মেঘলা দিনে একলা আকাশ,জল থৈ থৈ পথ
তোমার সাথে দূরত্ব যে তোমারই নেওয়া শপথ।
দুঃখ সে তো নেশার মত জড়িয়ে থাকতে চায়,
একবার দূরে সরে গেলে আর কি ফেরা যায়?-
চারিদিকে পলাশ শিমুল
কুহুতানে মন ভরেছে,
রঙের খেলায় অশোক কিংশুক
বসন্তেরই গান ধরেছে।
শাখায় শাখায় নবীন মুকুল
গন্ধে ভরা আম্রকানন,
প্রেম আগুনের কাব্যে যে আজ
পিপীলিকার সহমরণ।-
সময়ের সংলাপ চলমান জীবনে,
ভাঙা-গড়া চলছেই অস্থির পবনে।
এই আছে, এই নেই, হিসেবে ভুলচুক,
মুখর বাদলের গান ঝুপ্-ঝুপ্ টুপ্-টুপ্।
মুঠো রোদ যদি হাসে দিলখোলা আকাশে ,
মেঘ এসে নীল রঙ করে দেয় ফ্যাকাসে।
ছবি আঁকে প্রকৃতি ছন্দের কবিতায়,
মলিনতা মুছে যায় আগামীর বার্তায়।-
সকাল থেকেই শুরু,নিত্যদিনের যুদ্ধ
কাজের চাপে হাসি মজা,সবই অবরুদ্ধ।
পিঠের ওপর পাহাড় প্রমাণ, ফাই-ফরমাস নিত্যি,
লাল চোখেতে হুকুম জারি, চটকে দেয় পিত্তি।
অবসরে ঘুরতে যাব, ভাগ্যে কি সে সব সয়,
ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম নোটিশে,স্বপ্ন দেখতেও ভয়।-
আমরা কেবল বসন্তহীন,
প্রেমের আগুন জ্বলছে বুকে
মাঝে দূরত্ব অন্তহীন।
ফোটার আগেই পড়ছে ঝরে
পলাশ শিমুল অবিশ্বাসে,
ভালোবাসার আলগা বাঁধন
ফ্যাকাসে রঙ পুব আকাশে।-
পাখিদের কোলাহলে,ঘুম ভেঙে দেখি
পুব দিকে রাঙা রবি দিয়েছে যে উঁকি,
আকাশের গায়ে জামা নীল তার রঙ
চাঁদের হয়েছে ছুটি ঘড়িতে ঢং ঢং ঢং।
বেড়াল ছানাটা দরজায় ডাকছে মিউ মিউ,
টমিটা দেখে তাকে করছে ঘেউ ঘেউ,
হাতে হাতে করছে কাজ মায়েতে বাবাতে
আমি সুখে শুয়ে আছি তাদের আদরেতে।-
বসন্তের সকালে , কোকিলের কুহুতান
পলাশ ফুলের ঘ্রান,
আবির রঙে রাঙা পুব আকাশের বুক
পথিক বাউলের গান।
শিশির ভেজা ঘাস, ঝরা শিমুলের হাসি
একলা মেঠো পথ ,
রাঙামাটির দেশে উৎসব গল্পে
কোপাই খোয়াই সহমত।-
কত ক্ষোভ জমে,মেঘ করে আকাশের বুকে।
অভিমানী বৃষ্টি ঝরে কাজলের বাঁকে।
ফেলে আসা রিংটোনে,মনে পড়ে তাকে ।
সুখ-স্মৃতি ফেরে কি তখন, ক্ষণিকের দুঃখ মুছে দিতে?-
বাড়ির প্রতিটা কোণে কান পাতলেই শুনতে পাচ্ছি আগমনী,
নতুন ফুল ফুটবে...
তার সুগন্ধ ছড়াবে প্রতিটি ঘরে।
একরাশ শুভেচ্ছা নিয়ে দাঁড়িয়ে আমি ও পরিবারের সকলে...
তুমি এসো সূর্যস্নাত হয়ে,
তোমার সৌরভে সুরভিত হোক এ জগৎ।-
বাংলা ভাষায় মায়ের গন্ধ
বাংলা ভাষায় প্রাণ,
ভাষার লড়াই শহীদ বেদী
জাতির অভিমান।
বাংলা ভাষায় জীবনানন্দ
রবীন্দ্র নজরুল,
আব্দুল-রফিক-জব্বার-বরকত
বাংলা ভাষার মূল।
রক্ত রাঙানো অমর একুশ
জীবনের জয়গান,
ভাষায়, ভালোবাসায় মোরা
এক জাতি এক প্রাণ।-