ঘুমন্ত যীশু জাগ্রত হোন-
সকল প্রাণে আর মনে,
দু-চারদিন নয়, থাকুন তিনি-
সারাটা বছর ভরে।
আমারা যারা এগিয়ে খানিক,
সব পেয়েছির এই খেলায়-
আসুন দেখি সান্তা হই,
সাধ্যমত আর কজনার।।

বড়দিনের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা....

-

এলোমেলো শব্দ, অগোছালো দিন,
বিচ্ছিন্ন বিকেল, ভাবনারা অন্তহীন।
একঘেয়েমির আস্ত আকাশ,একলা গাঙচিল,
ভিজছে ডানা,উড়ছে তবু, খুঁজছে অন্তমিল।

চেনা গল্প, চেনা সুর- প্রেক্ষাপট ভিন্ন,
জীবন বাঁচে অভ্যাসে, শুধুই বাঁচার জন্য!
হাতছানিতে সময় আর চেনা কিছু ডাকনাম,
মনের ফেরা বারণ, সময় চুকিয়ে দিচ্ছে দাম।

দিনের শেষে মিলিয়ে দেখা, মরুভূমিতেই মরূদ্যান,
মিছেই তারে খুঁজে বেড়াই, হেথা-হোথা মরণ-প্রাণ।
আমিই আসল সত্য, আর বাকি সবই ভ্রম আমার,
আমার ভুবন আমিই গড়ি, দোষারোপ- অনধিকার।

-

অন্তহীন খামখেয়ালি আমি,
আড়ি-ভাব লেগেই তোমার সাথে।
অন্তমিলের ছন্দের মতো,
তোমাকেই চাই দিনে অথবা রাতে।

-

"সাদা কাগজে লিখে দিচ্ছি .."
বলা কথা গুলো আজ-
অপ্রকাশিত মিথ্যা পাণ্ডুলিপি।

বোকা নই, বিশ্বাস করি মাত্র।
রক্তে আদিম প্রবৃত্তি-
কি করে জানবো বলো তো!!

-

খেলার ছলে হলেও -
তুমিই প্রথম ফুল দিলে।
অজান্তেই এক-পা দু-পায়ে
অনেকটা কাছে এলে।

আমার কালি ঝুলি মাখা,
একটু ঘূণে ধরা মনের ঘর-
দিব্যি সাজিয়ে গুছিয়ে,
পেতেছ আস্ত এক সংসার।

ভালবাসতে সবাই জানে,
নিজের করতে পারে কজন!
মনের মধ্যে দখল নিলে...
সইতে পারবে মনের ওজন?

-

সেই হাত দুটোতে শক্তি পুরো জগতের,
সেই কাঁধটা এখনো সবচেয়ে চওড়া।
সেই কন্ঠস্বর এখনো তেমনি দৃঢ় কিন্তু স্নেহময়,
এখনো তুমিই শ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক।
আবদার, ছায়া, শাসন, ভরসা, আদর, ধৈর্য্য, দায়িত্ব-
এমন শব্দের অর্থই বুঝতাম না বাবা তোমাকে ছাড়া।
তোমাদের ঈশ্বরের দেখা আর পাবো না জানি,
আমার ঈশ্বরকে যে আমি প্রতিদিন দেখি।।

-

জানি অনেকটাই হয়েছে দেরি-
বুঝতে অথবা বোঝাতে।
আশা কিঞ্চিত আছে তবু বাকি-
যদি পাল্টে ফেলি নিজেকে।

প্রকৃতি বাঁচলেই বাঁচবো সবাই,
কাটবে সব অন্ধকার।
ভুলে গেলে? নবজাতকের কাছে -
সেই দৃঢ় অঙ্গীকার!!

-

আনকোরা কিছু শব্দ আছে-
অনুভূতি বিছানো খুব আপন,
সময় একটু থাকে যদি হাতে,
তোমার, রইল বন্ধু নিমন্ত্রণ।।

-

স্টারবাকস, কে.এফ.সি বা সি.সি.ডি-
ওসব আজও থাক- একান্ত তোমার।
মাটির ভাঁড়ে চা, ফুচকা আর ঝালমুড়ি-
এতেই আটকে- মধ্যবিত্ত মন আমার।।

-

ঈশ্বর, তোমার সদা সজাগ দৃষ্টি-
জগতের সবই তো তোমার সৃষ্টি।
"ধন ধান্য পুষ্পে ভরা"-
আকাশ-কুসুম চিন্তাধারা।
আচ্ছা, তবে ওরা কারা?

কালি-ঝুলি মাখা মুখ-
কিছুটা মানুষেরই রূপ!
দৃশ্যমান শিরা-উপশিরা, ভগ্ন শরীর, রুগ্ন মুষ্ঠি,
মলিন বসন, আস্তাকুঁড়ে খাবার সন্ধানী দৃষ্টি।
আচ্ছা, তবে এরা কারা?
এরাও কি তোমারই সৃষ্টি?
কিছুটা মানুষেরই রূপ!
মানুষ নাকি মানুষ নামের বিদ্রূপ!

কষ্ট যারে দাও, জানি সহিবারও দাও শক্তি-
অপার দরদ তোমার, তুষ্ট ভক্ত- বাড়ে ভক্তি।
আর তাই, প্রেয়সীর ঠোঁট ছোঁয় মধ্যবিত্ত সুখ।
সকালে গ্রিন টি আর সন্ধ্যায় সোমরসে চুমুক।
এত কষ্ট, রূঢ় বাস্তব দেখালে যারে-
কি অপূর্ব মায়াজালে ভুলালে তারে।

সকালে আয়নায় নিজেকে দেখি-
কি সুন্দর একটা পূর্ণাঙ্গ মানুষের রূপ,
হঠাৎ, ভেতর থেকে প্রশ্ন একি!
"তুই মানুষ, নাকি মানুষ নামের বিদ্রূপ?"

-