আদম-হবাদের বাইবেলে।
কারণ অনুপম বলে গেছে
"নষ্ট এ জীবন সব পেলে"!

একা বোকা থাকা খুব কঠিন,
দোকা নেই মানে ব্যর্থতা?
পাশে থাকবে কে শেষ দিনে?
খুঁজি প্রেমের যথার্থতা।

-

বুকের মধ্যে ভয়।
আলোর মালা ছাপিয়ে যদি আকাশ আঁধার হয়।
ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থেকে একটু আড়াল পেলে,
বাঁচিয়ে রাখি ইচ্ছে শিখা আশার সলতে জ্বেলে।

-

অভিমানের পর্দা টেনে,
চোখের জলের বাঁধ না মেনে,
পাহাড় বেয়ে ঝর্ণা হয়ে নামব জেনে রেখো।

-

মুষলধারে বৃষ্টি নামুক,
শহর ভিজুক লাগাম ছাড়া।
রোদের মালিক নিক ছুটি আজ,
মেঘবালিকাই দিক পাহারা।

-

কমলা রঙা সূর্য্য ডোবে চার প্রহরের বিলে।
বিদায় বেলায় তুলসী তলায় সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালো...
ডাক দিয়ে যায় একলা তারা জমাট মেঘের নীলে।

-

রোদের সাথে পারলে করুক আড়ি।
পশলা খানিক বৃষ্টি হলে, একটু ভিজুক নির্বাক ঘরবাড়ি।
খবর আসুক সেরে ওঠার,শুকনো ডালে নতুন পাতার মতো।
শালিক দুটো চিলেকোঠার, দিনের শেষে ফিরুক অক্ষত।
সন্ধ্যে নামুক গলির মোড়ে, হাস্নুহানার গন্ধে ভরুক ঘর,
বৃষ্টি নামুক তুমুল জোরে, জলপট্টি ছাড়াই কমুক জ্বর।
মেঘের দলেই থাকুক আকাশ, মেঘ কে না হয় খাম খেয়ালীই ডাকি
মেঘলা থাকুক আর ক'টা মাস পিচ গলানো রোদ কে দিয়ে ফাঁকি।
আমিও খানিক ছন্দছাড়া পদ্য ঘেঁটে, কাব্য খুঁজি শ্যাওলা রঙের ভিড়ে...
রোদ পোহানোর গল্প ভোলার দিব্যি কেটে নৌকো বানাই খাতার পাতা ছিঁড়ে।

-

অামরা ভাবি, যা হচ্ছে এটাই লেখা ছিল,
সময়ের দেওয়া উপহার ছিল, সময়ই কেড়ে নিল।
সখের ঝাঁপি: কারোর বা গান, কবিতা লেখার ঝোঁক,
কেউ বা বাজাত গিটার, কারোর ফটোগ্রাফির চোখ।
পেশার চাপে ভুলেছে অাজ কোনটা ছিল নেশা,
যেন সাগর ভুলে গিয়ে, ডোবায় গিয়ে মেশা।
তবুও কোন ছুটির দিনে চর্চা করার ইচ্ছে,
উইকেন্ডের নাইট শিফ্টটা সেটাও কেড়ে নিচ্ছে।
তবুও কেউ ধুলো ঝেড়ে গিটারে সুর বাঁধে,
কেউ বা লেখে স্মার্টফোনে, কেউ স্নানঘরে গলা সাধে।
ইঁট পাথরের দুনিয়ায় অাজ সবাই বড় অদ্ভুত,
সবার জীবন ফটোজেনিক, সবাই বড়ই নিখুঁত।
তার মধ্যেই বাস করে এই দুই নৌকার যাত্রী,
নেশা ও পেশার দ্বন্দ্বে কাটছে তাদের দিবস রাত্রি।
নদীর পাড়ে পাথর দেখেছ? কিছু স্রোতে যায় ভেসে,
কেউ বা বসে শ্যাওলা মাখে পাড়কে ভালোবেসে,
এরাও তেমন অক্ষম বড় পাড়ের মায়া কাটাতে,
সময়ের স্রোতে এরা অবিচল জোয়ার হোক বা ভাঁটাতে।
এরাও চাইলে নদী হতে পারে, তবে পিছুটান বড় দায়,
তাই সমতা রাখার চেষ্টাটা করে পা দিয়ে দুই নৌকায়।
সখ গুলো আজ সপ্তাহান্তে চর্চা করার জন্য,
অফিস কর্ম-ধর্ম এখন, ইচ্ছেরা নগন্য।

-

জ্বলতে পারি, গলতে পারি, বলতে নারি কথা,
প্রতিবাদীদের হাতে হাতে ফিরি হয়ে নির্বাক শ্রোতা।
জ্বলেছি যখন রিজওয়ান হয় ব্যর্থ প্রেমের বলি,
নির্ভয়া যবে কলুষিত হলো, তখনও উঠেছি জ্বলি।
কিশোরী প্রানের বিচার চেয়েছি ধর্মের কারাগারে,
আমার শিখায় শক্তি খুঁজেছে নির্বোধ বারেবারে।
মোমবাতি আমি, গলনাঙ্কের আমারও তো আছে মাত্রা,
আমার আলোয় কালো হবে দূর, কঠিন বড় সে যাত্রা।
আমার জ্বলনে জাগবে বিবেক আশায় ভীরুরা বাঁচে,
বিবেক? জাগবে সেই মানবের? যে গড়া দানব-ছাঁচে?
নিশ্চুপ থেকে আমার সঙ্গে মিছিলে নেমে কি ভাবো?
পরিবর্তন আসবে মানসে? হৃত গৌরব পাবো?
তার চেয়ে আজ এক ফুঁয়ে দাও নিভিয়ে আমার বাতি,
আমাকে জ্বালিয়ে প্রতিবাদ আর হেনো না দিবস রাতি।
সত্যিই যদি নির্বাক হয়ে প্রতিবাদ করা যেত,
নির্যাতিত বোবা পাগলিও ঠিক সুবিচার পেত।
দীপাবলিতেও জ্বলি খুশি মনে, তবুও লাগে না ভালো।
শিশুশ্রমিকেরা বাজি বানিয়ে কি আধপেটা খেয়ে শুলো?
দোহাই তোমার, আর জ্বালিও না, জ্বলে ওঠো নিজে নিজেরাই,
বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে, অক্ষম আমি ক্ষমা চাই।
যন্ত্রের যুগে যান্ত্রিক হয়ে মনুষ্যত্ব গেল।
আলো জ্বেলে যদি কালো দূর হয়, Fluorescent lamp জ্বেলো।

-

বলছি তোমায় বাসছি ভালো, কিন্তু দেখো
আঁকড়ে ধরে রাখছি করে খাঁচার পাখি।
শর্ত ছাড়াই দিচ্ছি এ প্রেম বলছি, তবু
ঠিক কতটা পাচ্ছি ফিরে হিসেব রাখি।

বললে তুমি "ভালোবাসায় জোর খাটে না,
পালিয়ে যাবো", আমিও হাসি,"পালিয়ে দেখা"।
অমনি তুমি জাপটে ধর দ্বিগুন জোরে
কারণ জানি , দিনের শেষে সবাই একা।

-

পুজো নয় বেশি দূরে, দুটো মোটে হপ্তা।
কাল থেকে বর্জন কালিয়া ও কোফতা।
বিরিয়ানি ভুলে গিয়ে শশা খাব দিনরাত,
ট্রেডমিলে ম্যারাথন, শুধু রুটি, no ভাত।
সাইজ বানাবো জিরো, দিনে যোগা, রাতে জিম।
ফেসপ্যাকে মুখ ঢাকি, চুলে মাখি কাঁচা ডিম।
আর যা যা আছে ফ্রিজে, ফল মূল দুধ দই
বডি পলিশিং-এ তার অ‍্যাডিশন হওয়া চাই।
তাহলেই হয়ে যাবে শারদীয় মেক ওভার,
'সেরা সুন্দরী' হতে এটুকুই দরকার।
যদি বলো,'টিপস দাও', হেসে দেবো একগাল।
"Effort লাগেনি কোন, সবকিছু ন্যাচারাল"।

-