কবি প্রণাম 👇

-

আমাকে আঁকড়ে ধরে আবহমান মেঘ
বেখেয়ালি নদী খোঁজে আরশিনগর,
তোমার মুখখানি জলে ভিজে গেলে
আমার ঠিকানায় ফিরে আসে জ্বর।

-

সহজাত দুঃখগুলো বালিশের নীচে রেখে শুই রোজ।
রাত ঘন হয়ে আসে জানালার ফ্রেমে_
ভাঙাচোরা চাঁদের বুকে জমাট বেঁধে থাকা অযুত ক্ষত
মায়া হয়ে ঝরে পড়ে, ডানা ভাঙা পাখির মত।
আমি চোখ ছুঁয়ে ভাবি,
এমন থমথমে বিষাদ-দহনে
আবার একটা উথাল-পাথাল কান্না নামুক
স্মৃতির নামে।

-

ভরা নদী তাকে মল্লার বলে ডাকে
ভেজা চোখ ছুঁয়ে তুমি খুঁজেছিলে যাকে,
বৃষ্টি মেয়ের কাজলের রেখাটুকু
মেঘের বুকে স্মৃতি হয়ে জমে থাকে।

-

অযথা বসে থাকা শব্দহীন
অভিমানী বর্ষাবিলাপে
ভেসে যাক অপেক্ষা-সেতু
তুমুল কান্নার অভিমুখে।

-

তোমার পকেটে কিছু খুচরো পাপ-ক্ষয়,
ভাগশেষে পড়ে থাকো হাহাকার হয়ে,
কোনো এক প্রাচীন প্রত্নলিপির অবোধ্য ভাষায়
তুমি লিখে চলো জীবন।

-

কবেকার সেই চেনা গন্ধ বুকমার্কে
কত সহজে হৃদয় খুলে রাখছে প্রেমিক
কিছু মানুষের ঠিকানা বদল অন্য ডাকে
কিছু ফিরে আসা কবিতার মতো কাল্পনিক।

-

নতুন ফ্ল্যাটে জিনিসপত্র গোছাতে গিয়ে বই-এর ভাঁজে না-পাঠানো অনেক পুরোনো চিঠিটা পেল উজান। হলুদ হয়ে আসা কাগজের বুকে লেখা এখনকার বিখ্যাত কবি উজানের প্রথম বিরহের কবিতা।
“মেঘেদের মত পরিযায়ী প্রিয় মুখ, ছেড়ে যাওয়াটাই রীতি,
অতীতের মাসে দেখা হবে জানি, অভ্যেসে রেখেছি স্মৃতি।"
ইতি_
প্রাক্তন

-

শুধু মেঘ জানে
পাহাড়ের জমাট অভিমানে
তোমাকে পাওয়ার আকুলতা।

-

সিঞ্চিত মায়াজলে রোজ ডুব দেয়
স্মৃতি-বিস্মৃতি।
একলা অবশ শরীর ক্ষয়ে যায় বিষাদকামে।
আয়ুরেখায় জমে থাকা যা কিছু শূণ্যতা
রিক্ত, মলিন
স্বপ্নবীথিকায় অবাধ্য ফুল হয়ে ফুটে থাকে,
উদ্ধত, নামহীন, গোত্রহীন।

-