পাশাপাশি হাত ধরে আনমনে পথ চলা....
কিছু না বলেও যেন বহু কিছু বলা।
-
অতীতের যত অভিমান চোখের কাজলরেখার অশ্রুতে সিক্ত করে ...
চিঠি লিখতে বসেছি আজ তোমায় প্রিয়।
অন্তরমন্দির প্রাঙ্গণে ক্ষোভের বাঁধন খুলে, পত্রখানি পাওয়ার পর ;
হৃদয়স্পর্শে রেখে ভালোবাসার বর্ণরশ্মিটা তুমি না হয় একটু বুঝে নিও।-