সংশয় সরিয়ে স্পর্শ কর আলো।
প্রিয় হও নিজের। ভালবাসায় নিঃস্বার্থ।
প্রত্যাশাহীন বাঁকে হেঁটে চল নিরবধি
হতেই পারে সফলতাও কখনও ব্যর্থ।
ইচ্ছেদের কাছে গচ্ছিত রাখো ঋণ।
ঋতুর বৃত্তে রচিত পরিবর্তন, পরিণমন।
সাহস হোক নিঃশব্দ মনের হাতিয়ার
ভুল থেকে শুধরে নাও অমূল্য এই জীবন....-
Teacher...
Love to write..🙂
North Bengal 🌿🌳🌱
আমার কাব্যগ্রন... read more
গোধূলির কোল ঘেঁষে রাত নামে অবশেষে, ক্লান্ত অবসর পাতায় পাতায়
মেঘের ওপারে, নিকষ আঁধার চিরে বৃষ্টি ধোয়া ভোরের কী জানি কী অভিপ্রায় ...-
মেঘের কাছে কাজল চেয়ে চোখ সাজিয়েছি।
আধখানা চাঁদের টিপ কপালের ঠিক মাঝে।
আকাশ-নীল শাড়িতে পাতার জামদানি কল্কা,
মুখের হাসিতে সূর্য এঁকেছি সকাল কিংবা সাঁঝে।
ব্যথার কাছে ঋণ রেখে শিখেছি অনেক শব্দ।
বৃষ্টিধারায় আঁজলা ভরে ভরে পূর্ণ হওয়ার সাধ।
ক্ষণস্থায়ী এই জন্মের উপলব্ধি চিরকালীন,
জীবনের কাছে নিজেকে জানতে চেয়েছি অবাধ।
সময়ের কাছে, মেঘের কাছে, আকাশের কাছে
শিখেছি একলা চলার স্বাদ....-
বিকেলের নরম আলোয় ভারহীন মনে হয় মন।
না রোদের খরতা, না রাতের অন্ধকার।
না পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, না কিছু হারানোর ভয়।
উদাস বাউল যেন মেঠো পথের বাঁকে,
একতারা হাতে নিঃস্ব আনমনে, উদাসীন।
বিকেলের নরম আলোয়
কখন যেন একাকার হয় প্রকৃতি আমার ভিতর।
একটু একটু একটু করে অনুভব করি
মনের উঠোনে অজস্র মন।
কোনওটি শৈশব লালিত, কোনওটি অতি বৃদ্ধ।
কোনও মন হয়তো সদ্য কৈশোর পেরনো।
আমার ভিতর জেগে ওঠে প্রশ্নর প্রতিধ্বনি,
যার উত্তর স্বয়ং আমি অথবা
আমার একান্ত মনের যাবতীয় অণুরণন....-
শূন্য আকাশ ভাবে মেঘের বন্ধু হলে
মেঘলা মনে বৃষ্টি হয়ে ঝরব।
দিশেহারা বাতাস ভাবে
গাছের বন্ধু হলে পাতায় পাতায় এবার ছন্দ গড়ব।
দিঘির শান্ত জল আকাশের কানেকানে বলে-
বাষ্পীভূত বুদ্বুদ হলে নদীর প্রবাহ ছুঁতে চাই।
গোধূলির আবির-রঙা দিগন্ত ভাবে
কল্পনা সরিয়ে বাস্তবে যেন সূর্যকে কাছে পাই...-
শিহরণ তোলে শরৎ পরশ শিশির ভেজা ঘাসে
ভোরের আলোয় মুক্তো যেন সায়র তলে ভাসে
শান্ত, স্থবির আকাশ-নীলে বাতাসের মেঘ পালক
শিউলি সুবাস জ্যোৎস্না শরীর, রাত্রি চাঁদের নোলক।
কাশবন দোলে বৃষ্টি ভিজে নদীর স্রোতে শপথ
আলোর কাছেই যেও তুমি, অপেক্ষারত শরৎ...-
নিঃশব্দ রাত-মরুভূমির উদ্ভ্রান্ত পথিক এক,
মরীচিকার ভ্রান্তি এঁকে খুঁজে ফিরি গন্তব্য..
যেসব আকাশ অগোছালো, দিশেহারা, তারা ব্যতীত
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের পালকে ঢাকা সন্তর্পণে,
চাঁদ ধ্রুবক ধরে তার ঠিক নীচে হেঁটে যাই আমি
জ্যোৎস্না-ভেজা ঝাপসা আলোয়।
বাতাসের অস্পষ্ট সুরে ভেসে আসে সহসা -
এগিয়ে চলো নির্দ্বিধায়, দুর্নিবার।
আগামী রচিত হোক তোমার পদচিহ্নে।
প্রস্ফুটিত গোলাপে সুবাসিত হোক বালির শহর...-
রোদ ঝিলমিল সকালের চৌকাঠ, অঝোরে বৃষ্টি নামে সহসা
শরতের শ্রাবণ-আকাশ মেঘের খামে লিখছে চিঠি আনমনে
সবুজ সতেজ গাছের পাতা অবিরল জল ঝরানো সুখে
শিহরণ তোলে বাতাসের সুরে, যেন কোনও আবৃত্তির উচ্চারণে....-
শিক্ষা
প্রতিভা পাল
জীবনের কাছে গচ্ছিত রাখি ঋণ। অযুত শিক্ষার। অভিজ্ঞতা, অনুভব, স্বভাব, ভাবনা কিংবা চেতনার স্তরে স্তরে যা প্রজ্জ্বলিত আলোর মতো। সেই উৎসর প্রতিটি বিন্দু থেকে উৎসারিত আলোকশক্তি - যেন এগিয়ে চলার অনন্ত সাহস।
প্রবহমান সময়ের কাছে নতজানু হই ধৈর্যে। পলির ভার বয়েও নদী যেমন নির্ভার, জীবনে শিক্ষা তেমন জলের মতো স্বচ্ছ হওয়ার অনুপ্রেরণা।
পরিস্থিতি, ইচ্ছে, দায়িত্ব, সম্পর্ক - রহস্যময় প্রকাণ্ড ঘরের আলো-আঁধারির খেলা, জীবনের।গোলকধাঁধা। কখনও বাঁধা। কখনও আবার একলা পথের ভিড়-শহর। ভালবেসে ভাল থাকা কখনও বা। এসব শিক্ষা গভীরে গাঁথা ভাবনার উপলব্ধি।
ব্যর্থতা, সাফল্য, আনন্দ, দুঃখ, ভালবাসা -প্রাপ্তি জীবনের। যেন কিছু বিভিন্ন আকৃতির ঘর। কোনওটি চৌকোণা, কোনওটি গোল কিংবা ত্রিকোণ। এসব ঘর পার হতে হতেই অর্জিত জ্ঞান যেন পরবর্তীর প্রস্তুতি।
পরিবেশ, কিছু চরিত্র, কিছু অধ্যাবসায়, অত্যাবশ্যক কিছু জ্ঞান পরিমার্জিত করে শিক্ষার পথ।
আমরা কেবল হেঁটে যাই অনন্ত অজানায়....-
কাচ-জানালায় জলছবি আঁকে জীবন অহরহ।
ওপাশের বৃষ্টিভেজা গাছের পাতায়
স্মৃতির মতো ঝরে পড়ে অতীত, সন্ধ্যার কোল ঘেঁষে।
তাকিয়ে থাকি নিশ্চুপ।
দৃশ্য বদলে যায় রাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
কোথায় যেন হারিয়ে যায় মন আনমনে।
আঁজল ভরে বৃষ্টি কুড়োই।
জলের বুদ্বুদে চেয়ে দেখি শূন্য অবগাহন।
দেখি, কাগজের নৌকা বেয়ে অনেকটা পথ ভেসে
বৃষ্টিছাটে তলিয়ে যাচ্ছে ঠুনকো স্বপ্ন, সহসা।
ঘরে ফেরাই মন, শাসনে।
আসন পেতে বসাই জীবনের সাধনায়....-