তোমার অনুপস্থিতি এক বিষাক্ত উপপাদ্য,
যার সমাধানে আমিই প্রতিদিন নিঃশেষ হই।
ভাঙা স্বপ্নের হাড়গোড় ছড়িয়ে আছে মস্তিষ্কে,
অস্তিত্বের প্রান্তরে আঁকা—তার নির্বাক দায়িত্বহীনতা।
প্রেম কি তবে ছিল এক অন্ধারণি গণিত,
যার উত্তরে কেবল নীরবতা, আর আমি—এক চিরস্থায়ী প্রশ্নচিহ্ন।
- পদার্থবিদ্যার অপদার্থ-
👉 Physics Honours করে চাকরির চেষ্টায় দিন কাটাচ্ছি…😄😄
👉 মিথ্যা কথা বলা... read more
আক্ষেপ কি?
স্মৃতির ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে,
হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো আবার ছুঁতে চাওয়া?
নাকি,
ভুল শব্দে গাঁথা দিনলিপির পাতা উল্টাতে উল্টাতে,
শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এগিয়ে চলা?
আক্ষেপ—
হয়তো সেই পাথর,
যেটা ঠিক হৃদয়ের ভারে বাঁধা।
চলার পথে মুখ ফেরায়,
তবু ছায়ার মতো পিছু নেয়...
- পদার্থবিদ্যার অপদার্থ-
তোমার পছন্দের একটা সাদা ফুল যেমন ধরো
জুঁই, শিউলি কিংবা বেলি আমার রক্তে রাঙিয়ে
তোমায় গোলাপ হিসেবে উপহার দেব।-
আমি জানি সে আসবে
কিন্তু,
সময় কই?
মৃত্যুর হাতছানি দৃশ্যমান।-
কি খুঁজছো তুমি
ধনী, রূপবান নাকি এমন
একটা মানুষ
যে তোমায় ভালবাসবে?-
কিছু প্রশ্ন
তোমার অপেক্ষায়,
কত মিথ্যে বাহানায়
আর ভুলিয়ে রাখবো তাদের?-
আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা ছাড়া চাইনা কিছু বেশি;
আমি উপহার হিসেবে গোলাপ নয়, কাঠগোলাপে খুশি।-
কবিতার ছন্দপতনে কবির মৃত্যু,
দোষটা তবে কার?
আজ কবি উত্তীর্ণ,
আসলে সমস্তটাই কবিতা।-
আজ সকালে মা-বাবা মাসির বাড়ি গেছে, তাই নিজেকে একটু ব্যস্ত রাখার জন্য পুরনো আলমারিটা গুছাচ্ছিলাম। আলমারি গোছানোর সময় হঠাৎ একটা ডাইরি খুঁজে পায়। ডাইরিটা খুলে বুঝতে পারি সেটা বাবার তাই একটু কৌতূহল হয়েই পড়া শুরু করি। ডাইরিটা পড়ে জানতে পারি বাবা অতীতের একজনকে অনেক বেশি ভালোবাসতো, কিন্তু যাকে ভালোবাসতো সে অন্য একজনকে বিয়ে করে বিদেশে চলে যাই।
বাবার জীবনের একাকিত্বের দিনগুলোর কথা এই ডাইরির পাতায় তোলা। বাবার অতীতের দিনগুলো কতটা বেদনাদায়ক তা এই ডাইরিটা না পড়লে বুঝতে পারতাম না।
ডাইরির শেষ পাতায় এসে আমি আর আমার চোখের জলকে ধরে রাখতে পারলাম না কারণ শেষ পাতায় লেখা ছিল,
"জানো আমার মেয়ে হয়েছে, ঠিক যেমনটা আমরা স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম। তোমায় আমি আজও ভালোবাসি এবং আমার জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তোমায় ভুলতে চায় না তাই তোমার নামে আমার মেয়ের নাম রেখেছি "বনলতা"।"
- অঙ্কুশ মাজি-