বৃষ্টিস্নাত বারান্দায় ভেজা গল্পেরা ইতিউতি ,
মনের ঘরে বর্ষণ নামে, শ্রাবণ মাখুক সোঁদা অনুভূতি ।
থেকে যাক কিছু মনকেমন, হটাৎ ঝোড়ো হাওয়া বৃষ্টিতে ;
শিউলি ফুটুক, বসন্ত হাসুখ, মেঘমল্লার ছোঁয়ার সৃষ্টিতে....
বানভাসি ফুল, আম্র মুকুল, আলোর দোয়াতে লিখুক চিঠি ;
জুঁইএর আলাপ, ঠাট্টা প্রলাপ, ধুলোমাখা কোনো রঙিন স্মৃতি....-
তোমার চোখে অভিমান দেখতে লাগে মিষ্টি
সব অভিমান ধুয়ে যেতো নামতো যদি বৃষ্টি,
ইচ্ছে করে নিজেই আমি বৃষ্টি হয়ে যাই
মেঘ দুপুরে হঠাৎ এসে তোমাকে ভেজাই......
মন মাতানো বৃষ্টিতে ভিজে তুমি হতে অন্যরকম,
মনে হতো তুমি যেন সদ্য ফোটা কদম......-
মেঘের চোখে জল জমেছে তোমার চোখেও তাই ,
শহর জুড়ে তোমার গল্প শুধু তোমার শহরে আমার গল্প নাই।।
গোধূলী আঁকে যাবার বেলায় মেঘ নদীর বুকের সাঁঝের আলোই থাক
সিঁদুরে মেঘে আহ্লাদী লাল রঙ কবি লেখে মিথ্যে অস্তরাগ ।।
মেঘের বাড়ি তারাদের নাচঘর বৃষ্টিমেয়ের মেঘের সাথে আড়ি
কুঁড়িয়ে আনা ঝরা বকুল কথা মনভোলানো মিথ্যে বাড়াবাড়ি ৷৷
বৃষ্টিমেয়ে তোমার ঘেরা আলোয় তোমায় ছুঁয়ে বৃষ্টি ভিজে যায়
নীল ওড়না উড়িয়ে যখন তুমি পথের ধারে দাঁড়িয়ে আছো ঠায় ।।
তুমি কি যাবে তেপান্তরের মাঠ । রেল গাড়ি ছেড়ে এসেছো যে ভুলে...
তোমার মতোই আপনভোলার দল জগতে আজও বাউল সুর তোলে ।।-
যার জন্য সুখের শ্রাবণ চেয়েছিলামনএকলা আকাশের কাছে,
বুঝিনি সে শ্রাবণ আগে থেকেই ছিল আমার চোখের পাশে ৷
ঝরলো যখন সে অঝোরধারায় আমার দু গাল বেয়ে
ভেজালো আমার প্রেমের নির ব্যাথার অশ্রু হয়ে ।
আকাশের মনজুড়ে আজ শুধুই কালো মেঘে গেছে ছেয়ে
একবিন্দু শ্রাবণের অপেক্ষায় আছি আজও চাতক পাখি হয়ে-
নূপুর পায়ে ছন্দ তুলে, বৃষ্টি জলের গান ;
দুলতে থাকা নাকের নোলক, জানায় অভিমান...
প্রেয়সী আমার বুকের ভিতর কালবৈশাখী পোষে
দমকা হাওয়ায় উড়ছে ঘুড়ি, আর, বৃষ্টি আসে শেষে !!-
বুকের ভিতর উৎপীড়ন, পরশ দিচ্ছে সৌর কিরণ
শুকিয়ে উঠেছে গলা।
মাটির ভাঁড় টা বুকের কাছে, চেপে ছিল দু আঙ্গুলের মাঝে
দিচ্ছিল বার বার দোলা।
ভারী হয়েছিল আকাশ, ভারী হয়েছিল নিশ্বাস
প্রথম যখন দেখেছিলাম তোকে ।
বিঁধেছিল বুকে ফলার মত, তোর ওই চোখের দৃষ্টি
চিত্রকর যেনো এঁকেছে সেগুলি, একটানে মাস্টারস্ট্রোকে।
তিমিরে ঘনিয়ে ছিল আকাশ,শ্যামলে সুন্দর হয়েছিল প্রকাশ
শ্যামল বরন কালো গোলাপের ,ওপরে বসে অলি।
ঝলসেছিল দৃষ্টি আমার, কালো রূপের জোয়ারে তোমার
রবি ঠাকুরের .. না না ! তুমি যে আমার কৃষ্ণকলি।
কপালে ছিল ঘামের বিন্দু, ভ্রুর ওপর জমে থাকা জল
আর সূক্ষ্ম চুলের আনাগোনা
স্নায়ু যুদ্ধ করেছিল , আমার নক্সা কাটা রুমালটাও যদি
একটি বার ধরত সেই জলকণা।
পিঠ ভিজেছিল ইতস্তত, কাঁধে ঝুলছিল কলেজ ব্যাগ
আর দুষ্টুমি ভরা সেই চোখের মনি;
দেখে ভেবেছিলাম, অষ্ট সখীর একজন তুমি,
রং হলে হোক তোমার মত, অষ্টাদশী বৃন্দাবনী।
পাতলা সরু ঠোঁটদুটো কেমন, সম্মোহনের মন্ত্র ,যেনো
কালো গোলাপের কালো জাদু।
নিভেছিল চোখ আপন খেয়ালে, ঠেকেছিল ঠোঁট উষ্ণ বয়ানে
চেঁচিয়ে বলেছিলাম , চা টা তো খুব গরম' দাদু '-
জীবনটা ঠিক মহাভারতের মতো ....
যদি তুমি ন্যায়, সত্যের পথের পথিক হও তবে তুমি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ কে নিজের সারথি রূপে পাবে .... তোমার বিপরীতে গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম , আচার্য দ্রোণ, আচার্য কৃপ , দানবীর কর্ণ , শক্তিশালী দূর্যোধন থাকার সত্বেও জিত তোমারই হবে ....
আর তুমি যদি অন্যায় , অসত্যের পথের পথিক হও তবে তুমি উপদেষ্ঠা হিসেবে শকুনি কে পাবে , মিত্র হিবাবে স্বয়ং কর্ণকে পাবে , যুদ্ধের সাথি হিসাবে সেই সকল রথি , মহারথীকে পাবে যাদের ধনুকের টনকারে ভুবন কাপে.....কিন্তু এত কিছুর সত্বেও তোমায় পরাজয় হবে ....
তাই সত্যের পথের পথিক হোন
রাধে রাধে-
নিস্তব্ধ নিশি,
নিরব শহর,
অন্ধকার বারান্দা,
বুকের ভেতর আলোড়ন তোলে,
তা শত শত অভিমান অভিযোগ,
প্রিয় মানুষের থেকে শোনা অপ্রত্যাশিত যত হিংস্রতা।
নিশ্চুপ দু চোখের পাতা যেন এক হতে চায়না, হ্যাঁ, এত নিস্তেজ নিস্তব্ধতার মাঝে এক বিশাল আন্দোলন যা হাজারো না বলা কথা,
নিশ্চুপ নির্বাক অমনোযোগী চোখের কণায় ভেসে আসা মেঘ থেকে যে তা আজ সাক্ষী থাক চূড়ান্ত ভালোবাসার ।-
সব প্রেম পরিণতি পায়না
সব গল্পের পরিণতি মধুর হয়না
সব ভালোবাসায় দুজন থাকেনা
গল্পের শেষে একজনই রয়ে যায়
অন্যজনের অপেক্ষায় ...!!!-
ঠক ঠক ঠক
ঘুম ভাঙতেই অৰ্পি দেখলো কারেন্ট নেই গায়ের চাদর টাও মেঝেতে পড়ে,মেসের ঘরটায় আলো না জ্বললে কেমন যেন ভুতুড়ে লাগে, ওর এক দিদি বলছিল এই ঘরে নাকি অনেক আগে গলায় দড়ি দিয়ে মরেছিল একটা মেয়ে,,ও ঘামছে খুব এমন সময় দরজায় টোকা পড়লো, রাত প্রায় একটা,, চোখ বন্ধ করতেও ভয় পাচ্ছে অৰ্পি,,,হঠাৎ সিলিংয়ের দিকে নজর যেতেই দুটো চোখ যেন জ্বলে উঠেই মিলিয়ে গেলো, আবার দরজায় টোকা তিনবার, ভয়ে সিঁটিয়ে গেলো ও পাশ ফিরে তাকাতেই সেই সিলিং এর চোখ দুটো কেউ যেন শুয়ে আছে,,অন্ধকারেও চোখ আর সাদা দাঁত দেখা যাচ্ছে,,একটা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হতেই ঘুম টা ভেঙে গেল অর্পির,,,এতক্ষন স্বপ্ন দেখছিলো কিন্তু কারেন্ট টা কই ঘর অন্ধকার ঘড়িতে দেখলো রাত একটা,,, স্বপ্ন ভেবে একটু নিশ্চিন্তি হতেই দরজায় টোকা পড়লো ঠক ঠক ঠক,,-