মুষলধারায় বৃষ্টি সঙ্গে বাড়ি ফেরার তাড়া।
তারই মধ্যে একলা ছাতায় অপেক্ষমান যারা—
তাদের চোখেই ঘর বাঁধে অন্ধের সন্ধ্যাতারা।-
লোকে বলে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়,
অতীত আগলে বেঁচে থাকা খারাপ।
আমি অতীতের আতর মাখি সুখেই
স্তব্ধতায় কি স্রোত খুঁজে নেওয়া পাপ?-
ঝড়-জলের রাতে যখন—
নিজের অস্তিত্ব ‘বিপদগ্রস্ত বাবুইয়ের বাসা’।
তখন সবটা সহজ করে নিতেই
স্বপ্নের ভিতর কবিতার আকস্মিক আসা।-
বসন্তের দাগ ভরা মুখে
সিঁদুর মেখে তুমি এলে,
সমস্ত লজ্জা ঝেড়ে ফেলে।
চির অন্ধকারের অন্তরালে হঠাৎ
ঐশ্বরিক প্রেম কোথায় পেলে?-
ভালোবাসায় বিশ্বাস রাখলে
অভিমান বেশিদিন রাখতে নেই।
শেষ দেখায় হাত ধরতে না পারলে
ঘরে ফিরে অন্তত কাঁদতে নেই।-
শরীরের ভিতর কোথায় ক্ষত?
আজও ঠাওর করতে পারি নে।
বৃষ্টি এলে উদাসীন কেন?
আজও উত্তর খুঁজে পাই নে।-
সন্ধ্যা হতেই ঝড়-বৃষ্টিতে—
রঙ ধুয়ে যায় রাস্তায়।
অনেক দোল দামি ছিল,
এখন বিক্রি হয় সস্তায়।
কথা কমেছে যত দূরত্ব বেড়েছে,
কল্পনা তোমায় কাছে এনে দিয়েছে।-
গঙ্গার পারে রাখা বেরঙিন অবয়বে ঈশ্বরের বাস,
রং চোটলে প্রয়োজন ফুরোয় ঈশ্বরেরও।
এখন—
ঈশ্বরের একাকীত্বের সঙ্গী একা বুড়ো বটগাছ।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর,
একাকী ঈশ্বর ও বুড়ো বটগাছ ভাবছে সমুদ্দুর।-
সে বলেছিল- পৃথিবী গোলাকার।
আবার আমাদের দেখা হবেই।
আমি বলেছিলাম- পৃথিবী দেখা সম্ভব।
আমাদের দেখা হলে তবেই।-
বেখেয়ালি
পাহাড়ের বুকে হাতে-হাত ধরে হাঁটছিলাম।
তুমি খুশিতে ছুটলে, ধরতে রঙিন প্রজাপতি।
তোমার কাণ্ড দেখে আমি হাসলাম,
ঠিক যেমনটা হয়ে থাকে সাদামাটা প্রেমে।
একসাথে পাহাড়চূড়ায় ওঠার খুশিতে
খেয়ালই করিনি—
তোমার মন কবেই ছুটেছ শহরের ভিড়ে
ধরতে সেই চঞ্চলপ্রিয় রঙিন প্রজাপতি।-